Tuesday, August 30, 2016

কালকে একজন টেক্সট করে বললেন এত কিছু থাকতে আপনি মোটিভেশন কে বেঁচে নিলেন কেন ?
এ উত্তর আগেই দিয়ে দিয়েছি -মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে খুব ভালোবাসি। 
আরেকজন টেক্সট করছেন এই বিষয়টি উনার কাছে বোরিং টাইপের। আমি উত্তর দিলাম ধন্যবাদ আপনার ফিডব্যাকের জন্য। 
আসল কথায় আসি। আমার প্রথম বইটি ও মোটিভেশনাল ছিল যেখানে আমি তিনজন তরুনের জীবনের গল্পের মধ্যে দিয়ে লক্ষ্য হাজারো তরুণদেরকে একটা বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি।দ্বিতীয় বইটিতে ও অনেক বার্তা আছে যা আমাদেরকে উৎসাহিত করে। খুব আনন্দের সাথে একটা জিনিস আবিষ্কার করলাম যে আমিই প্রথম যে কিনা মোটিভেশন কে কেন্দ্রবিন্দু করে বই লিখার চেষ্টা করছে,ভিডিও ও বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত।সেটা কিভাবে বের করলাম ? আমি মোটিভেশনাল রাইটার ও স্পিকার হবো আর সেটা বই না পড়েই ? না সেটা হয়না। আমাকে  আগে জানতে হবে অনেক। তো নিজের দেশের বইগুলো সার্চ করতে গিয়ে দেখি এই লাইনের বই নাই। যে কয়জনের বই পেয়েছি তারা মিক্সড রাইটার,একছত্র মোটিভেশনাল রাইটার না।ইউটুবে ও ইন্ডিভিজুয়েল ভিডিও নেই ,আছে গ্রূপ ভিডিও যেখানে সফল লোকদের আনা হয় আর তারা  তাদের জীবনকাহিনী বলে যান। দুঃখ জনক হলেও সত্য আমি একমাত্র যে কিনা নিজে সফল না হয়েই সফলতা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে বা বলছে ।  যাইহোক,আব্দুল্লাহ আবু সায়েদ স্যারের বইগুলোতে ইনস্পিরেশন আছে। উনার বই পড়ি। আজকেই তিনটা বই অনলাইন থেকে এসেছে। বিদেশে বসে বাংলা বই কিনা তো নয় যেন সোনা কেনা। তবুও কিনি। যে একছত্র ভাবে মোটিভেশন কে নিয়ে চিন্তা করছে সে আমি। আপনারা সব সাক্ষী। সাক্ষী ইন্টারনেট,সাক্ষী অতীত। 

Monday, August 29, 2016

আপনারা যারা ইউ টিউব ব্যবহার করেন তারা যদি ইউটিউব এ গিয়ে সার্চ করেন -"How to find out passion Bangladeshi speaker " লিখলে আমি সবার উপরে চলে আসবো।Bangladeshi speaker লিখতে ভুলবেন না। পেশাগত ভাবে আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দিকে ধাবমান কিন্তু এর পাশাপাশি মানুষের সাথে মিশতে বা কথা বলতে আমি খুবই ভালোবাসি।বিশেষ করে মানুষকে উৎসাহ দেয়া আমি প্রচন্ড রকম ভালোবাসি। উৎসাহ উদ্দীপনা মানুষের জীবন পাল্টায়। আমার চোখের সামনে কেউ ভালোর দিকে যাচ্ছে বা ভালোতে নিজেকে মিশিয়ে দিচ্ছে সেটার চেয়ে আরো সুন্দর দৃশ্য আমি খুঁজে পাই না।  আনাড়ীভাবে ভিডিওগুলো বানানু। ভিডিও গুলা যেহেতু প্রফেশনালি করতেছি না সে জন্য এত ভালো হচ্ছে বলে মনে হয় না।তবে কিছু দিনের মধ্যে সুন্দর কনটেন্ট নিয়ে ভিডিওকে আরো বেশি ভালো ভাবে তৈরী করার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ।  যেকোনো ভাবে একটা শুরু দরকার বিধায় শুরু করা । শুরু ছাড়া শেষ হয় কেমনে ?সাবস্ক্রাইব করলে আমি খুবই খুশি হই। আপনারা যারা এখানে আছেন সবাই আমার শুভাকাংখী। যদি 

