Friday, May 26, 2017

এই সুন্দর ধরণী

আজ যে মানুষটার ভ্যান গাড়িটা ঠেলে নিচু জায়গা থেকে সমতলে তুলে দিলেন -তার জন্য সে আপনাকে মনে রাখবে।

আজ যাকে নিয়মের বাইরে গিয়ে পাঁচ টাকা বেশি দিলেন - তার জন্য সে আপনাকে মনে রাখবে।

আজ যে ছাত্রীকে পড়ানোর সুযোগে খারাপ নজরে থাকলেন না বা গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করলেন না - তার জন্য সে আপনাকে মনে রাখবে।

আজ যে ছোট্ট ছেলেটাকে ছোট বলে তূচ্ছতাচ্ছিল্য করলেন না - সে আপনাকে মনে রাখবে।

আজ যে বয়োজ্যেষ্টকে সম্মান দেখালেন,সালাম বা আদাব দিলেন - তার জন্য উনি  আপনাকে মনে রাখবেন।

আমাদের প্রত্যেকটা ভালো কাজের জন্য এই সুন্দর ধরণী মনে রাখে। এই ধরণী চাইলেও ভুলে যেতে পারে না।

Sunday, May 21, 2017

মানে আপনার এম্বিশন নেই,স্বপ্ন নেই,আশা নেই। .....

কি অবস্থা ? 
>ভালো না।
কেন ?
>জানিনা ?
কোনো কারণ ছাড়াই ভালো না ?
>হ্যা ,জানিনা কেন জানি ভালো লাগে না কিচ্ছু। 
ও আচ্ছা ,তাহলে এই রোগটার নাম "জানিনা-কেন-ভালো-লাগে-না " 
> মনে হয়।
শুনুন তাহলে কেন আপনার ভালো না রোগে পেয়েছে। 
> হ্যা বলুন ,দয়াকরে। 
আপনার অনেক ফ্রি সময়,এই সময়গুলোকে কাজে লাগাচ্ছেন না। 
আপনি অন্যের জন্য চিন্তা করেন না। 
আপনি মানুষের জন্য কিছুই করার চিন্তা করছেন না ,এমনকি আপনি আপনার জন্য কিছু করার ও চিন্তা করেন না। 
মানে আপনার এম্বিশন নেই,স্বপ্ন নেই,আশা নেই। .....

Saturday, May 13, 2017

প্রতিদিনই হোক মা দিবস


মমতা
মায়া
মহানুভবতা
মহিয়সী
মঙ্গল কামণাকারী
মেয়ে
মহিলা
মহৎ
মহান .....
এই গুলোই নিয়েই মা। প্রতিদিনই হোক মা দিবস।
মাকে সময় দিন।আমার মত ৮ হাজার মাইল দূরে থাকলে প্রতিদিন ফোন করেন। মায়ের সাথে হাসি তামাশা করেন। যত পারেন পঁচান। এতেই মা খুশি। খুব সহজে মায়েদের খুশি করা যায়।  বিশ্বাস না হলে ,আজ ও এখন চেষ্টা করে দেখেন।

আর পারলে এই সহজ সরল মহিলাটাকে রত্নগর্ভা করেন আপনার ভালো কাজের মাধ্যমে।



Thursday, May 11, 2017

কিভাবে মোটিভেটেড থাকা যায় :

কিভাবে মোটিভেটেড থাকা যায় :

গত রাতে একজন মেসেজ করলেন যে উনি নাকি আমার ফেইসবুক পোস্ট দেখেন  এবং ভিডিও গুলোও নাকি মিস করেন  না একটাও।

তিনি যখন মোটিভেশনাল কিছু পড়েন বা দেখেন তখন মোটিভেটেড হন তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে সব মোটিভেশন চলে যায় এবং খানিকটা হতাশা ঘিরে ফেলে। এমতাবস্থায় তিনি কী করবেন ?

