Tuesday, April 25, 2017

একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং মোটিভেশনাল লেখক



একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং মোটিভেশনাল লেখক ও বক্তা দুইটি দুই মেরুর অথচ কেন আমি বেছে নিলাম ?

এই পোস্টটা কয়েকজনের প্রশ্নের উত্তর :

আমি ষষ্ট শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত গণিতে পাশ মার্ক্স্ পাই-ই নাই। সেই আমি এসএসসি তে এ প্লাস পাই। আমি জানি আমার আম্মুর একবার মাথায় হাত বুলানো অথবা এক গ্লাস দুধ বা হরলিক্স নিয়ে এসে বলা " বেশ করে পড়,স্কুলের প্রথম এ প্লাস তোমাকেই পেতে হবে " আমার কাছে মোটিভেশন ছিলো।

সেই আমি আবার এইচ এস সি তে এ প্লাস পাওয়া পরিবার তথা নিজের মোটিভেশন কে ঘিরেই।

যখন কোনো জায়গায় চান্স পেলাম না তখন চারিদিক অন্ধকারে ডেকে গেলো। আমি হতাশায় নিমজ্জিত। লজ্জায় জর্জরিত। সব কিছু ছেড়ে চলে এলাম দেশ থেকে। আমি কোনো দিন বাইরে আসার কথা ভাবিও নাই। দেশে ভালো কিছু করার ইচ্ছে আমার ছোটবেলা থেকে। এই অন্ধকার সময়ে এই মোটিভেশন আমাকে ভেঙে পড়তে দেয় নি।

এখানে আসার পর যখন চার চারটা মাস ভাত-মাছ ছাড়া অনাহারে ছিলাম তখন এই মোটিভেশন হেল্প করছিলো। তখন মনে হত এইটাই জীবন,এই জীবনের কষ্টের সময় আছে। চলে আসলাম নিউ ইয়র্ক আমার প্রাণের শহরে। আহা এই শহরটা,প্রাণের শহর।

এখানে আসার পর আমার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেলো। যে আমি একটা সাদা পেপার আর একটি কলম দিয়ে সারা জীবন পার করতে রাজী সেই আমায় পড়াশুনা নিজেই বাদ দিয়ে দিলো ?
আহা জীবন বড়ই নির্মম - মনে হতে লাগলো।  পড়ালেখা হচ্ছে না বলে দেশে চলে যাওয়ার ও চিন্তা করছি কিন্ত মনে হলো দেখি না কি হয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা,আম্মুর হাজারো আহাজারি ও দোয়া আর নিজের প্রচেষ্টা আমাকে আবার পড়াশুনার পথ বের করে দিলো। যেদিন কলেজের শেষ ক্লাস করে আসলাম সেদিন মনে হতে লাগলো প্রতিটা নিঃশাস আজ আনন্দের।

এই সব ধাপে মোটিভেশন আমাকে এত শক্ত রেখেছে যে আমি আমার প্রফেসশনের পাশাপাশি মোটিভেশনকে বেছে নিয়েছি যেন সারা জীবনে কমপক্ষে একজন মানুষকে বুঝাতে পারি -এই জীবন অনেক সুন্দর আর দৃড় প্রতিজ্ঞা করলে সৃষ্টিকর্তা তা পূরণ করেন।

বি : দ্র : আমার মোটিভেশন হচ্ছেন আমার আম্মু।









Monday, April 24, 2017

কিভাবে খুশি থাকা যায় ?

কিভাবে খুশি থাকা যায় ?

বেশির মানুষ দেখবেন - খাওয়া-দাওয়া-কাজ আর ঘুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

আসলে কি তারা সুখী ?

না,তারা একগুঁয়ে হয়ে গেছে। তারা মনে করে এটাই জীবন। আপনি তত সময় জীবনকে আনন্দে ভাসাতে পারবেন না যত সময় মানুষের জন্য কিছু না করছেন।


মানুষের জন্য কিছু একটা করা তো কঠিন কাজ। হ্যা তা ঠিক। মানুষের জন্য কিছু করার সামর্থ আমার নেই.তো কিভাবে করবো ?

