Sunday, August 28, 2016

আমাদের প্যাশন বা ভালো লাগা :
আমাদের বেশির ভাগই নিজের পছন্দানুযায়ী বিষয়ে পড়তে পারি না। কেউ কেউ ভাগ্যানুযায়ী পেলেও পরবর্তীতে পছন্দের জব পাই না। পছন্দ অনুযায়ী মেয়ে না পাইলে আমরা তাকে ভালোবাসতে পারি না (নিকট সত্য ),পছন্দের খাবার না পেলে সেই খাবার গলা দিয়ে নামে না,পছন্দের পোশাক না পরলে বেড়াতে যাই না। নিজের মত মানুষ না পেলে আমরা বন্ধুত্ব ও করি না। কথা হচ্ছে পছন্দের হতে হবে সব কিছুই তবেই না আমরা হ্যাপি। এখন কথা হচ্চে পছন্দ অনুযায়ী আমরা সব করি কিন্ত ভালো না লাগা না সত্ত্বেও আমরা অপছন্দের বিষয়ে নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয় বা হবে। সেটা কেন ? পড়া চলাকালীন সময়ে ভাব দেখানুর জন্য। ভাব দেখিয়ে সারাটা জীবন পার করা যাবে না। অপছন্দের জব করার মাঝে অবশ্য একটা চাপা কান্না লুকিয়ে থাকে। সেটা কী ? জবের টাকা দিয়ে চলতে হয় আমাদেরকে। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য শুধু মাত্র জব করতে হবে কেন ? অনার্স মাস্টার্স করে মুদির দোকানদার হলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে ? একজন মুদির দোকানদারের মাসিক ইনকাম একজন সাধারণ ব্যাংকারের চেয়েও বেশি। আর উপরি হিসেবে সে স্বাধীন জীবনযাপন করে। বড় ডিগ্রি,বড় জব এ সম্মান নিহিত না,সম্মান আমাদের মানুষ সত্তায়। যার যত মানবীয় গুণাবলী উন্নত সে তত উন্নত। জগতের সব বড় বড় মানুষেরা তাদের ভালো লাগার কাজ করেছেন। মজার বিষয় তারা এই কাজ গুলোকে খেলার ছলে করেছিলেন আর ওই কাজগুলোই তাদেরকে দিয়েছে অভাবনীয় সফলতা,কুড়িয়েছে আকাশচুম্বী পরিচিতি। আমাদের মুস্তাফিজ মাইলের পর মাইল উনার ইমিডিয়েট বড় ভাইয়ের কল্যাণে দূর দূরান্তে গিয়ে ম্যাচ খেলেছেন। উনি আজ সফলতায় টইটুম্বর। কৃষকের কাছে যিনি দেবতা তুল্য তিনি এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগলের ছাত্র শায়িখ সিরাজ । আধুনিক কম্পিউটার (ম্যাক) কে যিনি উঁচু স্থানে নিয়ে গেছেন সেই স্টিভ জবসের ও কম্পিউটারের প্রতি গভীর আসক্তি ছিল। প্রোগ্রামিং জগতে যিনি আজ একছত্র রাজত্ব করছেন সেই মার্ক জুকারবার্গ ও স্কুল জীবন থেকে গেম বানাতেন ,সফটওয়্যার নিয়ে খেলা করতেন। এই রকম লক্ষ হাজারো উদাহরণ আছে। ভালো লাগার কাজ করুন,হাসিখুশি থাকুন। জীবনে আনন্দ ছাড়া কী আর আছে। ............

No comments:

Post a Comment