Sunday, August 28, 2016

আমাদের প্যাশন বা ভালো লাগা :
আমাদের বেশির ভাগই নিজের পছন্দানুযায়ী বিষয়ে পড়তে পারি না। কেউ কেউ ভাগ্যানুযায়ী পেলেও পরবর্তীতে পছন্দের জব পাই না। পছন্দ অনুযায়ী মেয়ে না পাইলে আমরা তাকে ভালোবাসতে পারি না (নিকট সত্য ),পছন্দের খাবার না পেলে সেই খাবার গলা দিয়ে নামে না,পছন্দের পোশাক না পরলে বেড়াতে যাই না। নিজের মত মানুষ না পেলে আমরা বন্ধুত্ব ও করি না। কথা হচ্ছে পছন্দের হতে হবে সব কিছুই তবেই না আমরা হ্যাপি। এখন কথা হচ্চে পছন্দ অনুযায়ী আমরা সব করি কিন্ত ভালো না লাগা না সত্ত্বেও আমরা অপছন্দের বিষয়ে নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয় বা হবে। সেটা কেন ? পড়া চলাকালীন সময়ে ভাব দেখানুর জন্য। ভাব দেখিয়ে সারাটা জীবন পার করা যাবে না। অপছন্দের জব করার মাঝে অবশ্য একটা চাপা কান্না লুকিয়ে থাকে। সেটা কী ? জবের টাকা দিয়ে চলতে হয় আমাদেরকে। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য শুধু মাত্র জব করতে হবে কেন ? অনার্স মাস্টার্স করে মুদির দোকানদার হলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে ? একজন মুদির দোকানদারের মাসিক ইনকাম একজন সাধারণ ব্যাংকারের চেয়েও বেশি। আর উপরি হিসেবে সে স্বাধীন জীবনযাপন করে। বড় ডিগ্রি,বড় জব এ সম্মান নিহিত না,সম্মান আমাদের মানুষ সত্তায়। যার যত মানবীয় গুণাবলী উন্নত সে তত উন্নত। জগতের সব বড় বড় মানুষেরা তাদের ভালো লাগার কাজ করেছেন। মজার বিষয় তারা এই কাজ গুলোকে খেলার ছলে করেছিলেন আর ওই কাজগুলোই তাদেরকে দিয়েছে অভাবনীয় সফলতা,কুড়িয়েছে আকাশচুম্বী পরিচিতি। আমাদের মুস্তাফিজ মাইলের পর মাইল উনার ইমিডিয়েট বড় ভাইয়ের কল্যাণে দূর দূরান্তে গিয়ে ম্যাচ খেলেছেন। উনি আজ সফলতায় টইটুম্বর। কৃষকের কাছে যিনি দেবতা তুল্য তিনি এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগলের ছাত্র শায়িখ সিরাজ । আধুনিক কম্পিউটার (ম্যাক) কে যিনি উঁচু স্থানে নিয়ে গেছেন সেই স্টিভ জবসের ও কম্পিউটারের প্রতি গভীর আসক্তি ছিল। প্রোগ্রামিং জগতে যিনি আজ একছত্র রাজত্ব করছেন সেই মার্ক জুকারবার্গ ও স্কুল জীবন থেকে গেম বানাতেন ,সফটওয়্যার নিয়ে খেলা করতেন। এই রকম লক্ষ হাজারো উদাহরণ আছে। ভালো লাগার কাজ করুন,হাসিখুশি থাকুন। জীবনে আনন্দ ছাড়া কী আর আছে। ............

