Sunday, December 31, 2017

নিউ ইয়ার পরিকল্পনা....

আমরা নিউ ইয়ার পরিকল্পনা বা New Year Resolution তৈরী করি যা খুবই আনন্দের এবং উচ্ছাসের।  এই পরিকল্পনায় বিশেষ করে স্থান পায় বস্তুগত বিষয়গুলি। অবস্তুগত অমূল্য জিনিসগুলি হারিয়ে যায় অবহেলায় আর নির্লিপ্ততায়।  

এই পরিকল্পনায় যেন অবস্তুগত জিনিসগুলিও থাকে।  এই যেমন : 

নতুন বছরের শুরু থেকে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করবো না। 
মানুষকে সাহায্য করবো। 
উন্নত শব্দ ব্যবহার করবো। 
মানুষকে জাত কুল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভালবাসবো ও শ্রদ্ধা করবো । 
অনেকগুলি বই পড়বো। 

আর এই বিষয়গুলো অর্জন করতে খুব একটা কষ্ট হবে না। আমাদের ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। ...








Thursday, December 28, 2017

২০১৭ সাল।

২০১৭ সাল।


ব্যার্থতাগুলো :

বাংলাদেশে একটা এপার্টমেন্ট কেনার ইচ্ছে ছিল ,হলো না।
বড় মাপের একটা ইনভেস্টমেন্ট করার ইচ্ছে ছিল ,হলো না।
কমপক্ষে ১৫ টা বই পড়ার ইচ্ছে ছিল ,পড়ছি মাত্র ৭ টা।

সফলতাগুলো :

এই বছর কলেজ গ্রাজুয়েট হলাম।
একটা বই লিখলাম যা তোমরা এই একুশে বই মেলায় পাবে।
বন্ধুদের সাথে ছোটোখাটো একটা মহৎ কাজে হাত দিলাম।
২০১৩ সাল থেকে তৈরী করা ইউটিউব চ্যানেলকে এইবার থেকে গুরুত্বসহকারে হাতে নিলাম।
নিজের স্কিলগুলোকে আরো ধারালো করলাম।
ছাত্র ছাত্রীদের উন্নতি চোখের সামনে দেখলাম।
২-৩ জন মানুষকে ঋণ দিতে সমর্থ হলাম।


সফলতা ও ব্যার্থতা নিয়েই মানুষের জীবন। সবশেষে এই স্বপ্নে বিভোর আত্মায় এখনো প্রাণ আছে বলে মহান আল্লাহর নিকট অনেক ধন্যবাদ (শুকরিয়া )। বেঁচে থাকলে কত কিছুই হবে। ..





Friday, December 15, 2017

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ...

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শুধুমাত্র একটা বাংলাদেশের জন্ম হয়নি ,অর্জিত হয়েছে সম্প্রীতি ,একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা আর একসাথে সুন্দরভাবে বসবাস করার অঙ্গীকার।

প্রিয় ও প্রাণের বাংলাদেশ ভালো থাকুক। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। 

Wednesday, December 13, 2017

ক্ষুদার্ত থাকো ,বোকা থাকো।

ক্ষুদার্ত থাকো ,বোকা থাকো।

এই কথাটা অনেক আগের তবে ২০০৫ সালের স্ট্যান্ডফোর্ডের সমাবর্তন অনুষ্টানের সেই বিখ্যাত আলোড়নকারী বক্তব্যে স্টিভ জবস আবারো আমাদের সামনে এই সবগুলো উচ্চারণ করেন। এই শব্দগুলো অনেক গভীর কিছু অর্থ বহন করে।

ক্ষুদার্ত থাকো - মানে হচ্ছে কখনো এই শেষ বলে থেমে যেও না। ইচ্ছে পোষণ করো ,কাজ করো ,স্বপ্ন দেখো ,জীবনকে সাজাও ,জীবনকে আরো সাজাও এবং এভাবেই করতে থাকো। থেমে তখনই যাও যখন একদিন সব শেষ হয়ে যাবে।

বোকা থাকো - মানে প্রায় একই কথা তবে একটু ঘুরানো। এর প্রকৃত মানে হচ্ছে - কখনো সব জানি ,সব বুঝি ,সব পারি ,সব হয়ে গিয়েছে এমন যেন না হয়। বোকারা যেমন কিছুই জানে না ঠিক তেমনি তুমি বোকা সাজো। একটার পর একটা কাজ করে যাও। চেষ্টা থামিও না। প্রত্যেকটা কাজের আগে নিজেকে বোকা ভাবো তবে কাজটা খুব ভালোভাবে শিখতে ও বুঝতে পারবে।

আমার একটা প্রিয় বাণীর সাথে এই কথাগুলোর অনেক মিল। সক্রেটিস বলেন , " আমি জানি ,আমি কিছুই জানিনা "।


Steve Jobs life In Bangla

বিশ্বের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের সাথে আজকে এখানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। সত্য কথা বলতে একটা কলেজ গ্রাডুয়েশনের সবচেয়ে নিকটবর্তী এই প্রথম আসলাম। আমি তোমাদেরকে আমার জীবনের তিনটি গল্প বলবো। তেমন আহামরী কিছু না। শুধু তিনটা গল্প।

