Friday, March 31, 2017

কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায় ২য় ও শেষ অধ্যায়

HTML হচ্ছে একটা বাড়ির দেয়াল,পিলার ,ছাদ বা ফ্লোরের মতো। এই গুলো একটা বাড়িকে যেমন কাঠামো দান করে ঠিক তেমনি HTML একটা ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার করে দেয়।

CSS হচ্ছে ওই বাড়িতে আপনি রং লাগলেন। CSS ওয়েবসাইটের ডিজাইনের কাজ করে দেয়।

নোট :  ডিজাইনার পর্যন্ত থেমে থাকতে চাইলে আপনাকে নিচের স্কিল গুলো কষ্ট করে শিখতে হবে না। তবে আপনি PHOTOSHOP,CSS,HTML,ADOVE RELATED সফটওয়্যার গুলোর ব্যাবহার শিখতে হবে। ফটোশপ আপনাকে শিখতেই হবে ভালো ডিজাইনার হতে চাইলে।

HTML এবং CSS শেখার পর আপনি আরও একটু উপরের ধাপে যেতে চাইবেন। সে ধাপ গুলো হচ্ছে

*  JAVASCRIPT
*  PHP
*  DATABASE

নোট : উপরের তিনটি যারা যারা ওয়েব ডেভেলপার হতে চান তাদের জন্য বাধ্যতামূলক।


 HTML এবং CSS যেভাবে ইউটিউব থেকে শিখছেন ঠিক তেমনি আপনি উপরের স্কিল গুলোও শিখবেন। যখনই দেখবেন আপনি অ্যাডভান্স লেভেল এ চলে এসেছেন তখনই আপনি কোনো প্রতিষ্টান থেকে কিছুদিন ক্লাস করে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে নেন। সির্টিফিকেট দরকার আছে বড় জব এর জন্য।

** ইনকামের ব্যাপার খুবই সহজ হয়ে যাবে যখন আপনি পুরোপুরি শিখে যাবেন।

অনলাইন,আউটসোর্চিং,টিচিং সহ আপনি দেশি বিদেশি কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন।
ভালো ইনকাম করতে হলে একটু তো কষ্ট করতে হবে। USA/GERMANY/ENGLAND/MIDDLE EAST  এ ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার বছরে বাংলাদেশি টাকায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।


নোট : ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আপনি আমাকে টেক্সট করতে পারেন। সাধ্যমত চেষ্টা করবো।



Wednesday, March 29, 2017

আমার দ্বিতীয় বই

আমার দ্বিতীয় বই পড়ার পর শ্রদ্বেয় বড় ভাই কোনো এক জায়গায় বললেন উনার ছেলেমেয়েদেরকে আমার বই পড়াবেন এবং ডাক্তার লুৎফুর রহমানের বই পড়িয়ে যে কাজ হতো তার খানিকটা আমার লেখনী করে দিবে। তিনি হয়তো নতুন স্বপ্নে বিভোর লেখককে উৎসাহ দেয়ার জন্য এমনটা বলেছেন তবে এর পর থেকে আমি ডাক্তার লুৎফুর রহমানকে খুঁজতে লাগলাম। গুণীজনদের খুঁজলে পাওয়া যায় খুব সহজে। এদের কাজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। কাজই এদের আসল পরিচয়। পেয়ে গেলাম যথারীতি। উইকিপিডিয়া এই গুণী লেখক নিয়ে পেজ খুলে বসে আছে কারণ তারা জানে এই মানুষগুলোকে পিপাসুরা খুঁজবে এক সময়। খুব যত্ন সহকারে পড়লাম। মোটামুটি একটা ধারণা পেলাম উনার সম্পর্কে। অবশ্য এর বেশি কিচ্ছু উইকিপিডিয়া দিতে পারবেও না।

 ডাক্তার লুৎফুর রহমানের চিন্তাধারার একটা নমুনা

 " লুৎফর রহমান বিশ্বাস করতেন, মানুষের শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে জ্ঞান এবং জীবনের সুন্দর বিশুদ্ধতম অনুভূতির নাম হচ্ছে প্রেম। উন্নত জীবন দর্শন মেনে চলতেন। লোকদেখানো এবং বংশগত সম্মানকে তিনি গ্রহণ করেননি " 