এই সমস্যাটা উনার একার নয়। আমাদের অনেকেরই একই অবস্থা।

চলুন মোটিভেশন ধরে রাখার ধাপগুলো একটু দেখে নেই।

১।  গন্তব নির্ধারণ : আপনি যখন গন্তব নির্ধারণ করবেন বা গোল সেট করবেন তখন দেখবেন আপনার গোল আপনাকে তাড়া করছে। আপনি যদি খুব শক্তভাবে গোল নির্ধারণ করতে পারেন তবে দেখবেন আপনি এত খুশি থাকবেন (খুশি থাকা মানে মোটিভেটেড থাকা  ) যে রাতের ঘুম লেট মর্নিং পর্যন্ত গড়াচ্ছে না।ফালতু সময় নষ্ট হচ্ছে না। প্রানবন্ত আর জীবনীশক্তি আপনাকে ঘিরে ফেলবে। সুতরাং,গন্তব বা গোল নির্ধারণ হচ্ছে মোটিভেটেড থাকার প্রথম উপায়।

২। ফলাফল কল্পনা করা : আপনি যখন গোল নির্ধারণ করবেন তখন তো আপনা আপনি একটা ফলাফল চোখের সামনে চলে আসে। এই গোলটা সম্পন্ন করার পর ফলাফলটা এমন হবে,আমার অনভুতি এইরকম হবে ,আমার অবস্থান ওই জায়গায় যাবে ...... এরকম অনেক কল্পনা চলে আসার কথা,না আসলে কল্পনায় এইগুলো আনতে হবে তাহলে মোটিভেটেড থাকা যায়।

উদাহরণ :  আপনি গন্তব নির্ধারণ করলেন যে আপনি একজন পেইন্টার হবেন। গন্তব বা গোল নির্ধারণের পরে কল্পনা করতে লাগলেন যে আপনার ছবিগুলো বাংলাদেশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে সুনাম কুড়াচ্ছে। আপনার একেকটা ছবি লক্ষ্ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আপনার নাম স্বনামধন্য জয়নুল আবেদীনের পাশে স্থান পাচ্ছে। ভাবতেই গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে না ? অনুভূতি ঘিরে ফেলছে না ? এইরকম আপনি যে পথে যেতে চান সে পথের একটা নির্দিষ্ট গন্তব নির্ধারণ করেন আর কল্পনা করতে থাকেন। দেখবেন কল্পনা বা স্বপ্নরা বাস্তবে ডানা মেলছে।

৩।  গন্তব্যে পৌঁছার জন্য ছোট ছোট ধাপ করে নেয়া : গোল বা স্বপ্ন অবশ্যই বড় করে দেখা উচিত। "মানুষ তার স্বপ্নের সমান "- আব্দুল্লাহ আবু সায়েদ স্যার।যত বড় গোল আপনার তত বড় মানুষ আপনি। বড় গোলকে ছোট ছোট করে নিলে গোলে পৌঁছা খুব সহজ হয়ে যায়। যখন একটা ছেলে/মেয়ে ক্লাসের ফার্স্ট-বয় অথবা ফার্স্ট-গার্ল হয় তখন সে কিন্ত এক লাফে ফার্স্ট হয়ে যায় নি। সে আগে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ভালো করে,পরে অর্ধবার্ষিকে আবার ভালো রেজাল্ট করে। সবশেষে বার্ষিক পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো করে ফার্স্ট হয়। গোল কিন্ত ছিল ক্লাসের ফার্স্ট হওয়া। সেই গোলকে সিস্টেম নিজেই ভাগ করে দিয়েছে ছাত্রছাত্রীর জন্য। এইভাবে বড় বড় গোলকে ধাপ করে নিলে মানসিক প্রশান্তি কাজ করে আর মোটিভেটেড থাকা যায় কারণ এই ছোট ছোট ধাপগুলোও আপনার গোল বা গোলের একেকটা অংশ।