Thursday, August 25, 2016

বই পড়া ও আমরা
ন্যাচার ভার্সেস নার্চার নামে একটা পুরোনো বিরোধ (কন্ট্রোভার্সি ) আছে যার দুইটা অংশ আর  প্রত্যেকটা অংশই  সুন্দর সুন্দর যুক্তি বহন করে। একজন মানুষের বেড়ে উটা ন্যাচার বা বংশগতির  উপর নির্ভর করে নাকি নার্চার বা কিভাবে বেড়ে তুলা হয় সেটার উপর নির্ভর করে -এ  নিয়ে বিতর্ক । একজন মানুষের অনেক কিছুই তার ডিএনএ এ বহন করে এই যেমন বাবা-মা সুন্দর হলে তাদের ছেলেমেয়েরা সুন্দর হবে ,এরা জ্ঞানী হলে তাদের ছেলেমেয়েরা ও জ্ঞানের একটা ভাগ পায় বা জ্ঞানের একটা প্রভাব পড়ে। এই বিরোধের আমি কোন অংশের ? আমি নার্চার বা বেড়ে উটার ধরণ ও পরিবেশের পক্ষে। যাইহোক আরো ডিটেল এ যাই। আমি বাংলাদেশ-আমেরিকার পার্থক্যগুলো নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করতে খুবই বিরক্ত অনুভব করি। প্রত্যেকটা সন্তানের কাছে তার মা যেমন অদ্বিতীয় ঠিক তেমনি যে দেশের আলো বাতাসে যে বেড়ে উঠেছে সে দেশ তার কাছে অতুলনীয় এবং অদ্বিতীয়। তবুও কিছু কিছু ব্যাপার আছে যা আমার তুলনা করতে দোষের কিছু বলে মনে হয় না। এই যেমন বই পড়া। এখানে রেলওয়ে স্টেশন বা বাস স্টেশনে গেলেই একটা জিনিস এত সুন্দর লাগে যা আপনাকে ওই সুন্দরের দিকে টানতে থাকে। আর সেটা হলো  বই পড়া মানুষ ও মানুষের আশপাশ। আমিও একদিন মনে করলাম ট্রাই করে দেখি কেমন লাগে। বই পড়তে তো ভালোই  লাগে কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় আবিষ্কার করলাম যা সেটা হচ্ছে  সময়টা কেটে যায় দ্রুত। এক ঘন্টা ট্রেনে বসে কলেজ যেতে কি বিরক্তই না হতাম আমি। সিলেট থেকে ঢাকা যেতে প্রায় ৬-৮ ঘন্টা লাগে।এই সময়ে ভালো একটা বই শেষ করা যাবে। সিলেট-চিটাগং কত দূর সেটা যারা যান তারাই বের করে নিবেন।  আপনি ও ট্রাই করতে পারেন। আমাদের দেশে লোকজন হাসবে কিন্তু অন্যের হাসির জন্য নিজের ভালোমন্দ তো আর বিসর্জন দেয়া যায় না। বিলগেটস ছোটবেলা লুকিয়ে লুকিয়ে বই পড়তেন কারণ ঐসময় বই পড়া মেয়েদের কাজ ছিল। উনি মেয়েদের কাজ করতেছেন সেটা গোপন রাখতেন কিন্তু পড়া বন্ধ করেন নি। যাইহোক এত কিছু বলার মাধ্যমে আমাদের উপর যে নার্চারের প্রভাব কতটুকু সেটা কতখানি তুলে ধরতে পারছি জানি না কিন্তু এরকম কিছু একটা বলার চেষ্টা করছি। একটা ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তুলুন দেখবেন  জীবন ও জগৎ সুন্দর হয়ে যাবে। শরীরের খাবার দেশ ও জাতিতে জাতিতে ভিন্ন কিন্ত আত্মার খাবার অভিন্ন।আর সেটা বই।বইয়ের পোকা হয়ে যাও। চু মন্তর চু চু। ...........