ধরুন,আপনি একজন শিক্ষক।  মাস শেষে শুধু বেতন পাওয়ার কথা চিন্তা করেন তাহলে মানুষের জন্য কিচ্ছু করা হলো না। মনের মাঝে যদি ছেলেমেয়ে গুলোকে মানুষ করতে হবে এই বাসনা পোষণ করেন এবং সেই লক্ষে এগিয়ে যান তাহলে মানুষের জন্য কিছু করা হলো।

আপনি যখন রিকশায় করে যাচ্ছেন,অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় নেমে পড়ুন। পরিশ্রমী চাচাকে খানিকটা সাহায্য করেন। গন্তব্যে পৌঁছার পর বিশ টাকার জায়গায় ত্রিশ টাকা দিয়ে দেন। দশ টাকার নিয়মের বাইরে গিয়ে দেয়াটা মানুষের জন্য কিছু করা।

কিচ্ছু করতে না পারলে,মানুষের সাথে হাঁসি মুখে কথা বলুন। এরকম অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের হাসি দেখে হাসতে শিখে। শুদ্ধ আচরণ করুন। অনেকে ভালো আচরণ পেয়ে ভালো আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায় আর ভালো হওয়ার চেষ্টা করে। এইগুলোও মানুষের জন্য কিছু করা বুঝায়।

Sunday, April 23, 2017

একটা পাঁচ সেকেন্ডের কাজ :

একটা পাঁচ সেকেন্ডের কাজ :

পাঁচ সেকেন্ডে মাকে বলতে পারি,এত দেরি করে খাচ্ছ কেন ?
পাঁচ সেকেন্ডে আমরা বোনকে/ভাইকে একটা চিমটা দিতে পারি।
পাঁচ সেকেন্ডে বাবাকে বলতে পারি,এই মাসের বিল দিতে আমি যাবো।
পাঁচ সেকেন্ডে আমরা বলতে পারি আজ আমি অনেক খুশি।
পাঁচ সেকেন্ডে আমরা বলতে পারি আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
পাঁচ সেকেন্ডে আমরা কাওকে বলতে পারি,আপনাকে আজ অনেক প্রাণবন্ত লাগছে।
পাঁচ সেকেন্ডে বন্ধুকে বলতে পারি,তুই আমার জীবনে আশীর্বাদ।
পাঁচ সেকেন্ডে স্ত্রীকে/গার্লফ্রেন্ডকে বলতে পারি,এই হাসিটা আর কেও দিতে পারে না।
পাঁচ সেকেন্ডে বলতে পারি,পাঁচ সেকেন্ডের একটা কাজ যদি দিন তথা জীবন সুন্দর করে দেয় তাহলে করবো না কেন ?




Thursday, April 20, 2017

আপনারা যারা মানুষকে উৎসাহ দিতে পছন্দ করেন


আপনারা যারা মানুষকে উৎসাহ দিতে পছন্দ করেন  তারা চাইলে আমাকে ইমেইল করতে পারেন আপনার লিখা পাঠিয়ে।

আপনার যে কোনো লেখা/ মতামত আমার  কাছে পৌঁছে দিতে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: 
hizbur_jibon@yahoo.com অথবা আপনি মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দিতে পারেন।

https://goo.gl/yygQNk এই লিংকটি ক্লিক করে আপনি আমার ব্লগে ভিজিট করতে পারেন।  



In English : 


You who love to inspire people,you can send your writings to me through emailing.
You can email me : hizbur_jibon@yahoo.com or place me a message in my messenger.

https://goo.gl/yygQNk  this is the blog I run to inspire people.


পরিবার

সফল হবেন আপনিও বইটিতে আমি খুব কম লিখেছি পরিবার সম্পর্কে। পরবর্তী লেখাগুলোতে পরিবার নিয়ে লিখবো। গত মাসে রাচেল ম্যাচি স্টাফোর্ড এর Only Love Today বইটি পড়ার পর মনে হলো যদি আরো একটু বড় করে,সুন্দর করে পরিবার নিয়ে লিখতাম তাহলে একটা আত্মতৃপ্তি হয়তো আসতো। 

লেখিকা এত সুন্দর করে পরিবার জিনিসটাকে উপস্থাপন করেছেন তা বর্ণাতীত। 

ছোট্ট পরিসরে পরিবার নিয়ে লিখাটার স্ক্রিনশট নিচে জুড়ে দেয়া হলো : 