৪।  ইতিবাচক মানুষের সাথে থাকা : ইতিবাচকতাই সুখ। আমার এই নেই,সেই নেই ,এইটা হলো না ,সেটা হলো না ,না এমন হওয়ার কথা নয় .......এই টাইপের মানুষের কাছ থেকে যত পারা যায় দূরে থাকতে হবে। এরা নিজেও জীবন নিয়ে খুশি না,আপনাকেও খুশি থাকতে দিবে না। ইতিবাচক মানুষের কাছে থাকুন,দেখবেন  হতাশা ঘিরে ফেলবে না। ভালো থাকবেন। জীবনে আনন্দে থাকাই সফলতা। আনন্দে থাকাই মোটিভেশন।

৫।  স্পর্শের বাইরের জিনিস নিয়ে চিন্তা না করা : আমরা অনেক সময় আমাদের নাগালের বাইরের জিনিস নিয়ে ভয়ে থাকি। যদি ব্যাবসায় লস করি,যদি আমার গার্লফ্রেন্ড/বউ আমার সাথে চিট করে,যদি আমার খারাপ কিছু হয়ে যায়........এই রকম অনেক ভয় চলে আসতে পারে যে গুলো আমাদের হাতের নাগালে নয় অথচ এইগুলো পরিবর্তনের জন্য বা এইগুলো এড়িয়ে চলার জন্য আমরা প্রানপন চেষ্টা করি। কিছু জিনিস আমরা চাইলেও হাতের স্পর্শে আনতে পারবো না। সুতরাং স্পর্শের বাইরের জিনিস নিয়ে চিন্তা করা যাবে না।


Tuesday, May 9, 2017

খারাপ সময় কী করা ?

খারাপ সময় কী করা ?

খারাপ সময় একটা পূর্ণাঙ্গ জীবনের জন্য খুব খুব দরকারী। যখন আমি চার চারটা মাস প্রায় পানি আর মাঝে মধ্যে ভাত-মাছ খেয়ে ওয়াশিংটনে থেকেছি তখন আমি এক সেকেন্ডের জন্য ও বিচলিত হয়নি। আমার শুধু মনে হয়েছে :


১।  খারাপ সময় সাময়িক।
২। খারাপ সময় না আসলে ভালো সময়কে কিভাবে উপভোগ করবো ?
৩।  খারাপ সময় আমাদেরকে শিক্ষা দেয়।
৪।  খারাপ সময় তো জীবনেরই একটা পার্ট।

আমি খুব করে উপভোগ করেছি কিন্ত কারণ আমার কাছে নিঃশাস নেয়াই জীবন। 

Sunday, May 7, 2017

বই পড়ুন :

বই পড়ুন :

প্রথমত,বই পড়ুন আনন্দের জন্য।

দ্বিতীয়ত,ভালো না লাগলে ও পড়ুন কারণ জ্ঞানই একমাত্র সম্পদ যা কেউ নিতে পারে আর দিতে গেলে বাড়ে।

তৃতীয়ত,সব ধরণের রাগ,হিংসা,বিদ্বেষ,মানসিক জটিলতার মুক্তির জন্য বই খুব উপকারী। 

Friday, May 5, 2017

কথার মাঝে একটু খানি শব্দের পরিবর্তন আমাদের চারপাশকে সুন্দর করে দেয়।

কথার মাঝে একটু খানি শব্দের পরিবর্তন আমাদের চারপাশকে সুন্দর করে দেয়। 

এই যেমন : 

অশিক্ষিত/মূর্খ  এর পরিবর্তে অল্প-শিক্ষিত। 

গরিব এর পরিবর্তে কম-সৌভাগ্যবান। 

এই রিক্সা এর পরিবর্তে চাচা/মামা/ভাই। 

ছোট ছোট জিনিসগুলি পরিবর্তনে যদি অন্যকে খুশি রাখা যায় তাহলে একটু চেষ্টা করবো না কেন ? 