Saturday, August 20, 2016

আমি আমরা ও ইংরেজী

আমি আমরা ও ইংরেজী
আমি প্রথম ইংরেজী বানান ও উচ্চারণ করে পড়তে পারি যখন ক্লাস ফাইভ এ পড়ি। আমার আম্মু মহাখুশি। এ যেন উনার কাছে অধরা ধরা দিয়েছে। যখন ক্লাস সিক্স এ নীল কান্ত বৈদ্য স্যার আমাকে অনেক আদর করতেন  ইংরেজী উচ্চারণ করে পড়তে পারার জন্য। নীল কান্ত বৈদ্য মন্ট স্যার নামে  অধিক পরিচিত। ক্লাস সেভেন এ প্রথম বারের মত নিজে নিজে বানিয়ে প্যারাগ্রাফ লিখলাম। দশ মার্ক্স্ ছিল। আমি পেয়েছিলাম ৬.৫ আউট অফ টেন। অনেক ইন্সপায়ার্ড হয়েছিলাম। মনে হতে থাকলো নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর কাঁসা টাইপ কিছু করে ফেলেছি । ক্লাস এইটে সুলতান স্যার নামে অসম্ভব সৃজনশীল একজন স্যার পেয়েছিলাম ভাগ্যাগুনে। স্যার বলতেন উনি মুখস্থ মার্কা ছাত্র পছন্দ করেন না। অনেকে এ কথায় আহত হলেও আমি অনেক খুশি হই।আমার একই কথা যা করবো একদম ভেতর থেকে আসবে আর  নিজের সৃষ্টির মাঝে তো একটা আত্মতৃপ্তি আছে। এইভাবে আমি বাংলা ও বানিয়ে লিখি। বাকি সাবজেক্টগুলো বানিয়ে লেখার কিছু না থাকলেও চেষ্টা করতাম একদম যাতে মুখস্থ না হয়। SSC এবং  HSC উভয় পরীক্ষায়  ইংরেজীতে A পেলাম। আমি মনে মনে ব্যাতিত।গুনে গুনে মাত্র একুশ দিন প্রাকটিস করে ৫.৫ পেলাম IELTS এ। তখন আমার মনের কষ্টটা কমলো SSC এবং  HSC তে A+ না পাওয়ার। মনে হলো শিখে আসছিলাম বিধায় কম দিনে একটা রেজাল্ট করা গেলো। আমেরিকায় আসতে ৫ পয়েন্ট লাগে । আমার ৫.৫ আছে। আমি মোটের উপর অনেক খুশি ছিলাম ইংরেজীকে নিয়ে। যখন আমেরিকায় আসলাম প্রবলেম টা বাধলো। মিশিগান আমি আমার মামাতো ভাই এর সাথে ইংরেজীতে কথা বলতেছি। সে বলে উঠলো "Your English is good,but accent is not american,it's indian strong accent."
সিয়াটলে গেলাম। কলেজে গেলাম। ক্লাসে কি পড়ায় অর্ধেক বুঝি না। এরকম করে কোনোভাবে এক সেমিস্টার করে নিউ ইয়র্ক। এখানে এসে কাজে ডুকলাম।  এখানেও কাস্টমার এর বেশির ভাগ কথা বুঝি না। আমি যে কথা বলতে পারতাম না এমন কিন্তু না। আমি বললে ওরা বুজতো না। যাইহোক পরে বুজতে পারলাম অনেক কিছু করা লাগবে। Youtube এ কমপক্ষে ৫-৭ হাজার ভিডিও দেখছি "How to talk like a native speaker"
এখনো দেখি। দেখার শেষ নাই। শেখার ও।  আপনারা যারা আসবেন উচ্চ শিক্ষার জন্য তারা যেন Phonetics,Pronunciation and vocabulary শিখে আসেন। Internet এ যুগে আমরা পিছিয়ে থাকবনা। সবার জীবন উন্নত হোক। 

