Friday, December 23, 2016

হিসেব...........

বছর শেষে অনেক হিসেবে মেলানোর আছে। ১২ মাসের এই ৩৬৫ দিনকে  যদি বাজেট হিসেবে ধরি তবে এই বাজেটের কতটুকু কোন খাতে আমরা ব্যবহার করেছি সেটার একটা হিসেব। একজন মানুষের আত্মিক,ব্যাবহারিক,অর্থনৈতিক ,পারিবারিক ,জ্ঞানগতসহ অনেক খাত আছে।আপনারা যারা সময়ের সঠিক ব্যবহার করেছেন  তারা বছর শেষে অনেকটা সফল আর আমরা যারা করিনি তাদেরও সামনে সময় আছে। আমরা ভুল করি আর ভুল থেকে শিখি।  সময় পৃথিবীর শ্রেষ্টতম সম্পদ।সময়ের সঠিক ব্যবহারের ফলে পৃথিবীর সব মনীষীদের জন্ম হয়েছে আবার সময়ের অপব্যাবহার বা অপচয় মানুষকে দিয়েছে গ্লানি আর অসহায়ত্ব। "সময় গেলে সাধন হবে না " ,লালনের কথায়। আমি তো বছর শেষের কথা বলছি ,জগৎবিখ্যাতরা তো প্রতিদিনকার বাজেট করে।আহা ! এদের মত যদি হতাম। এরা ও আমাদের মতো সাধারণ ছিলেন। সময় তাদেরকে আজকে বিশাল করে দিয়েছে। না ,আসলে সময়কে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেছে। যাইহোক ,আমরা যারা সময়কে ব্যবহার করিনি তারা এই পুরোনো আর নতুন সন্ধিক্ষণে পণ করলাম দিন বদলে ফেলবো সময়ে সময়ে। 

Monday, December 5, 2016

কংগ্রেটস আপনি মানুষ

আপনার সম্পদ যা যা আছে :

আপনার মাকে আপনি অনেক ভালোবাসেন ?
হ্যা
আপনি দুনিয়ার তাবৎ মাদেরকে সম্মান করেন
অতএব আপনি সম্মান করতে জানেন (সম্পদ ১)  ।

আপনি আজকে রাস্তার মোড়ের পড়ে থাকা মানুষটাকে ১ টাকা দিছেন শুধু মাত্র খারাপ লাগছে বিধায়?
হ্যা
আপনার খারাপ লাগা নামক সম্পদ ও আছে (সম্পদ ২) ।

কালকে যে মিথ্যা কথা বলছেন তার জন্য ঘুম লাগছে না আজকে ?
হ্যা
আপনি মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না ,আপনি সত্য কথা বলেন,আপনি সত্যবাদী  (সম্পদ ৩) ।


আপনার মেয়েবন্ধ চিট করছে অথচ তার প্রাইভেট পিক গুগল করেন নি?
হ্যা
আপনি অন্যের সম্মান রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর  (সম্পদ ৪ ) ।

আপনি বিশ্ববিদ্যায়লয় থেকে মাস্টার্স করছেন অথচ ডিগ্রি পাস শিক্ষককের সামনে মাথা নিচু করে কথা বলেন?
হ্যা
আপনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অতীত ভূলেন না ,আপনি কৃতজ্ঞ (সম্পদ ৫) ।

এই সব গুলো সম্পদ আছে এর মানে আপনার মনুষত্ব নামক আরেকটা সম্পদে ধনী।

কংগ্রেটস আপনি মানুষ। ...........




Saturday, December 3, 2016

পাবলিক স্পিকিং :

মানুষের সামনে কথা বলার নামই  হচ্ছে পাবলিক স্পিকিং। এই কথা বলতে আমার আপনার যা সমস্যা। মানুষের সামনে কথা বলতে গেলে যা মনে হয়  সেটা হচ্ছে মানুষ কী ভাবছে আমাকে নিয়ে। এই ভয় চলে যায় তবে কথা বলতে হবে। কথা বলার ভয় কথা বলে তাড়াতে হবে।

নবম-দশম ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা একটা স্কুলের সর্বোচ্চ লেভেলের ছাত্রছাত্রী।  এরা স্কুলের সভা-সমিতি অথবা ২১শে  ফেব্রুয়ারী ,২৬শে  মার্চ এবং ১৬ই ডিসেম্বরের অনুষ্টানগুলোতে বক্তব্য দেয়। এমনকি ক্লাস সিক্স,সেভেন এ যারা পড়ে তারাও স্পিচ দেয়। আমি তো পারিনা। আমি ভাবতে লাগলাম কেন আমি পারিনা বক্তব্য দিতে? আমার থেকে ছোট ক্লাসের এরাও তো শত শত ছাত্রছাত্রীর সামনে কথা বলছে তবে আমি নই কেন।  স্কুল জীবনে কথা বলতে পারিনাই। ভয় আমার জয় করা হয়নি।

এসএসসি তে এ প্লাস পাওয়ার পর অনেক জায়গায় যেতে হলো। সংবর্ধনা দিলো। এক জায়গায় আমার নাম দিয়ে বসছে যে আমি স্টেজে গিয়ে কিছু একটা বলবো। আসমান ভেঙে মাথায় পড়লো অবস্থা। আমি ? কেমনে ? আমি ব্যাক্তি মানুষ নারভাস হতে পারি তাই বলে এ প্লাসকে তো আর ছোট করতে পারিনা। এ প্লাস আমাকে অনেক সাহায্য করলো স্টেজে গিয়ে কথা বলতে। আমি ঘামে ডুবে যাচ্ছি,কথা মুখে আসে না ,হাতপা কাঁপে - এইগুলার মধ্যে দিয়ে জীবনের প্রথম পাবলিক স্পিচ দিলাম।


কলেজে উঠে ,ওরিয়েন্টেশন এ স্পিচ দিবে এই রকম একটা ছেলে ও একটা মেয়ে দরকার। কোনো কিছু না ভেবেই বলে উঠলাম আমি স্পিচ দেব। আমি আর গীতাঞ্জলি নামের একটা মেয়ে স্পিচ দিলাম প্রায় এক হাজার মানুষের সামনে।


শাহখাকী মাদ্রাসা (জুড়ীর একটা স্থানীয় মাদ্রাসা ) শিক্ষকতা করলাম ছয় মাস শুধু মাত্র আরো পাবলিক হওয়ার জন্য।


ওয়াসিংটন এ ,সিয়াটেল কলেজে নিজের দেশের হিস্ট্রি নিয়ে কথা বলতে হবে। নিজের দেশের হিস্ট্রি কে না চায় মানুষকে  জানাতে । ১৫ মিনিট কথা বলতে গিয়ে ওই প্রথম দিনের স্পীচের মতো লাগলো। কারণ এই স্পিচতা ছিল ইংলিশ এ।


নিউ ইয়র্কে এসে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এ কাজ। তাও আবার কাস্টমার সার্ভিস। কথা বলার কাজ। এক বড় ভাই কাজটা পাইয়ে দিলেন ,চির কৃতজ্ঞ উনার কাছে।

ASA  কলেজে এখন পর্যন্ত যে চার পাঁচটা স্পিচ দিয়েই দিলাম।  ভয় আর কাজ করে না।

ভয় আমার করবে না এখন মিলিয়ন মানুষের সামনে বাংলা ও ইংলিশ এ স্পিচ দিতে।


স্বপ্ন আমার স্পিকার হবো।