ব্রি : দ্র : কাউকে সম্মান দিলে শুধু যে তাকে সম্মান দেয়া হলো তা কিন্ত না,আপনি সম্মান দিতে জানেন সেটাও প্রকাশ পায়।  

Thursday, May 4, 2017

টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যাবস্থাপনা :

টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যাবস্থাপনা :


আমরা সবাই চাই আমাদের একটা সুন্দর জীবন হোক। যে কোনো জিনিসকে একটা সুন্দর কাঠামো দান করতে চাইলে আমাদের দরকার সঠিক ব্যাবস্থাপনা বা ম্যানেজিং।

প্রতেকটা মানুষের কাছে তার জীবনটা সবচেয়ে প্রিয় আর সেই প্রিয় জিনিসটার জন্য একটু ব্যাবস্থাপনায় না আসলে হয় ?


তিনটি সহজ নিয়ম নিয়ে কথা বলবো :

R A C :

Realize বা অনুধাবন করা।

Analyse  বা ভাবা।

Change  বা বদলানো।


সকাল থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের সব কিছু লিখে রাখুন বা খেয়াল করুন।

সকালের ফ্রেশ হওয়া,
নাস্তা,
কাজ বা স্কুল,
বিকেলের আড্ডা,
রাতের টিভি দেখা সব কিছুই।

১। এইগুলো অনুধাবন করুন প্রথমে।

২। পরে ভাবতে থাকুন বাজে কাজ কোন গুলি ছিল। মানে কোনগুলো প্রডাক্টিভ ছিল না।

৩। এর পর এই গুলো কাট করেন মানে চেঞ্জ করেন ।


R A C এর পর আমাদেরকে টো ডো লিস্ট বা TO-DO LIST করে নিতে হবে। সকাল থেকে ঘুমুতে যাওয়ায় আগে পর্যন্ত আমরা কি কি করবো।


টো ডো লিস্ট বা TO-DO LIST অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে।



Tuesday, May 2, 2017

একদিন এক নিকট আত্মীয়কে ফোন দিয়েছে ,কথা হচ্ছে ,কথা হচ্ছে আর কথার মধ্যে উনি বলে উঠলেন  " তুমি তো আমিরিকান " ।

 প্রথমত আমি তো আমেরিকান না,দ্বিতীয় তো আমি আমেরিকা থাকি বলে এটা আমার পরিচয় কখনো হতে পারে না। আমি আমার পরিচয়ের জন্য  সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত আমার রুটিনমাফিক কাজগুলো করে যাই।


এ এমন এক সময় যখন মানুষ নিজের পরিচয় নিয়ে চিন্তা করে। এই সময়ে মানুষ ভাবতে থাকে তার নামের পাশে পরিচয়দানকারী একটা বিশেষণ যোগ হবে। এই যেমন

আয়মান সাদিক,অনলাইন শিক্ষক।

ডক্টর চমক হাসান,শিক্ষক ও গবেষক।

মাহমুদুল হাসান সোহাগ,ফাউন্ডার রকমারি ডট কম ও উদ্ভাস কোচিং সেন্টার।

সাদাত হোসাইন,লেখক।

সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাশরাফি,ক্রিকেটার।

এই যে নামের পেছনে এই পরিচয়গুলো এইগুলোর পেছনে দিন রাত বিলিয়ে দিতে হয়।


বি : দ্রঃ কে কোন দেশে আছে সেটা তার পরিচয় হতে পারে না। আর এটা নিয়ে আলাদা গর্বের ও কিছু নেই। 

Monday, May 1, 2017

আমরা কেন আনন্দে থাকবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন আনন্দে থাকবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন উন্নত জীবন চাইবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন ব্যার্থতার পর আবার ঘুরে দাঁড়াবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন বই পড়ে আরো একটু সৎ,আদর্শবান আর সুখী হবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন মানুষের বিশ্বাস ভাঙবো - বিশ্বাস তো মানুষ একবারই করে।

আমরা কেন ভুলের জন্য অনুতপ্ত হবো না - অনুতপ্ততা আমাদের মুক্তি দেয়।

আমরা কেন প্রাণ ভরে ভালোবাসবো না  - ভালোবাসা জীবনকে কাঠামো দেয়।

আমরা কেন প্রান ভরে হাসবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।