Thursday, August 18, 2016

জীবনজুড়ে আনন্দরা বাস করুক



এ প্লাস প্রাপ্তদের বলি জীবনের শুরু এইটা। প্রত্যেক সফলতার পর এইটাই ভাববে যে এইটা শেষ না। আর তোমরা যারা ভাবছো যে বড় ধরণের অসফল হয়ে আছো তাদেরকে অনেক কিছু শুনানোর আছে। যাইহোক ,কোনো বড় ধরণের পরীক্ষার ফল বের হলে আমার আনন্দের চেয়ে দুঃশ্চিন্তা বেশি হয়। এ প্লাস এর অত্যাচারে অতিষ্ট কোমলমতিরা । এ প্লাস না পেলে,পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স না পেলে এরা বুঝি শেষ হয়ে গেল। সফল হতে হলে যে এ প্লাস পেতে হয়,পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পেতে হয় তা আর কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক অন্তত আমি মানি না। আমার দেখা অনেকেই প্রথম ব্রেঞ্চের হওয়া সত্ত্বেও সফলতার "স " ও দেখে নাই। আবার যে ছেলেটা ছিল পেছনের সারির ছিল  তার সফলতার গল্প সে শুনায় আজ । এরকম অনেকের সাথে পরিচয় আছে বৈকি। ভাবতে অবাক লাগে এই সেদিন আমি এ প্লাসের পেছনে দৌড়জাপ দিয়েছি। দেখতে দেখতে পাঁচ-পাঁচটা বছর চলে গেলো। এর মধ্যে অনেক মিথ্য বা ভূল ধারনা ঝরে পড়েছে।  আমি যারা এ প্লাস পেয়েছে তাদেরকে ছোট করছি বলে আবার মনে করবেন না। আমি তাদেরকে ছোট করতে চাই তাদেরকে যারা মানুষকে স্বপ্ন দেখায় না। যারা জীবনকে কয়েকটা বড় বড় পেপারের সমষ্টি ভাবে। আমার একটা দুর্বলতা কাজ কজে যারা সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে কারণ এদের বেশির ভাগ একদিন অনেক বড় হয় -এদের মধ্যে এ প্লাসধারী সংগ্রামী হতে পারে আবার যে ২.৫ পেয়ে যে পাশ করেছে অথবা আরো বড় ধরণের বিপর্যস্তধারী হতে পারে। সংগ্রামী হতে হতে হবে। এবং এটাই সফলতার বদ্ধমূল। একজন মানুষ কত বড় হবে সেটা নির্ভর করে সে কত বড় স্বপ্ন দেখে তার উপর। আরো সুন্দর করে বলতে গেলে স্যার আব্দুল্লাহ আবু সাইয়ীদের "মানুষ তার স্বপ্নের সমান " কথাটা বলতে হয়। অসম্ভব সুন্দর কথা বলেছেন স্যার। স্যার যদি জানতেন এই কথাটা আমার কত প্রিয়। স্যার জানেন না এই একটা সুন্দর কথা কত জীবনের উন্নতির কারণ। ইতিহাস ও তাই বলে যারা স্বপ্নবাজ তারাই ইতিহাস জুড়ে। জীবন অসহ্য রকমের সুন্দর। এখানে বড় হওয়ার অনেক পথ আছে। এই পথগুলো শুধুমাত্র উৎসাহদিদের জন্য।জীবনজুড়ে আনন্দরা বাস করুক। .......

Sunday, August 7, 2016

বন্ধুরা



স্কুল :
একবার আমাদের মুনিম ফিক ফিক করে হাসতেছে আর ছোট ছোট ইটের টুকরা দিয়ে খেলা করছিলো।তখন আমরা সিক্স অথবা সেভেন এ পড়ি। সাইফুজ্জামান,ওহী,সায়েম,রুবেল সহ আরো অনেকে ছিল। খেলার ছলে কেমন করে যেন এক দোকানদারের শোকেসের আয়নাটা ভেঙে ফেললো। সে বুঝে নাই এমন কান্ড সে করবে। আয়নার ভাঙার পর সে কী মুখ। আহারে বেচারা। আমরা কি করলাম ,আমরা বিশাল এক সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম এই বলে যে আমরা সবাই এই ভাঙা আয়নার ভার বহন করবো। পরবর্তীতে আয়নার কাহিনী কী ছিল তা ভূলে গেছি।

অষ্টম শ্রেণীতে এক বিশাল সংগ্রামী বৃদ্ধ লোক ভর্তি হলো। সে আমাদের সিরাজুচ্চা।বয়স আমাদের চেয়ে বেশি হলেও মহিলা টাইপ হওয়ায় পিচ্চিই লাগে।