বিশ্বাস করেন প্রিয় ভাই আমি হয়তো উনার মতো হতে পারি নাই তবে আমি খুব করে চাই মানুষরা ভালো থাকুক। চিন্তার মুক্তি ঘটুক ,মনের অন্ধকার দূর হোক ,মানুষ  আনন্দে থাকুক,ভালোবাসায় ভেসে যাক মানুষ্য জীবন যা এই বড় চিন্তকের সাথে কিছুটা মিল আছে বৈ কি।  

Tuesday, March 28, 2017

আলোকিত মানুষ।। তারা কেমন ।। তাদের কয়েকজন


আলোকিত মানুষ।। তারা কেমন ।। তাদের কয়েকজন


মানব সভ্যতায় আলোকিতরা এসেছেন। সক্রেটিস প্রশ্নের দ্বারা মানুষ কে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি পথে প্রান্তরে যুবকদের পথের সন্ধান দিতেন। এই রকম আলোকিত মানুষের সংস্পর্শে এসে অনেকেই আলোকিত হয়েছেন। প্লটো সক্রেটিসের সেরা ছাত্র ও জগৎ বিখ্যাত।


হজরত মুহাম্মদ (স.ম) ছিলেন আলোক বর্তিকা। আরবের যে অন্ধকার ছিল তা তিনিই দূর করেছেন। মানুষের মর্যাদা আরবদের কাছে ছিল না। এই মহান মানুষ শুধু মাত্র যে অন্ধকার দূর করেছেন তা না ,তিনি এক সাথে একটা আলোর মিছিল মানব সভ্যতায় ছেড়ে গেলেন। অক্ষরজ্ঞানহীন এই বিস্ময়,এই আলোর শিক্ষক ইসলাম ধর্মের প্রচারক। এই আলোর যে মিছিল তিনি শুরু করেছিলেন এই মিছিলের সৃষ্টি উমর,আবু বকর,আলী ,উসমান। আজও এই মিছিলের সৃষ্টি অনেক মহাপুরুষরা আমাদেরকে আলোর পথ দেখান তবে কিছু সংখক আমরা এই মিছিলকে প্রায় নষ্ট করে দিয়েছি।

গৌতম বুদ্ধ যখন মানবতার কথা বললেন তখন উনারই ধর্মের লোকেরা উনাকে নাস্তিক বলে উঠলো তাই বলে কি তিনি আলোর পথ ছেড়ে দিয়েছিলেন ?  আসলে মানুষ মনে করে মানবতা আর ধর্ম দুই জিনিস কিন্ত তা না। হজরত মুহাম্মদ (স.ম ) সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেলেন। প্রকৃতপক্ষে মানবতা কী ? মানবতা হচ্ছে মানুষের কোনো ক্ষতি না করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের জন্য কাজ করা। এর বেশি কিছু না কিন্ত।

লালন সাই মানবতার অগ্রদূত। মুসলিম বা হিন্দু দুইটার কোনোটাই তিনি ছিলেন না কিন্ত কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন নি। কোনো ধর্মকে অবজ্ঞা করেন নি। কোনো ধর্মকে অসম্মান করেননি।  খুব সম্ভব আলোকিতরা অসস্মান করতে জানেন না ,ছোট করতে জানেন না ,অবজ্ঞা ও করতে পারেন না।
আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন ধর্মভীরু কিন্ত ধর্মান্ধ ছিলেন না। মসজিদের পাশে কবর দেয়ার আকুতি উনাকে বিশাল করে তুলেছিল মুসলিম সমাজে। কিন্ত যখনই সাম্যের গান গাইলেন তখনই ঝামেলা ঘটলো। আলোকিতরা মানুষকে সমান চোখে দেখেন। এরা নিজের ধর্ম মানেন ঠিকই কিন্ত অন্যের ধর্মকে আক্রমণ করে নয়।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ এত এত লিখে গেলেন তবুও আক্রমণ করলেন না। নিজের ধর্ম কিন্ত ঠিকই মেনে নিলেন এবং বিভিন্ন নাটক-গল্পে-উপন্যাসে হিন্দুয়ানি নাম ব্যবহার উনার হিন্দু ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধারই বহিঃপ্রকাশ।