প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা এক সূতোয় বাঁধা নিয়ে ।

রিড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার ছয় মাসের মধ্যে আমি একরকম পড়ালেখা ছেড়ে দিলাম। অবশ্য পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার আগে প্রায় বছর দেড়েক এটা সেটা কোর্স নিয়ে কোনমতে লেগেছিলাম। তো কেনো আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছিলাম?
ঘটনার শুরু আমার জন্মের আগে থেকে। আমার আসল মা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অবিবাহিতা তরুণী গ্রাজুয়েট ছাত্রী। আমার জন্মের আগে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে কারো কাছে দত্তক দিবেন। মা খুব চাচ্ছিলেন আমাকে যারা দত্তক নিবেন তাদের যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী থাকে। তো একজন আইনজীবি এবং তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেওয়ার জন্য রাজি হলো। কিন্তু আমার জন্মের পর তাঁদের মনে হলো তাঁরা আসলে একটা কন্যা শিশু চাচ্ছিলেন।
অতএব আমার বর্তমান বাবা-মা, যারা অপেক্ষমাণ তালিকাতে ছিলেন, গভীর রাতে একটা ফোন পেলেন – “আমাদের একটা অপ্রত্যাশিত ছেলে শিশু আছে, আপনারা ওকে নিতে চান ?”  আমার বাবা-মা’র এক বাক্যে রাজি হয়ে গেলেন। আমার আসল মা পরে জানতে পেরেছিলেন যে আমার নতুন মা কখনো বিশ্ববিদ্যালয় আর নতুন বাবা কখনো হাই স্কুলের গন্ডি পেরোননি। তিনি দত্তক নেবার কাগজপত্র সই করতে রাজী হননি। কয়েক মাস পরে অবশ্য তিনি রাজী হয়েছিলেন, আমার নতুন বাবা-মা এই প্রতিজ্ঞা করার পর যে তারা একদিন আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন।

১৭ বছর পর আমি সত্যি সত্যি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই কলেজ ছিল স্ট্যান্ডফোর্ডের মত খরচবহুল। আমার নিম্ন মধ্যবিত্ত পিতামাতার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার খরচের পেছনে চলে যাচ্ছিলো। ছয় মাস এভাবে যাওয়ার পর আমি এর কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। জীবনে কী করতে চাই সে ব্যাপারে আমার তখনো কোন ধারণা ছিলোনা, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কিভাবে সাহায্য করবে সেটাও আমি বুঝতে পারছিলাম না। অথচ আমি আমার বাব-মা’র সারা জীবনের জমানো সব টাকা এর পেছনে দিয়ে দিচ্ছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং আশা করলাম যে সবকিছু আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। ওই সময়ের প্রেক্ষিতে এটা একটা ভয়াবহ সিদ্ধান্ত মনে হতে পারে, কিন্তু এখন পেছন ফিরে তাকালে মনে হয় এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিলো। যেই মুহুর্তে আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিলাম সেই মুহুর্ত থেকে আমি আমার অপছন্দের অথচ ডিগ্রীর জন্য দরকারী কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম, এবং আমার পছন্দের কোর্সগুলো নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে গেলো।
অবশ্য ব্যাপারটি অতোটা সুখকর ছিলো না। ছাত্র হলে আমার কোন রুম ছিলোনা, তাই আমি আমার বন্ধুদের রুমে ফ্লোরে ঘুমাতাম। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে পেতাম (প্রতি বোতল) যেটা দিয়ে আমি আমার খাবার কিনতাম। প্রতি রবিবার আমি সাত মাইল হেঁটে শহরের অপর প্রান্তে অবস্থিত হরে কৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধুমাত্র একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি এটাকে পছন্দ করতাম। আমার কৌতুহল এবং ইনটুইশন অনুসরণ করে আমার জীবনে আমি যতো কিছু করেছি পরবর্তীতে সেটাই আমার কাছে মহামূল্যবান হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। একটা উদাহরণ দিইঃ
সেই সময় রীড কলেজ সম্ভবত দেশের সেরা ক্যালিগ্রাফী কোর্সগুলো করাতো। ক্যাম্পাসের প্রত্যেকটি পোস্টার, প্রতিটি লেবেল করা হতো হাতে করা ক্যালিগ্রাফী দিয়ে। যেহেতু আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম না, তাই আমি যেকোনো কোর্স নিতে পারতাম। তাই ভাবলাম ক্যালিগ্রাফী কোর্স নিয়ে ক্যালিগ্রাফী শিখবো। আমি সেরিফ এবং স্যান সেরিফ টাইপফেইস শিখলাম, বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফী কিভাবে করতে হয় সেটা শিখলাম। ব্যাপারটা ছিলো দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। এবং এটা আমাকে বেশ আকর্ষণ করতো।
এই ক্যালিগ্রাফী জিনিসটা কখনো কোনো কাজে আসবে এটা আমি কখনো ভাবিনি। কিন্তু, দশ বছর পর যখন আমরা আমাদের প্রথম ম্যাকিন্টস কম্পিউটার ডিজাইন করি তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমাদের কাজে লেগেছিলো। ম্যাক কম্পিটার টাইপোগ্রাফী সমৃদ্ধ প্রথম কম্পিটার। আমি যদি দশ বছর আগে সেই ক্যালিগ্রাফী কোর্সটা না নিতাম তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো মাল্টিপল টাইপফেইস এবং আনুপাতিক দুরত্মের ফন্ট থাকতো না। আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাক এর এই ফন্ট নকল করেছে, বলা যায় কোনো কম্পিউটারেই এই ধরণের ফন্ট থাকতো না। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফী কোর্সে ভর্তি হতাম না, এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এতো সুন্দর ফন্ট থাকতো না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এই সব বিচ্ছিন্ন ঘটোনাগুলোকে এক সুতোয় বাঁধা অসম্ভব ছিলো, কিন্তু দশ বছর পর সবকিছু একেবারে পরিস্কার বোঝা গিয়েছিলো!
তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সূতায় বাঁধতে পারবেনা। এটা শুধুমাত্র পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় একটা ভালো পরিণামের দিকে যাবে ভবিষ্যতে। তোমাকে কিছু না কিছুর উপর বিশ্বাস করতেই হবে – তোমার মন, ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু একটা। এই বিশ্বাস আমাকে কখনোই ব্যর্থ করে দেয়নি, বরং আমার জীবনের সব বড় অর্জনে বিশাল ভুমিকা রেখছে।


আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানো নিয়ে।
আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম। আমি আমার জীবনের প্রথম দিকেই আমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে পেয়েছিলাম। ওজ আর আমি আমার বাবা-মা’র বাড়ির গারাজে অ্যাপল কম্পানী শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিলো ২০ বছর।
আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছিলাম – ১০ বছরের মাথায় অ্যাপল কম্পিউটার গারাজের ২ জনের কম্পানী থেকে ৪০০০ এম্পলয়ীর ২ বিলিয়ন ডলারের কম্পানীতে পরিণত হয়। আমার বয়স যখন ৩০ হয় তার অল্প কিছুদিন আগে আমরা আমাদের সেরা কম্পিউটার – ম্যাকিন্টস – বাজারে ছাড়ি। আর ঠিক তখনি আমার চাকরি চলে যায়। কিভাবে একজন তার নিজের প্রতিষ্ঠিত কম্পানী থেকে চাকরিচ্যুত হয়? ব্যাপারটি এমনঃ অ্যাপল যখন অনেক বড়ো হতে লাগলো তখন আমি কম্পানীটি খুব ভালোভাবে চালাতে পারবে এমন একজনকে নিয়োগ দিলাম। প্রথম বছর সবকিছু ভালোভাবেই গেলো। কিন্তু এরপর তার সাথে আমার চিন্তাভাবনার বিভাজন স্পষ্ট হওয়া শুরু হলো। এবং পরিচালনা পর্ষদ তার পক্ষ নিলো। অতএব, ৩০ বছর বয়সে আমি কম্পানী থেকে আউট হয়ে গেলাম। এবং খুব ভালোভাবে আউট হলাম। আমার সারা জীবনের স্বপ্ন এক নিমিষে আমার হাতছাড়া হয়ে গেলো। ঘটনাটা আমাকে বেশ ভেঙ্গে দিয়েছিলো।
এরপরের কয়েক মাস আমি বুঝতে পারছিলাম না আমি কী করবো। আমার মনে হচ্ছিলো আমি আগের প্রজন্মের উদ্যোগতাদের মনোবল ভেঙ্গে দিয়েছি – আমার হাতে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আমি করতে পারিনি। আমি ডেভিড প্যাকার্ড এবং বব নয়েস এর সাথে দেখা করে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইলাম। একবার ভাবলাম ভ্যালী ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি একটা ব্যাপার অনুভব করতে লাগলাম – আমি আমার কাজকে এখনো ভালোবাসি! এপলের ঘটনাগুলি সেই সত্যকে এতোটুকু বদলাতে পারেনি। আমাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, কিন্তু আমি এখনো আমার কাজকে ভালোবাসি। তাই আমি আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
প্রথমে এটা তেমন মনে হয়নি, কিন্তু পরে আবিষ্কার করলাম অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হওয়াটা ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। সফল হবার ভার চলে যেয়ে আমি তখন নতুন করে শুরু করলাম। কোন চাপ নেই, সবকিছু সম্পর্কে আগের চেয়ে কম নিশ্চিত। ভারমুক্ত হয়ে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল সময়ে যাত্রা শুরু করলাম।
পরবর্তী পাঁচ বছরে আমি নেক্সট এবং পিক্সার নামে দুটো কম্পানী শুরু করি, আর প্রেমে পড়ি এক অসাধারণ মেয়ের যাকে আমি পরে বিয়ে করি। পিক্সার থেকে আমরা পৃথিবীর প্রথম এনিমেশন ছবি “টয় স্টোরী” তৈরি করি। পিক্সার বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল এনিমেশন স্টুডিও। এরপর ঘটে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। অ্যাপল নেক্সটকে কিনে নেয় এবং আমি অ্যাপলএ ফিরে আসি। এবং নেক্সটএ আমরা যে প্রযুক্তি তৈরি করি সেটা এখন অ্যাপল এর বর্তমান ব্যবসার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে। অন্যদিকে লরেন আর আমি মিলে তৈরি করি একটা সুখী পরিবার।
আমি মোটামুটি নিশ্চিত এগুলোর কিছুই ঘটতো না যদি না আমি অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হতাম। এটা ছিলো খুব তেতো একটা ওষুধ আমার জন্য, কিন্তু আমার মনে হয় রোগীর সেটা দরকার ছিলো। কখনো কখনো জীবন তোমাকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। তখন বিশ্বাস হারাইওনা। আমি নিশ্চিত যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো সেটা হচ্ছে – আমি আমার কাজকে ভালোবাসতাম। তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে। তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে যেভাবে তোমার খুঁজে পেতে হয়, ভালোবাসার কাজটিকেও তোমার সেভাবে খুঁজে পেতে হবে। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশ জুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সন্তুস্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে চমৎকার কোনো কাজ করা। আর কোনো কাজ তখনি চমৎকার হবে যখন তুমি তোমার কাজকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেওনা। তোমার মন আর সব জিনিসের মতোই তোমাকে জানিয়ে দিবে যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যে কোনো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতো সময় যাবে ততোই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো যতক্ষন না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছো। অন্য কোন কাজে স্থায়ী হয়ো না।