Tuesday, April 18, 2017

বিসনেস টক / CAREER TALK :

বিসনেস টক / CAREER TALK :

এক বাদাম বিক্রেতার কথা বলছিলাম। কিভাবে একজন বাদাম বিক্রেতা সাধারণ একজন চাকরিজীবী থেকে বেশি আয় করেন এবং এটা খুব সহজভাবে আর সম্মানের সহিত।

এখন অনেকেই এটা করতে যাবেন না। বাংলাদেশে এটা এতটাই হানিকর তা বলে বুঝানো যাবে না। যখন আমার আপনার মাস্টার্স পাস্ করা বোন বা মেয়েকে আমেরিকান/ইউরোপীয়ান অথবা মিডল-ইস্টার্ন তালা-বাসন পরিস্কার করা ছেলের কাছে বিয়ে দেয়া হয় তখন সব আলহামদুলিল্লাহ।

আমেরিকান/ইউরোপীয়ান অথবা মিডল-ইস্টার্ন তালা-বাসন পরিষ্কার করা মানুষদের অসম্মান করা হচ্চে না। এখানে আমাদের দেশের মানসিকতার কথা বলতে গিয়ে একথা বলতে হচ্ছে। বিদেশে কর্মরতরা দেশের অর্থনীতির চাকা চালাচ্ছে।

আসল কথায় আসি , চাকরি করেন যে কোনো একটা। ৩,০০০-৬,০০০ হাজার টাকার জব বাংলাদেশে এখন অনেক। এই জবগুলো খুবই এভেইলেবল। তবে এটা একটা ট্রিক মাত্র। এইটার সূত্র ধরে বাকি কাজগুলো বের করা। এই যেমন একটা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করলে তারা আপনাকে ৩৫০০ টাকার বেশি দিবে না। যদি নিবন্ধনকৃত শিক্ষক হন সে ক্ষেত্রে টাকা একটু বেশি হবে।  আপনি প্রাইভেট পড়িয়ে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা খুব সুন্দরভাবে ইনকাম করতে পারবেন যদি স্টুডেন্টদেরকে ইমপ্রেস করতে পারেন। অনেকেই এটা করতেছে।


একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই একটা হাতে-কলমে করা যায় এমন একটা স্কিল বা দক্ষতা করে নিতে হবে। এই যেমন একই সাথে আপনি একজন ইলেক্টিকট্রিসিয়ান ও শিক্ষক হতে পারেন।আবার একই সাথে আপনি একজন ব্যাংকার ও প্রাইভেট টিউটর হতে পারেন।

হয় খুবভালো করে একটা জিনিস নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন আর যদি দেখেন যে একটা জিনিস নিয়ে হচ্ছে না তাহলে আপনাকে অবশ্যই মাল্টিপল কাজ করতে হবে।

প্রত্যেক মাসে একটা ডিপোজিট একাউন্ট করে ইনকামের ৩০% সেভ করেন। ডিপোজিট একাউন্ট এ আপনি এই জন্য টাকা রাখবেন কারণ আপনাকে প্রত্যেক মাসে তা রাখতে হবে। যখন বাঙালির জন্য কোনো কিছু বাধ্যতামূলক হয়ে যায় তখন বাঙালী সব পারে।

Friday, April 14, 2017

জীবনের সব রং










যেখানে মৃত্যুর সাথে সাথে জীবনের সব রং মুছে যাবেসেখানে প্রত্যেকটা মুহূর্ত কেন উপভোগ করবো না ? 


                                          হিজবুর রহমান জীবন                                                       মোটিভেশনাল লেখক ও বক্তা   












Thursday, April 13, 2017

নারী/মহিলা বা মেয়ে মানুষ বলতে আমরা অপেক্ষাকৃত কোনো এক দূর্বল সত্তাকে চিন্তা করি। অথচ একজন মহিলা একজন মা,একটা বোন,একজন বউ।এই নরম শরীরের গন্ধ নিয়ে,স্পর্শ নিয়ে বড় হই আমরা। এই আমাদের মাঝে অনেকেই দিক্ববিজয়ী মানুষে পরিণত হই আবার এই আমরাই দুই হাত-পা -চুখ-কান নিয়ে মানুষের ধারে কাছে যেতে পারি না।