আব্দুল্লাহ আবু সায়েদ স্যারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যে তিনিই আমাদের তরুণ প্রাণে আলোকিত মানুষ হওয়ার যে ব্রত নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তা এখন সফল। আমরা এই আলোকিত মানুষদের নিয়ে পড়াশুনা করলে আমাদের একটা শান্তির জায়গা তৈরী হবে। আমরা আমাদের ভেতরের সত্তাকে খুঁজে পাবো।


নোট : এখানে মাত্র কয়েকজন,যুগে যুগে অনেক আলোকিতরা এসেছেন।


Monday, March 27, 2017

কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায় অধ্যায় -০১ .......

কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায় অধ্যায় -০১ .......

বর্তমান সময়ে সব ধরনের ক্লাস বা শিক্ষাদান ভিডিও মাধ্যমে হচ্ছে এবং তা খুব সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। Learning through videos is the most effective way to learn anything.
এখন কোনো কিছু শিখার জন্য আপনাকে কোনো ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হচ্ছে না কারণ সুলভ মূল্যে ইউটিউব সেটা করে দিচ্ছে।

**  একজন ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে  প্রাথমিকভাবে যা যা করতে হবে।

ধাপ ১ : HTML OR Hypertext Markup Language. 

ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে একটা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ইউটিউবের সার্চবার-এ গিয়ে লিখেন  "HTML FOR BEGINNER" । এখন আপনি যে ভিডিও গুলো পাবেন সেগুলো মনোযোগ সহকারে কয়েকদিন স্টাডি করেন। 

Note:  ইংরেজী কম জানা থাকলে আপনি সার্চ করেন "HTML FOR BEGINNER BANGLA" ।

ধাপ ২ : CSS OR Cascading Style Sheet

যখনই দেখবেন আপনি HTML শিখে ফেলছেন তখনই "CSS FOR BEGINNER" সার্চবার -এ সার্চ করুন। এই ভিডিও গুলোও ভালোভাবে দেখুন আর সাথে প্রাকটিস করতে থাকুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ ঘন্টা প্রাকটিস আপনাকে ভালো একজন ওয়েব ডিজাইনার করে তুলবে। 

Note:  ইংরেজী কম জানা থাকলে আপনি সার্চ করেন "CSS FOR BEGINNER BANGLA" ।

ধাপ ৩ : শিখতে থাকুন,প্র্যাক্টিস করুন,লেগে থাকুন ,গার্লফ্রেন্ডের মোবাইল -এ ফ্লেক্সি না দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগটা ধরে রাখুন। 

পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য অপেক্ষা করার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি না কারণ লাভ আপনারই যদি আপনি ওয়েব ডিজাইনার হয়ে যান।  

Sunday, March 26, 2017

বাংলাদেশের আর্মি

বাংলাদেশের আর্মি গোটা পৃথিবীর বিস্ময় ,আর আমাদের গর্ব। 

Friday, March 24, 2017

একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার

কিভাবে একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার হওয়া যায় -সেটা নিয়ে লিখবো লিখবো ভাবছি। 

ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার ঘরে বসে কিভাবে ইনকাম করবে সেটা নিয়ে লিখবো ভাবছি। 

নিজের পড়াশুনার পাশাপাশি আপনারা এটা শিখতে পারবেন এটা নিয়ে লিখতে যাচ্ছিলাম। 

এর জন্য আপনার সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড লাগবে না এটা কেমন করে লিখার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া যায় চিন্তা করছি। 

এটা শিখার জন্য খুব বেশি সময় লাগবে না এটাও কিভাবে  বলা যায় লেখার মধ্যে - এটা নিয়ে ভাবছি। 





Wednesday, March 22, 2017

সিদ্ধান্ত নিলাম :

সিদ্ধান্ত নিলাম :