আমার শেষ গল্পটি মৃত্যু নিয়ে।

আমার বয়স যখন ১৭ ছিলো তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলামঃ “তুমি যদি প্রতিটি দিন এটা ভেবে পার কর যে আজই তোমার জীবনের শেষ দিন, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সঠিক হবে”। এই লাইনটা আমার মনে গভীর রেখাপাত করেছিলো, এবং সেই থেকে গতো ৩৩ বছর আমি প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি – “আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো তাহলে আমি কি যা যা করতে যাচ্ছি আজ তাই করতাম, নাকি অন্য কিছু করতাম?” যখনি এই প্রশ্নের উত্তর “না” হতো পরপর বেশ কিছু দিন, আমি জানতাম আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।
“আমি একদিন মরে যাবো” – এই কথাটা মাথায় রাখা আমার জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ সবকিছু – সকল আশা-প্রত্যাশা, গর্ব, ব্যর্থতার ভয় বা লজ্জা – এইসব কিছু মৃত্যুর মুখে নাই হয়ে যায়, শুধুমাত্র সত্যিকারের গুরুত্মপূর্ণ জিনিসগুলোই টিকে থাকে। তোমার কিছু হারানোর আছে এই চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে এটা মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে। তুমি নগ্ন হয়েই আছো।

অতএব নিজের মনকে না শোনার কোনো কারণই নাই।
প্রায় এক বছর আগে আমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। সকাল ৭:৩০ এ আমার একটা স্ক্যান হয় এবং এতে পরিস্কারভাবে আমার প্যানক্রিয়াসএ একটা টিউমার দেখা যায়। আমি তখনো জানতাম না প্যানক্রিয়াস জিনিসটা কী। আমার ডাক্তাররা বললেন এই ক্যান্সার প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য, এবং আমার আয়ু আর তিন থেকে ছয় মাস আছে। আমার ডাক্তার আমাকে বাসায় ফিরে যেয়ে সব ঠিকঠাক করতে বললেন। সোজা কথায় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া।
এরমানে হচ্ছে তুমি তোমার সন্তানদের আগামী দশ বছরে যা বলবে বলে ঠিক করেছো তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বলতে হবে। এরমানে হচ্ছে সবকিছু গোছগাছ করে রাখা যাতে তোমার পরিবারের সবার জন্য ব্যাপারটি যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়। এরমানে হচ্ছে সবার থেকে বিদায় নিয়ে নেওয়া।
এভাবে সেদিন সারাদিন গেলো। সেদিন সন্ধ্যায় আমার একটা বায়োপসি হলো। তারা আমার গলার ভেতর দিয়ে একটা এন্ডোস্কোপ নামিয়ে দিলো, এরপর আমার পেটের ভেতর দিয়ে যেয়ে আমার ইনটেস্টাইন থেকে সুঁই দিয়ে কিছু কোষ নিয়ে আসলো। আমাকে অজ্ঞান করে রেখেছিলো তাই আমি কিছুই দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরে আমাকে বলেছিলো যে আমার ডাক্তাররা যখন এন্ডোস্কোপি থেকে পাওয়া কোষগুলি মাইক্রোস্কোপ এর নিচে রেখে পরীক্ষা করা শুরু করলো তখন তারা প্রায় কাঁদতে শুরু করেছিলো, কারণ আমার যে ধরণের প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার হয়েছিলো সেটার আসলে সার্জারীর মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব। আমার সেই সার্জারী হয়েছিলো এবং এখন আমি সুস্থ্য।
এটাই আমার মৃত্যুর সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়া, এবং আমি আশা করি আরো কয়েক দশকের জন্যও এটা তাই যেনো হয়। মৃত্যুর খুব কাছাকাছি যাওয়ার এই বাস্তব অভিজ্ঞতার কারণে মৃত্যু সম্পর্কে এখন আমি অনেক বেশি জানি, যেটা আমি জানতাম না যদি না এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে না যেতামঃ
কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা বেহেশতে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরে যেতে চায় না। কিন্তু এরপরও মৃত্যুই আমাদের সবার গন্তব্য। কেউই কখনো এটা থেকে পালাতে পারেনি। এবং সেটাই হওয়া উচিৎ, কারণ মৃত্যু সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে বড় আবিস্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট। মৃত্যু পুরনোকে ধুয়ে মুছে নতুনের জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহুর্তে তোমরা হচ্ছো নতুন, কিন্তু খুব বেশিদিন দূরে নয় যেদিন তোমরা পুরনো হয়ে যাবে এবং তোমাদেরও ধুয়ে মুছে ফেলা হবে। নাটকীয়ভাবে বলার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটা খুবই সত্যি।
তোমাদের সময় সীমিত, অতএব, অন্য কারো জীবন যাপন করে সময় নষ্ট করো না। কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ো না, অর্থ্যাৎ অন্য কারো চিন্তা-ভাবনা দিয়ে নিজের জীবন চালিয়ো না। তোমার নিজের ভেতরের কন্ঠকে অন্যদের চিন্তা-ভাবনার কাছে আটকাতে দিও না। আর সবচেয়ে বড় কথাঃ নিজের মন আর ইনটুইশন এর কথা শোনার সাহস রাখবে। ওরা ঠিকই জানে তুমি আসলে কি হতে চাও। বাকী সব কিছু ততোটা গুরুত্মপূর্ণ নয়।
আমি যখন তরুণ ছিলাম তখন একটা পত্রিকা বের হতো যার নাম ছিলো “The Whole Earth Catalog” (সারা পৃথিবীর ক্যাটালগ). এটা ছিলো আমার প্রজন্মের একটা বাইবেল। এটা বের করেছিলেন স্টুয়ার্ড ব্র্যান্ড নামে এক ভদ্রলোক যিনি মেনলো পার্কের কাছেই থাকতেন। তিনি পত্রিকাটিকে কাব্যময়তা দিয়ে জীবন্ত করে তুলেছিলেন। এটা ছিলো ষাট এর দশকের শেষ দিককার কথা – কম্পিউটার এবং ডেস্কটপ পাবলিশিং তখনো শুরু হয়নি। তাই পত্রিকাটি বানানো হতো টাইপরাইটার, কাঁচি, এবং পোলারয়েড ক্যামেরা দিয়ে। পত্রিকাটিকে ৩৫ বছর আগের পেপারব্যাক গুগল বলা যায়ঃ অনেক তত্ত্ব-তথ্যে সমৃদ্ধ আর মহৎ উদ্দেশ্যে নিবেদিত।
স্টুয়ার্ট এবং তার টিম পত্রিকাটির অনেকগুলি সংখ্যা বের করেছিলো। পত্রিকাটির জীবন শেষ হয় একটা সমাপ্তি সংখ্যা দিয়ে। এটা ছিলো সত্তর এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আমার বয়স ছিলো তোমাদের বয়সের কাছাকাছি। সমাপ্তি সংখ্যার শেষ পাতায় একটা ভোরের ছবি ছিলো। তার নিচে ছিলো এই কথাগুলিঃ “ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো”। এটা ছিলো তাদের বিদায় বার্তা। ক্ষুধার্ত থেকো। বোকা থেকো। এবং আমি নিজেও সবসময় এটা মেনে চলার চেষ্টা করে এসেছি। এবং আজ তোমরা যখন পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি ছেড়ে আরো বড় জীবনের গন্ডিতে প্রবেশ করছো, আমি তোমাদেরকেও এটা মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি। ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো ।