আমাদের সংযম ক্ষমতা আছে,আমাদের আছে বিবেক বুদ্ধি আর মহানুভবতা।এই অসীম ক্ষমতা গুলো কাজে লাগিয়ে আমরাও হয়ে যাবো সভ্যতার সুন্দর মানুষের ন্যায়।


 চলুন আমরা পহেলা বৈশাখ,ঈদ,পূজা উদযাপন করি মানুষ হয়ে মানুষের সাথে।




Saturday, April 8, 2017

ইংরেজীর দূর্বলতা ও দূরীকরণ - পার্ট -০২

কেন ইংলিশ শিখতে হবে তা জানতে হলে ক্লিক করুন এখানে 

👉https://www.facebook.com/hizburrahmanjibon/posts/1466832786670445

>>>>> চলুন পার্ট ২ এ জেনে নেই কিভাবে শিখবো ?



১।  ইংরেজী নিউজ দেখেন যারা এখনো ইন্টারনেটের আওতায় আসেন নি পুরোপুরি। **

২।  যারা ইন্টারনেটের সুবিধা ভোগ করছেন তারা ইংরেজী আর্টিকেল,নিউসপেপার,অনলাইন বুক,পিডিএফ পড়তে পারেন । পড়ার সময় একরকম সন্দেহ সন্দেহ ভাব নিয়ে পড়তে হবে। সন্দেহটা কী ? এই যেমন এই আর্টিকেলের নতুন নতুন শব্দ কোনগুলো। আরো ভালো হয় যদি আপনি শব্দগুলোর synonym and antonym and pronunciation ইন্টারনেট থেকে বের করে পড়েন। ********

৩। বন্ধুবান্ধবের সাথে অনর্গল কথা বলতে থাকুন। মানুষের হাসাহাসিতে কান দিবেন না। ভূল তো হবেই। *******

৪।  প্রচুর লিখবেন। লিখলে শব্দ জব্দ হয়ে যায়। ****

৫।  ইউটুবের টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলো দেখতে পারেন রুটিন মাফিক। একদিন দেখলেন আর নেক্সট ভিডিও দেখলেন ১৫ দিন পর তা হবে না। 

৬।  সাবটাইটেল মুভি দেখতে পারেন। ভালো হয় যদি সাবটাইটেল ছাড়া দেখেন। *****

৭।  টেক্সট করার সময় ভাঙা ভাঙা ইংলিশ শব্দ ব্যবহার পরিহার করুন।  শব্দের বিকৃতি শব্দের সর্বনাশের সাথে সাথে আমরা আমাদের স্পেলিং স্কিল ও ধ্বংস করে দেই। ভালো হয় যদি সম্পূর্ণ বাক্য ইংলিশ এ লিখেন।  ***

৮।  ছোট ক্লাসের ছেলে মেয়েদেরকে পড়াতে পারেন। এটা অনেকটা ম্যাজিকের মত কাজ করে। **


নোট : এ মাত্র কয়েকটা। হাজারো পথ আছে। আপনি যেকোনো দুই একটা পথ বেছে নিয়ে খুব সহজে ইংলিশ 
শিখতে পারেন। 










Tuesday, April 4, 2017

ইংরেজীর দূর্বলতা ও দূরীকরণ।
 পার্ট -০১

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই গ্লোবাল সিটিজেন বা নাগরিক। এখন এমন এক অবস্থা ইচ্ছা না থাকা ও সত্ত্বেও আমাদেরকে ইংরেজী শিখতে হবে।

** চলুন জেনে নেই কেন শিখতে হবে হবেই >>

১। বিশ্বকে জানতে। এখন জানার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনের ভাষা ইংলিশ।

২।  নিজের দেশের লেখকদের পাশাপাশি আমাদেরকে বিশ্বের অন্যান্য লেখকদের বই পড়তে হয় । আর সব দেশের লেখকদের বই তো আর তাদের নিজ নিজ ভাষায় আপনি পড়তে পারবেন না। আপনাকে বড় বড় লেখকদের বই ইংরেজিতে  অনুবাদ করে দেয়া হয়েছে।

>> এখন অনেকেই বিশ্বকে জানতে চান না।  এমনকি বই ও পড়তে চান না। তাহলে কি আপনাকেও শিখতে হবে ?

