Saturday, September 24, 2016

উচ্চাকাঙ্খা

উচ্চাকাঙ্খা বা উঁচুতে যাওয়ার ইচ্ছে এমন একটা অনুভূতি যা আমাদেরকে সজীব রাখে ।এম্বিশন (ambition) আমাদেরকে চলতে সাহায্য করে। স্বপ্ন,ইচ্ছে,আকাঙ্খা ,নিজেকে একটা জায়গায় দেখা -এই সবগুলোই এম্বিশনের একেকটা নিয়ামক।
যাদেরকে দেখে আমরা মাঝে মাঝে চমকে যাই আর মনের অজান্তে বলি এটা কেমন করে সম্ভব। এই বিশাল বিশাল মানুষগুলো সব পথ পেরিয়ে উঁচুতে পৌঁছেছে এম্বিশন নামক গেট দিয়ে। আর সব সফলতা অর্জন করেছে এম্বিশন নামক সাগরে সাঁতার কেটে। সব সম্ভবের মূল হচ্ছে এম্বিশন বা গভীরভাবে ইচ্ছে করা। জগতে যারা শুধু মেধাবী তারা বড় হয় না , তারাই বড় হয় যারা মেধার সাথে স্বপ্ন মেশায় ।স্বপ্নবাজ বা উচ্চাকাংখীরা কম মেধাবী হলে ও বড় হয়ে যায় এবং তারা আমাদের আশেপাশেই। স্বপ্ন দেখেন,বড় হন আর দেশ ও জাতিকে গর্বিত করুন।

Friday, September 16, 2016

বিনয় ও আমরা
মানুষ তার জীবদ্বশায় অনেক গুণ নিয়ে বাঁচে। বিনয়ের মত আরেকটা গুণ মানুষ পায় না ,পাবেও না। বিনয় মানুষকে উচ্চাসীন করে। বিনয়ীরা খুব কম বিপদে পড়ে। বিনয়ীদের আমি অবাক হয়ে দেখি আর এদের কাছ থেকে শিখি। দেশ ও জাতিতে জাতিতে এমন অনেক আছেন যাদের অবস্থা দিন আনে দিন খাওয়া টাইপ তারপর ও দেখবেন তাদের এক ফুটা সম্মানের কমতি নেই। এদের মানবীয় গুণাবলী আকাশচুম্বী। আর সব গুণাবলীর কেন্দ্রবিন্দু বিনয়। আমি বিনয়ীদের আশপাশে থাকি-এরা এদের বিনয়ী ভাব দিয়ে বুঝিয়ে দেয় মানবজীবন একটা মহাসমুদ্র আর মানুষ একটা জাহাজ  ন্যায়। জাহাজ যেমন বরফবিহীন পানিতে সহজে চলে টিক তেমনি মানুষ রূঢ়তা,অহংকার ,ক্ষটিনতা ছাড়া  মিশে যায় আলোতে,সহজে-সরলে  । জীবন অসহ্য রকমের সুন্দর ,খুঁজে নিতে হয়। 

Tuesday, September 13, 2016

কুরবানী -ছেড়ে দাও তোমার ক্ষুদ্র ভালোবাসাকে মহৎ স্বার্থের জন্য

মহান আল্লাহ কুরবানীর মাধ্যমে কী শিক্ষা দিলেন বা আমরা কুরবানীকে কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছি।
কুরবানী -ছেড়ে দাও তোমার ক্ষুদ্র ভালোবাসাকে মহৎ স্বার্থের জন্য।যদি আপনি একজন ভালো মানুষ হতে চান তাহলে আপনাকে অনেকগুলি কুরবানী দিতে হবে। সেগুলি কী কী ?
মিথ্যা কথা,অন্যের ক্ষতি করা,পরশ্রীকাতরা,হিংসা - এগুলোসহ আরো যা  আছে যেগুলো সমাজ ও মানুষের জন্য কল্যানকর নয় ঐগুলা ও কুরবানী দিতে হবে। পড়াশুনায় ভালো রেজাল্ট,বড় কোম্পানিতে চাকরি ,ব্যাবসায় সফলতা এইগুলার জন্য উপস্থিত অনেক আনন্দকে কুরবানী দিতে হবে। জীবনকে সুন্দর করতে চলার পথে কুরবানী দিয়ে চলতে হবে। বাঁচুন উৎসবে,বাঁচুন আনন্দে। 