Saturday, October 7, 2017

কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পে তোমরা কার পক্ষে ?

কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পে তোমরা কার পক্ষে ? অবশ্যই কচ্ছপের ! কারণ কচ্ছপ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিল। মনে করো এখনো প্রতিযোগিতা হয়নি। এখন কার পক্ষে যাবে তোমরা ?
অবশ্যই খরগোশের ! আমিও তোমাদের মত খরগোশের পক্ষেই কারণ আমরা খরগোশের মত খুব সহজে জয়ী হতে চাই বা আমরা জানি খরগোশই নির্ধারিত জায়গায় চলে যাবে । অথচ যুগে  যুগে কচ্ছপরাই সফল হয়।

এখন বলি কচ্ছপ কারা  ..

যারা পরিশ্রমী ,রাতারাতি বড় হতে চায় না ,নিজের উপর অপার বিশ্বাস আর হেরে যাওয়ার ভয় যাদের একদমই নেই।

মনে রাখা ভালো ......

কোনো কিছুই খুব তাড়াতাড়ি করতে গেলে বা হয়ে গেলে এর ফলাফল স্থায়ী হয় না। স্থায়ী ও প্রভাব বিস্তারকারীরা দিনের পর দিন,রাতের পর রাত পার করে তাদের গোল-এ যায়। 

কোনো শর্টকাট নেই সফলতার ক্ষেত্রে। নেই কোনো সিক্রেট। সফলতার সূত্র সেই আগেরটাই। বহু পুরোনো।

 সময় দেয়া + লেগে থাকা  = ফলাফল। ...

Wednesday, September 20, 2017

অনেকেই এই প্রশ্ন আমাকে করছিলো। তুমি আমেরিকা চলে যাচ্ছ তিন মাস পর ,তারপরও এই প্রতিষ্টানে (স্থানীয় এক স্বনামধন্য প্রতিষ্টান ) শিক্ষকতা কেন করছো ?


>> মাঝে মাঝে আপনাকে অনেক কিছুই করতে হবে যেখানে টাকাটা বিষয় না। 

Sunday, September 17, 2017

প্যাশন ( গভীর প্রণয় ,আবেগ ,গভীর টান ) :

প্যাশন ( গভীর প্রণয় ,আবেগ ,গভীর টান ) :

দুইটা ছেলে মেয়ের সম্পর্কের মধ্যে প্যাশন কম থাকে অথবা প্যাশন না থাকা অবস্থায় প্রেম চলে তখন সেই প্রণয় বেশি দিন ঠিকে না। প্রকৃতি প্যাশন ছাড়া কাজ অথবা ভালোবাসাকে তছনছ করে দেয়।

যে কাজে তুমি ভালোবাসা খুঁজে পাবে না সেটা করো না কারণটা ওই প্রকৃতি। সফল হতে হলে গভীর প্রেম থাকতে হবে। সেটা খুকীর সাথে প্রেম হোক আর যত নিম্নমানের কাজ হোক। আর হ্যা , কাজের উঁচু বা নিচু নেই।


বিশেষ কথা : প্রেমে ব্যার্থ হলে যেমন স্ক্রিনশট পাবলিক করা যাবে না ঠিক তেমনি কাজে ব্যার্থ হলে ভেঙে পড়লে হবে না।উঠে দাড়াও এবং আরেকটা খুঁজো।প্রেমিকা ও কাজ। প্রেমিকা বা কাজ ততক্ষন বেছে নিও না যতক্ষণ প্রেম না খুঁজে পাও। 

Thursday, August 24, 2017

পিডিএফ বইয়ের এর সুবিধাগুলো কী :

মোবাইল ফোনে পিডিএফ ডাউনলোড করতে অনেকের সমস্যা হয়। থেকে পিডিএফ ডাউনলোডার ডাউনলোড করে পরে যেকোন পিডিএফ বই ডাউনলোড করতে পারবেন। তবুও বই পড়েন।


পিডিএফ বইয়ের এর সুবিধাগুলো কী :

আপনি ওয়াশরুমে বসে আরাম করে পড়তে পারছেন।
বাস/ট্রেন অথবা লঞ্চ এ বসে পড়তে পারছেন।
ডাটা অফ থাকলেও পড়তে পারছেন।
একসাথে অনেকগুলা বই পকেটে নিয়ে ঘুরতে পারছেন।
মানুষ দেখলে কী বলবে এই ভয় থেকে রক্ষা পাচ্ছেন।







Saturday, August 12, 2017

মোটিভেশন কী একটা ব্যবসা ?