মন্তব্য : আপনি বুঝলেন না আপনি কী হারালেন। আপনি বুঝলেনই না জীবন কি।

৪। হ্যা ,আপনি যদি উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজী শিখতে হবে কারণ উচ্চতর ক্লাসের সব বই ইংরেজীতে লিখা।

৫।  আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাও ইংরেজীর দরকার। সেটা কেমন করে ? আপনি তো অনেক বড় ব্যাবসায়ী হবেন তার জন্য আপনাকে দেশের বাইরের মানুষের সাথে কথা বলতে হবে। বাংলায় কথা বলবেন ? বলতে পারেন তবে তারা বুঝবে না।আপনার ব্যবসা নষ্ট হতে লাগলো শুধু মাত্র ইংরেজীর কারণে।

>> না না ,আমি উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চাই না,এমনকি ব্যাবসায়ী ও হতে চাই না।

মন্তব্য : আপনার জন্য সমবেদনা রইলো।

৬।  অনেকেই তো শো অফ করার জন্য ,মেয়ে পটানোর জন্য ইংরেজি শিখে। আপনি শিখতে চান না ?  হ্যা শিখতে চাই।

মন্তব্য : Sign of a LOOSER !



যাইহোক শিখতে তো চাচ্ছেন।  কিভাবে শিখা যায় তাহলে ?

নেক্সট পোস্ট এ চোখ রাখুন >>>>>>>>



Saturday, April 1, 2017

দর্শন মানে কি ?

প্রিয় ব্যাক্তিত্ব আব্দুল্লাহ আবু সায়েদ স্যারের এক সাক্ষাৎকার দেখছিলাম। মানুষ দুই একটা দর্শন নিয়ে জীবন পার করে দিতে পারে। ভিডিও পজ বা ক্ষনিকের জন্য বন্ধ করে চিন্তা করতে সেটা আবার কেমন করে ? কথার মানে খুঁজতে লাগলাম।

 দর্শন মানে কি  ? - একজন মানুষ যা চিন্তা করে। যা অনুধাবন করে। এবং যা মেনে চলার চেষ্টা করে।



আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করেন যে কাউকে খুশি রাখলে আপনিও খুশি থাকবেন তবে আর যাইহোক আপনি কাউকে কষ্ট দিবেন না।

"আমি ব্যাভিচারী পুরুষের জন্য ব্যাভিচারী মহিলা সৃষ্টি করেছি " - পবিত্র কোরআন শরীফের এই বাণী কেও যদি মেনে চলে তবে সে কোনো মেয়ে বা মহিলার সাথে খারাপ বা অশালীন ব্যবহার করবে না  কারণ কে চায় তার সহধর্মিনী ও খারাপ হোক।

কেও যদি মনে করে দুনিয়াটা দুই দিনের  যা খুশি তা করি। ফুর্তি করি,খাই দাই আর যা মনে হয় তা করি -সেটাও একজনের দর্শন অর্থাৎ সে এটাই বিশ্বাস করে। তাকে দিয়ে আর যাই হোক ভালো কিছু সম্ভব কিনা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পরোক্ষনে কেউ কেউ তো এমনও দর্শন লালন করে যে দুই দিনের এই পৃথিবীতে কিছু ভালো কাজ রেখে যাই যা মানুষের কাজে আসবে।

কেও যদি বুদ্ধের কথার রেশ ধরে মেনে সমাজে ছোট বড় বলতে কিছুই নেই। সবাই সমান। সবাই সমান আমরা অনেকেই মেনে নিতে পারি না কারণ আমরা বুদ্ধের ন্যায় দর্শনের জন্ম দিতে পারি নাই।


প্রশ্ন আসতে পারে দর্শনের জন্ম হয় কিভাবে ?

দর্শন আমাদের আসে পাশেই। আমরা প্রত্যেকটা মানুষই দার্শনিক কারণ আমরা সবাই কিছু না কিছু বিশ্বাস করে জীবন ধারণ করি। দর্শনের জন্ম হয় বই থেকে,ভালো মুভি থেকে,ভালো বন্ধুবান্ধব থেকে।  নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ অর্থসহ পড়তে পারেন।