রুবেল মিয়া থেকে আহমেদ রেজা হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম যে প্রতিবাদ গড়ে তুলেন উনি আমাদের জাবেদ ওহী।
ওহী অসম্ভব মেধাবী আর বিনয়ী। ৪২০ দের  সর্দার ও সে। মুনলিট নাইট প্যারাগ্রাফ জিজ্ঞেস করলে উনি এখনো মুখস্ত বলতে পারবেন বলে বিশ্বাস করি।

রিপা,মিতালি,যীশু,অপু,ইমা - এরা ভুলে গেছে আজ।

সায়ীম তো আমাদের স্টাইল আইকন,বিশেষ করে আমার।

সাইফুজ্জামান ওরফে শিপলুচ্চার লেভেল এ আমরা কেউ ই যেতে পারবো না। উনার সব কাজ কারবার চল্লিশউর্ধের মানুষের সাথে।
কলেজ :
কলেজে গিয়ে পেলাম উজ্জ্বল ওরফে ভেরি কুল গাই। শাপলায় পরোটা খেতাম আর তার সব ব্যার্থ  প্রেমের গল্প শুনতাম। মেয়ে পটানো সে আজও শিখছে কিনা জানিনা।

পিনঙ্কুকে পেয়ে বুজলাম উহারা অন্য জাতের। তার সাথে তার বাড়ির পেছনে ঘুরাঘুরি করা।  মাসির হাতের হরেক রকম মিষ্টি-পিটা  খাওয়া ,তার সাথে তার বাড়িতে এক সাথে থাকা,রাত বারোটায় কলেজে গিয়ে পুস্প দেয়া শহীদ মিনারেসহ আরো কত কিছু।

আরাফাত এন্ড সাইদুর এই জুটি দেখে মনে হইলো এরা কোন জাতের। পিঙ্কু না হয় অন্য জাতের। সাইদুর পড়ুয়া আর আরাফাত বাস্তববাদী। আরাফাত অবশ্য চরমপন্থী কিনা জানিনা।

ফাহমিদা,রুমা,রুবা,নাজু,এনি এরা ভূলে গেছে আমাদেরকে।

আমেরিকা :
রিফাত ওরফে মাখন মিয়া। মাখন আমরা নাম দিয়েছি উনার মেধার জন্য। অসম্ভব মেধাবী।উনি ফেসবুকে মেয়েদের প্রোফাইল ঘুরে বেড়ান। এখনো একটাও জুটাতে পারেননি। লাগলে বলবা রিফাত।

জাবেদ ওরফে নোয়াখালীর পুলা,পুলা তো না যেন গোবরের গুলা।

মুরাদ কয়েকদিন এইজ গ্রাজুয়েট হলো। সহজ সরলতা তার বিশেষন।
সামাদ একমাত্র সিলেটি আবাল আমি পেয়েছি এখানে। সামাদ টাকা লাগবে বলছি,না বলেনি কখনো। অনেক বিপদে ছায়ার মতো।
বন্ধুরা তো ছায়াই।




Saturday, August 6, 2016






আমি চিন্তা করি আজ থেকে দশ বছর পরের আমিকে
আমি ভাবতে থাকি আজ থেকে দশ বছর পরের অবস্থানকে
আমি চিন্তা করি আজ থেকে বিশ বছর পরের আমিকে
আমি কল্পনা করি  আজ থেকে বিশ বছর পরের অর্জনকে
আমি চিন্তা করি আজ থেকে ত্রিরিশ বছর পরের আমিকে
আমি ভিবোর থাকি আজ থেকে ত্রিরিশ বছর পরের সৃষ্টিতে
আমি উদযাপনে থাকবো আমার গড়া জীবনে ।
আমি বেঁচে থাকি আমার স্বপ্নে আর
আমি দেখি আমি এক বিশাল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
আমি দেখি  আমি এক বিশাল গল্প রাইটার
আমি দেখি আমি এক ক্ষুদ্রাকার
সমাজ সেবক।
আমি স্বপ্ন দেখি আমি বসবাস করবো মানুষে
আবার একদিন ডুবে যাবো মানুষে।