মোটিভেশন কী একটা ব্যবসা ?

উত্তর : হা , এখন কথা হচ্ছে ব্যবসা কী ?
 আপনি যেখানে কিছু না কিছু ইনভেস্ট করবেন এবং সেই খাত থেকে যখন প্রফিট আসবে তখন এটা ব্যবসা বা ব্যাবসার মত। 

প্রথমে বলে রাখি , একজন মানুষ এমনি এমনি মোটিভেশনাল স্পিকার হয় না , সে কোনো না কোনো ভাবে নিজের অবস্থানের পরিবর্তন করছে তারপর সে মনে করছে সে চাইলে মানুষের জীবনের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। পরিবর্তনটা অর্থনৈতিক বা আত্মিক হতে পারে। শুধু টাকাওয়ালা হলে যে কেউ সফল সেটা কোনো মোটিভেশনাল স্পিকার বলে না এবং বলবে ও না। 

বাংলাদেশে এই ফিল্ডটা একদম নতুন। বাংলাদেশে নতুন কিচ্ছু করা অনেক কঠিন এবং সেটা শুধু মানুষের জন্য। কেউ নতুন কিছু করুক এটা বেশির ভাগ মানুষ পছন্দ করেনা। তবে গত দু এক বছর ধরে বাংলাদেশেও এটা শুরু হয়েছে। নিক বুজিসিক , টনি রবিন্স ,বার্নাড,বব প্রক্টর ,আবদুল্লাহ আবু সায়েদ স্যার , জাগি বাসুদেব সহ আরো কত কত স্পিকাররা আমাদের জীবনকে সুন্দর করার কথা বলেন তা কেমন করে আমরা অস্বীকার করবো। এরাই কি শেষ ? আর আসবে না ? আরো আসলে সমস্যা ? নতুনরা আসবে না ? নতুনরা তো একদিন পুরাতন হবে। মানুষকে উৎসাহ দেয়ার কেউ না আসুক সেটা আমার চাই ? 

এখন কথা হচ্ছে মোটিভেশনাল বক্তারা কী ইনভেস্ট করেন ? তারা তাদের সময় ইনভেস্ট করে। তারা কেউ-ই বেকার না এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিছু না কিছু তারা করছে। কেউ নিজের ব্যবসা বা জব বা কিছু একটা। 

বিশেষ কথা  : আমি খুব আন্তরিকভাবে বলতে চাচ্ছি যে আমি ও আমার লেখনী যে বা যারা পছন্দ করেন না তারা আপনারা নিজ দায়িত্বে আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিবেন। আমি নিজেও কয়দিন পর পর অনেককে আনফ্রেন্ড করে দেই  যখন দেখি বা বুঝি সে বা তিনি বা তারা কোনো না কোনোভাবে আমার কারণে বিরক্ত। 


তবে....
সঙ্গে থাকুন আর এটা মনে প্রাণে চাই। 

Monday, August 7, 2017

পাবলিক স্পিকিং ..

পাবলিক স্পিকিং : কিভাবে মানুষের সামনে কথা বলার ভয় দূর করা যায় ?
মানুষের সামনে কথা বলার নামই  হচ্ছে পাবলিক স্পিকিং। এই কথা বলতে আমার আপনার যা সমস্যা। মানুষের সামনে কথা বলতে গেলে যা মনে হয়  সেটা হচ্ছে মানুষ কী ভাবছে আমাকে নিয়ে। এই ভয় চলে যায় তবে কথা বলতে হবে। কথা বলার ভয় কথা বলে তাড়াতে হবে।