সিদ্ধান্ত নিলাম প্রতিদিন সকালে উঠেই বলবো আমিই সেরা। আমার প্রাণ আছে। আজকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার অনেক মিরাকল ঘটতে পারে। আমি হয়তো আজকেই জীবন পরিবর্তনকারী কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি। দিনগুলি এইভাবে আমি ইতিবাচকভাবে শুরু করবো।

সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার তো দূরের কথা উচ্চসুরে কথা পর্যন্ত বলবোনা। সিদ্ধান্ত নিলাম গতকালকে যাকে অপমান করে কথা বলেছি তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবো।

সিদ্ধান্ত নিলাম আজকেই কাউকে না কাউকে খুশি করবো। খুশি কি শুধু কিছু দিয়ে করতে  হয় ? মোটেও না। তাহলে ? প্রশংসা করলেই পাথর ও হেঁসে উঠতে বাধ্য আর মানুষ তো জগতের সবচেয়ে সুন্দর প্রাণী। এও সিদ্ধান্ত নিলাম যে আজ থেকে মানুষের প্রশংসা করবো।

সিদ্বান্ত নিলাম আজ থেকে অগোছালো জীবন চাইনা বলে উঠবো। আজকে থেকেই একটা রুটিন লাইফ লিড করবো।যেমন একজনের মানুষের রুটিন এরকম হতে পারে :-

 ১। সকাল ফজর নামাজ বা মর্নিং প্রেয়ার (যার যা ধর্ম )
২। নাস্তা করা
৩। খানিকক্ষণ ডেইলি প্রত্রিকা পড়া
৪। কাজে বা শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাওয়া
৫।  যাওয়ার সময় বাসে বা সি এন জিতে বসে বই পড়া-ক্লাসে করা
৬। আড্ডা দেয়া বা প্রিয় মানুষদের থাকে সময় কাটানো।
৭। বিকালে আবার আড্ডা দেয়া। হুহাহাহাহাহাহাহাহাহ।
৮। সন্ধ্যায় ঘরে এসে পরিবারের মানুষদের সাথে সময় কাটানো।
৯। হোমওয়ার্ক অথবা এসাইনমেন্ট শেষ করা।
১০। ঘুমানোর আগে আগে বই পড়া অথবা টিভি দেখা।

ব্রি দ্রঃ একেক জনের জীবনযাপন একেকরকম হতে পারে। এটা একটা রুটিন লাইফের স্যাম্পল।

সিদ্বান্ত নিলাম আজকে থেকে হতাশ হবো না।সব সময় হাসিখুশি থাকবো। প্রত্যেকটা মুহূর্তকে সৃস্টিকর্তার অমূল্য গিফট ভেবে জীবন নিয়ে আনন্দে থাকবো। সিদ্বান্ত নিলাম আজকে থেকে প্রানভরে নিঃশ্বাস নিব আর পাশের মানুষদের নিয়ে সুখে থাকবো।

সিদ্ধান্ত নিলাম আজ থেকে একটু একটু করে জীবনকে গিফট ভাববো। জীবনের সব রং দেখতে পাওয়া ,জগতের সব ঘ্রান নিতে পারা আর হাজারো মাইল পথ অতিক্রম করার যে শক্তি আমাদের শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছি তার জন্য সৃস্টিকর্তার প্রতি প্রতিনিয়ত খুশি থাকবো।

জীবন সুন্দর।


Tuesday, March 21, 2017

আজকে থেকেই

 আজকে থেকেই

যাকে ঘৃনা করি তাকে আজ থেকে ঘৃনা করবো না। ঘৃনা আমরা করি কেন ? কারণ আমাদের সাথে কারো না মিললে বা কারো আচরণ আমাদের আচরণের মত না হলে আমরা একটু একটু ওই মানুষটাকে খারাপ পেতে শুরু করি। এই খারাপ লাগা থেকে জগতের সবচেয়ে ঘৃণ্য জিনিসটার উদ্ভব ঘটে আমাদের মাঝে আর সেটা হচ্ছে অন্যকে ঘৃনা করা।  আমরা বুঝতে চাইনা যে এই ধরণীর প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা। সবাই যার যার মতো। আর যে ঘৃনা পুষে রাখে সে কখনো শান্তিতে থাকতে পারে না।