Thursday, September 8, 2016

দক্ষতা :
ধরে নেই বিল গেটসের কোম্পানি মাইক্রোসফট আর নেই। ধরে নেই তার জমানো পাহাড় সমান টাকা আর নেই। তাহলে কি বিল গেটস পথে বসে যাবে ? উত্তর,ভুলেও না। কেন না ? যে গড়তে জানে সে শিব ও গড়তে পারে,বাদর ও গড়তে পারে।সব চলে গেলেও বিল গেটসের স্কিল ও কি চলে যাবে ?তার গড়ার যে দক্ষতা গড়ে উঠেছে তা কি নিঃশেষ হয়ে যাবে ?বিল গেটসের বিলিওনাইরী হওয়ার পেছনে কি আছে ? স্কিল বা দক্ষতা। মার্ক জুকারবার্গ ৮-১০ বছরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হওয়ার পেছনে ও কিন্তু তার স্কিল কাজ করছে। জায়েদ করিম একজন বাংলাদেশী বংশোভুদ। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউবের ফাউন্ডার। ইউটিউবকে গুগুলের কাছে বিক্রি করেছেন অনেক আগেই। বিক্রির সময় কি উনার দক্ষতা ও বিক্রি করে দিয়েছেন ? মনে হয় না।  হাতে কলমে কিছু শিখে রাখুন। জীবনে অনেক কাজে আসবে। হাতে কলমে শিক্ষা এখন এই শতকের একমাত্র সম্পদ। "আমাদের সমৃদ্ধ একটা মানব সম্পদ আছে যার বেশির ভাগ তরুণ " ,জাফর ইকবাল স্যার। চলুন নিজে বড় হই,দেশকে ও বড় করি। 

Saturday, September 3, 2016

জীবনটাই মুরিময়।

আমি হতাশ হয় যখন ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগে কারণ এরা আশা জাগাবে,এরা অন্যকে পাল্টাবে,এরাই উচ্ছসিত থাকবে নিত্য নতুন জিনিসকে নিয়ে।  নিজেকে নিয়ে এই হতাশাগুলো তাদেরকে যেমন নিচের দিকে নিয়ে যায় তেমনি আসপাশের মানুষদের ও হতাশ করে। নিজে না হাসলে অন্যকে হাঁসানো যায় না। নিজে আনন্দে না ভাসলে অন্যকে ভাসাবে কি করে? গত কালকে বাংলাদেশের এক বিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মুখে হতাশা শুনে আমিও হতাশ। দেশে নাকি জব নাই। সবই বেকার। কেউ কি কখনো শুনেছেন বা দেখেছেন যে একজন মানুষ পড়াশুনা শেষ করেছে আর বেকার থেকেছে বছরের পর বছর। না ,কেউ বেকার থাকেনা দীর্ঘ সময়ের জন্য।যাইহোক , ৯-৫ ওয়ার্ক ছাড়া আর কিছু হতাশাগুলো বুঝে না।এদের চোখের সামনে ফুচকার মামা মাসে ৩৫-৪০ হাজার টাকা উপার্জন। এরা তা দেখবে না ,এরা বিদেশ এসে রেস্তুরায় প্লেট ধৌত করতে রাজী,এরা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ডুকবে আর এই ঘুষের টাকা বের করবে গাধার মত বছর দুয়েক খেটে।এরা দেশের জন্য বোঝা। চোখের সামনে কিছু লোক মুরি খায় আর কিছু লোক মুরি বিক্রি করে। জীবনটাই মুরিময়। 

Friday, September 2, 2016

আমরা সবাই সুখী হতে চাই। সুখ কি অধরা ? সুখ আমাদের আসে পাশেই। আমাদের মাঝ থেকে সন্তুষ্টি জিনিসটা প্রায় উঠেই গেছে। এই যে আজকে সকালের নতুন সূর্যটা দেখলাম তার কোনো মূল্য নেই,দিনের শুরু হতেই না হতে মায়ের সোনা মুখটা যে দেখলাম তার ও মূল্য নেই,দশ টাকার একটা নোটের জন্য কোটি টাকার জগড়া করে যে প্রাণের ভাইবোনগুলো এই গুলার ও মূল্য নেই।  মূল্য শুধু কী পাইনাই আর কী পেলাম এর মাঝে। পাওয়ার মাঝে সুখ থাকতে পারে না ,যেটা থাকে সেটা ক্ষনিকের আনন্দ। সুখ উপলব্ধির মাঝে,সুখ দেয়ার মাঝে। জগতে যারা দিতে জানে,তাদের ক্ষয় নেই। অন্ধকারে আলো বিলিয়ে চাঁদ কখনো শেষ হয়ে যায় না ,মা মায়া বিলিয়ে শেষ হয় যান  না বরং মা থেকে মমতাময়ী,মায়াবতী,মহান,মহিয়সী এই শব্দগুলার উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে ।দেয়া শিখতে হবে,দেয়ার চর্চা করতে হবে। কিছুই নেই দেয়ার এই কথা মিথ্যা। অন্যের সামনে প্রাণ খুলে হাসা মানে অনেক কিছু দেয়া,সুন্দর আচরণ করাটা ও দেয়া। প্রতিটা মুহূর্ত আনন্দে কাটুক,একসময় যাতে নিজেকে বলতে পারি কত আনন্দেই না ছিলাম,কত উদযাপনেই না ছিলাম। জীবন সুন্দর।বেচেঁ থাকার আনন্দে বাঁচি।