সত্য গল্প শুনুন : 
নবম-দশম ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা একটা স্কুলের সর্বোচ্চ লেভেলের ছাত্রছাত্রী।  এরা স্কুলের সভা-সমিতি অথবা ২১শে  ফেব্রুয়ারী ,২৬শে  মার্চ এবং ১৬ই ডিসেম্বরের অনুষ্টানগুলোতে বক্তব্য দেয়। এমনকি ক্লাস সিক্স,সেভেন এ যারা পড়ে তারাও স্পিচ দেয়। আমি তো পারিনা। আমি ভাবতে লাগলাম কেন আমি পারিনা বক্তব্য দিতে? আমার থেকে ছোট ক্লাসের এরাও তো শত শত ছাত্রছাত্রীর সামনে কথা বলছে তবে আমি নই কেন।  স্কুল জীবনে কথা বলতে পারিনাই। ভয় আমার জয় করা হয়নি।
এসএসসি তে এ প্লাস পাওয়ার পর অনেক জায়গায় যেতে হলো। সংবর্ধনা দিলো। এক জায়গায় আমার নাম দিয়ে বসছে যে আমি স্টেজে গিয়ে কিছু একটা বলবো। আসমান ভেঙে মাথায় পড়লো অবস্থা। আমি ? কেমনে ? আমি ব্যাক্তি মানুষ নারভাস হতে পারি তাই বলে এ প্লাসকে তো আর ছোট করতে পারিনা। এ প্লাস আমাকে অনেক সাহায্য করলো স্টেজে গিয়ে কথা বলতে। আমি ঘামে ডুবে যাচ্ছি,কথা মুখে আসে না ,হাতপা কাঁপে – এইগুলার মধ্যে দিয়ে জীবনের প্রথম পাবলিক স্পিচ দিলাম।
কলেজে উঠে ,ওরিয়েন্টেশন এ স্পিচ দিবে এই রকম একটা ছেলে ও একটা মেয়ে দরকার। কোনো কিছু না ভেবেই বলে উঠলাম আমি স্পিচ দেব। আমি আর গীতাঞ্জলি নামের একটা মেয়ে স্পিচ দিলাম প্রায় এক হাজার মানুষের সামনে।
শাহখাকী মাদ্রাসা (একটা স্থানীয় মাদ্রাসা ) শিক্ষক খুজতেছিল ইংলিংশ এবং গণিতের জন্য। আমাকে মাদ্রাসা কমিটির একজন এসে বললেন শিক্ষকতা করার জন্য।  যে ছেলেটা মাত্র ছয়মাস পর আমেরিকা চলে যাবে সে টাকার চিন্তা করে এই জবটা নিবে ? আমি শিক্ষকতা করলাম শুধুমাত্র নতুন কিছু আগামীর সাথে পরিচিত হতে আর নিজের পাবলিক স্পিকিং স্কিলটা আরো সুন্দর করার জন্য। আনন্দের বিষয় এই আগামীরা আমাকে টেক্সট করে বলে আমি নাকি খুব ভালো পড়াতাম। আমি লজ্জা পাই এইগুলা শুনে। ...সরাসরি প্রশংসা আমি নিতে পারি না। 
ওয়াসিংটন এ ,সিয়াটেল কলেজে নিজের দেশের হিস্ট্রি নিয়ে কথা বলতে হবে। নিজের দেশের হিস্ট্রি কে না চায় মানুষকে জানাতে ! ১৫ মিনিট কথা বলতে হলো।

নিউ ইয়র্কে এসে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এ কাজ। তাও আবার কাস্টমার সার্ভিস। কথা বলার কাজ। এক বড় ভাই কাজটা পাইয়ে দিলেন ,চির কৃতজ্ঞ উনার কাছে। অবিরত কথা বলতে হয়। 
ASA  কলেজে এখন পর্যন্ত যে গ্রূপ এসাইনমেন্ট দিতো সেগুলার মধ্যে আমি কথা বলতাম এবং বলার সময় আমি পাবলিক স্পিচ দিচ্ছি মনে করে কথা বলতাম । আর সিঙ্গেল এসাইনমেন্ট হলে তো আর কথাই নাই। 
তাহলে কী বুঝা গেলো ? পাবলিকলি কথা বলার জন্য আপনাকে শুধু কথা বলে যেতে হবে। ভেরি সিম্পল। 

Thursday, August 3, 2017

জগতের সব শক্তিই তো নিজের ভাবনায়।

আপনার থেকে ৫-১০ বছরের বড় একজন মানুষ সফল ? আপনাকে সে পাত্তা দিচ্ছে না? আপনি নিজেকে এখন ছোট ভাবতে শুরু করছেন ?

সমাধান : আপনি ভাবতে পারেন আপনার উনার থেকে ৫-১০ বছর সময় বেশি আছে। আপনি চাইলে উনার থেকে বড় স্বপ্ন দেখতে পারেন। জগতের সব শক্তিই তো নিজের ভাবনায়।

সমান বয়সের কেউ আপনার থেকে এগিয়ে গেলে কি করা ?

সব মানুষের পথচলা এক না। আপনি উনার সাথে প্রতিযোগিতা না করে নিজের সাথে প্রতিযোগিতা করে যান।

Wednesday, August 2, 2017

আমার লেখা বই

অনেকেই আমার লেখা বই " সফল হবেন আপনিও " পড়তে চান বলে মেসেজ পাঠিয়েছেন। 
আপনারা নিচের লিংক থেকে বইটি ডাউনলোড করে পরে নিতে পারেন। আমি আপনাদের অভিমতের অপেক্ষায় থাকলাম। 