আজ থেকে যাকে যাকে টেক্সট করতাম না তাকে টেক্সট করবো। আপনার একটা ইগো বা অহংকার বিসর্জিত একটা টেক্সট আরেকজনের খুশির কারণ হতে পারে। আপনার শুধু হ্যালো ,কেমন আছিস টেক্সটগুলি আরেকজনের একটা দিন আনন্দে ভরিয়ে দিতে পারে।

আজ থেকে যাকে অবহেলা করতাম তাকে ভালোবাসবো। ভালোবাসলে মনের গহীনে পবিত্রতার জন্ম হয়। যে আমাকে ভালোবাসে না তাকেও ভালোবাসবো।

আজ থেকে আরো একটু নরমভাবে হাঁটবো,কথা বলবো। আরো একটু নরমভাবে বসবো। বসার মাঝে বড়ত্ব ,কথার মাঝে নিজের মহত্ব আর চলার নিজের আমিত্ব দেখাবো না। আজ থেকে খুব মনোযোগ সহকারে মানুষের কথা শুনবো। সব মানুষকে গুরুত্ব দিব।

আজ থেকে বই পড়বো। বাসে,ট্রেনে অথবা অন্য কোনো অলস সময়ে। বই আমাদের সব অন্ধকার  দূর করে দিয়ে সুন্দরের দিকে ডাকে।

আজ থেকে পরিবার,বন্ধুবান্ধব,অতীয়স্বজন,প্রতিবেশী ও সমাজ নিয়ে খানিকটা ভাববো। এদের অনেক অবদান আছে আমাদের উপর।আজ থেকে রিস্কাওয়ালাকে বয়স অনুযায়ী ভাই-ভাতিজা-চাচা বলে সম্মোধন করবো।

আজ থেকে গ্রামের পথ বেয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েটির দিকে চেয়ে বেগম রোকেয়ার বা সুফিয়া কামালের উত্তরসূরী বলে মনে মনে বিড়বিড় করবো। আজ থেকে নিজের থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট ছেলেটাকে তুই বলে ডাকবোনা কারণ তুমি বললে সে খুশি হবে।

আজ থেকে বাসায় গিয়ে ফেসবুক নিয়ে বসে সময় নষ্ট করবো না। চুটিয়ে জগড়া করবো করবো ভাইবোনের সাথে কারণ জগতের সুন্দরতম দৃশ্য ভাইবোনের জগড়া।

আজ থেকে তরকারীতে চুল পেলে মায়ের উপর রাগ করবো না কারণ তিনি ইচ্ছে করে ফেলেননি চুলটা। আর রান্নার সময় যা কষ্ট হয় তা এক চুলের কারণে উপেক্ষিত হয়ে গেলো ?

বাবার সাথে কথা কাটাকাটি করবোনা কারণ একমাত্র বাবারাই চায় ছেলেটা জগৎ বিখ্যাত হোক। একমাত্র বাবারা চায় তার ছেলেটা তার নিজের থেকে উপরে উঠুক।

আজ থেকে সব বিনাশকারী জিনিস থেকে দূরে থাকবো কারণ আমরা যখন যার যা ক্ষতি বা বিনাশ করি সবকিছুই আমাদের কাছে চলে আসে এক সময়।

আজ থেকে নিজের মনের বিরুদ্ধে যাবো যখন মন খারাপ কিছু উস্কে দেয়ার চেষ্টা করবে। আজ থেকেই আমি মানুষ হওয়ার সংকল্প করবো। 

Monday, March 20, 2017

আমার বিলাসিতা

একদিন যেগুলোকে খুব করে অবহেলা করেছি আজ এগুলিই স্বপ্নের ঘোরে চলে আসে। এইগুলো আজ বিলাসিতা। প্রায় অধরা।

এই যেমন গ্রামের পথ বেয়ে হেঁটে যাওয়া। ফেসকুকিং অথবা গুগলিং করতে গিয়ে ভাইবোনকে সময় কম দেয়া।  অথবা তিন বছর আগে প্রেমে পড়া মেয়েটিকে সময় দিতে গিয়ে নিজের পরিবার তথা আম্মুকে কম সময় দেয়া।

আহা জীবন আমরা বুঝিনা ,বুঝতেও পারবো না।


Saturday, March 18, 2017

মন খারাপ

 মন খারাপ হলে তা উদযাপন করা। এটা আমার নিজেরই কথা।  আজকে মনে হচ্ছে এই রকম একটা উদযাপন দরকার। খুব দরকার কারণ অনেক দিন এই রকম উদযাপনের দরকার হয় নি।

ইট-পাথরের এই শহরে সবই আছে ,মন খারাপ করে একলা এক জায়গায় বসে থাকার স্থান নেই ।


Thursday, March 16, 2017

Hizbur's second book -আপনিও সফল হবেন

বড় কলেবরের বই এই বছর শেষে আসতেছে। লিখা শুরু করবো আজ থেকেই। এই বইতে যে অক্ষমতা আমার ফুটে উঠেছে সেটা হচ্ছে বইটা বড় হয়নি। আমার আবেদন আপনাদের কাছে বইটা পড়ার জন্য। ভুলগুলো আপনাদের কমেন্টে পরিণত করেন আর আমাকে একটু একটু করে একজন সফল লেখকে পরিণত করেন। 

ডাউনলোড করেন নিচের লিংক থেকে। 

আপনিও সফল হবেন  - PDF



Friday, March 10, 2017

আমাদের মানুষ হওয়া


আদর্শ ছেলে
– কুসুমকুমারী দাশ
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?
মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন
“মানুষ হইতে হবে” — এই তার পণ,
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান,
নাই কি শরীরে তব রক্ত মাংস প্রাণ ?
হাত, পা সবারই আছে মিছে কেন ভয়,
চেতনা রয়েছে যার সে কি পড়ে রয় ?
সে ছেলে কে চায় বল কথায়-কথায়,
আসে যার চোখে জল মাথা ঘুরে যায় |
সাদা প্রাণে হাসি মুখে কর এই পণ —
“মানুষ হইতে হবে মানুষ যখন” |
কৃষকের শিশু কিংবা রাজার কুমার
সবারি রয়েছে কাজ এ বিশ্ব মাঝার,
হাতে প্রাণে খাট সবে শক্তি কর দান
তোমরা মানুষ হলে দেশের কল্যাণ |

বড় বড় কথায় কেউ বড় হয় না,কাজ দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। এই সুন্দর জীবনে সমস্যা আছে ,আছে তার সাথে সমাধান ও। বিপদে শক্ত থাকতে কবি সাহস দিয়েছেন।যারা চিন্তা করতে পারে তারা থেমে থাকে না ,তারা পথ ঠিকই বের করে নেয়। বীরু ও নির্জীব মানুষকে কেও চায় না আর চাইবেই বা কেন। এখানে বীরু বলতে কবি আত্মবিশ্বাসহীনতাকে বুঝিয়েছেন। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে কাজ করতে হবে। এখানে কাজ বলতে কবি শুধু কাজকে বুঝান নি। এখানে কাজ মানে স্বপ্ন,ইচ্ছে আর গন্তব্য কেও বুঝিয়েছেন। সমগ্র কবিতায় কবি যে জিনিসটা খুব সূক্ষভাবে জুড়িয়ে দিয়েছেন তা হচ্ছে আমাদের মানুষ হওয়া।

এই কবিতার আট লাইন ১০ মার্কসের জন্য বরাদ্ধ ছিল। শিক্ষকরা (সবাই না ) ও পার পেয়ে যেতেন কোনোভাবে মুখস্থ করাতে পারলে। এই কবিতাগুলোর মধ্যে যে মানুষ হওয়ার ব্যাকুল আবেদন তা আমরা নিতে চাইনি বলে আমরা অনেকেই আজ ও পুরোপুরি মানুষ হতে পারলাম না। 

"মানুষ হওয়া " আবার কি ? আমরা তো মানুষ আছিই অনেকেই এটা ভাবি। মানুষ হওয়া নিয়ে কেন এত এত লিখলেন কবি-লেখকরা বা লিখতেছেনই বা কেন ?