লিংক : https://goo.gl/g6mYHi 

Friday, July 28, 2017

সুন্দর

অনেকগুলা অসুন্দর মুহূর্তের উপর দিয়ে সুন্দর মুহূর্তরা আসে বলে সুন্দর এত সুন্দর। 

Thursday, July 27, 2017

আমার গ্রাডুয়েশন প্রোগ্রাম।

আলহামদুলিল্লাহ। আগামীকাল আমার গ্রাডুয়েশন প্রোগ্রাম।

আজকের দিনের জন্য আমি আম্মুর কাছে ঋণী। দেশে কোনো জায়গায় চান্স না পেয়ে আমি আমেরিকা চলে আসলাম। দুই দুটা এ প্লাসধারী কোনো জায়গায় চান্স পেলো না -সেটা একটা ক্রাইম এর মত। আমি আমাকে আমার হীনমন্যতা ও অন্যান্য সব ধরণের চাপ থেকে লুকিয়ে রাখতে চলে এলাম আমেরিকা। ভিসা পাওয়ার পর অবশ্য আমার চাপ ও কষ্ট কমতে থাকলো। আমি একটা বড় দেশে যাচ্ছি পড়াশুনার জন্য তা নিশ্চই অনেক আনন্দের। এখানে চলে আসলাম। এখানে আসার পর অনেকে বললো,আমেরিকা চলে আসছো আর পড়াশুনা লাগে ? আমি মনে মনে বলি ,আমি পড়াশুনা ছাড়া বাঁচবো না ঠিক মত। খুব ছোটবেলা থেকে আমার পরিবার আমার মাঝে ঢুকিয়ে দিয়েছে যে ,পড়তে হবে ,পড়াশুনাই জীবন। এখানে এসে একটা সেমিস্টার কোনো রকমে শেষ করলাম ওয়াশিংটনে। আমি সব কয়টা সাবজেক্টে কৃতিত্বের সাথে ফেল করলাম। কম্পিউটার সাইন্স এর ছাত্র একটা কম্পিউটার ছাড়া কেমনে ক্লাস করে পাশ করে? কলেজের কম্পিউটার ব্যবহার আর কত সময় ব্যবহার করা যায় ? কম্পিউটার কিনবো ? যে আমি এক কাপ কফি খেয়ে সারাদিন পার করেছি সে কিভাবে কম্পিউটার কিনবে ? চলে আসলাম প্রাণের শহর নিউ ইয়র্কে। কত কিছুই না দিলো এই শহরটা। প্রাণের শহর। আমি তো মনে করছি এখন এক্কেবারে ধুমাইয়া পড়াশুনা করবো। স্বপ্নগুলা আমাকে শান্তি দিচ্ছিলো না। একটা ক্লাসরুম আর একজন শিক্ষকহীনতায় ভুগতে ভুগতে আমি প্রায় নিষ্প্রাণ। পরে ওয়াসিংটনের ওই কলেজ বলে তারা টিসি দিতে পারবে না কারণ কোনো বিষয়ে আমি পাশ করি নাই। আর পাশ না করলে টিসি হয় না। নিউ ইয়র্কে বিভিন্ন কলেজে আমি যাই ভর্তি হওয়ার জন্য। কেও আমাকে নিতে চায় না। আমি নাকি আমার টিসি ওই কলেজ থেকে আনতেই হবে নতুবা হবে না। অনেক কলেজকে বললাম ,কোনো না কোনো আমাকে নেয়া যায় না? সবাই বলে না। এইভাবে না'তে আমি বাস করলাম এক বছর। জীবনের সবচেয়ে কঠিন বছর ছিল সালটা। আম্মুর মন খারাপ ,পরিবারের বাকি সবাইর মন খারাপ আমার এই ড্রপ আউট এ। আমার মন ও খারাপ ।
আম্মুর দর্শন হচ্ছে উনার ছেলেমেয়ে  শিক্ষা ছাড়া কোটিপতি হলেও উনি খুশি না। আগে শিক্ষিত হও ,পড়াশুনা করো ,পরে  যা মনে হয় করো এমন ভাব আম্মুর। শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্টে গত ফেবরুয়ারিতে কলেজ শেষ করলাম। যেদিন কলেজের শেষ দিন শেষ করে আসলাম আমার মনে হচ্ছিলো ,মায়ের জন্য কিছু একটা করলাম। কালকে গ্রাডুয়েশন ,আম্মু ইতিমধ্যে বলে দিয়েছে যে ভালো ভালো আলোকচিত্র পাঠানোর জন্য। ছবিগুলা পাশের বাসার আন্টিদের দেখিয়ে বলবে ,এই যে আমার ছেলে।তারা প্রশংসা করবে উনার ছেলেকে নিয়ে -এতেই উনি খুশি। কালো ড্রেসটা অনেক যত্নে ঝুলিয়ে রেখেছি। কালকে পরবো। আনন্দের দিনটাকে কিছু স্থিরচিত্রে আটকে রাখবো নাতি নাতনিদের জন্য।কম পানির মাছ বেশি লাফায়। আমি ৩.০৯ পেয়ে লাফাচ্ছি।  আগামী বছর আবারো পড়াশুনা চালিয়ে যাবো। আল্লাহ যেন তাওফিক দেন।


Monday, July 24, 2017

তোমার আকাশের মেঘ।

তোমার আকাশের মেঘ।
হিজবুর রহমান জীবন 

আমাকে শান্ত করা তোমার চঞ্চলতা
আমায় ভাবিয়ে দেয়া তোমার মুহূর্তরা 
আমার আমিত্বে নিজেকে দেখা 
সে তোমারই প্রতিচ্ছবি। 
আমি তো চাই তুমি তোমাতে মেতে থাকো 
আমি তোমাকে দেখি 
এবং সেটা দূর থেকেই। 
আমি তো চাই তোমার স্বপ্নরা ডানা মেলুক।
উড়ুক আর তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাক 
মেঘেদের দলে। 
তুমি মেঘেদের সাথে দুষ্টমি করবে,খেলবে ,উড়বে । 
মেঘেদের সাথে তুমি এক আকাশ থেকে 
অন্য আকাশে তুমি ঠিকই যাবে 
কিন্ত আমি তোমার আকাশটা চাই। 
তোমার আকাশে আমি মেঘ হবো। 
মেয়ে, মেঘ হতে দিবা তো  ?
আমি কিন্তু ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন তারার মাঝে 
একটা চাঁদ হওয়ার আবদার করছি না । 
কেবল মেঘই তো। বলো না ,মেঘ হতে দিবা। 
যাকে তুমি চাইলেই বর্ষণ করে জেড়ে 
ফেলে দিতে পারো। 
অবশ্য চাঁদ হওয়ার মত আমার সাহস ও 
যোগ্যতা কোনোটাই নাই। 
নতুবা হয়তো আমি আবদারে মেতে থাকতাম। 


জিপিএ একটা নাম্বার মাত্র ..

জিপিএ একটা নাম্বার মাত্র। জিপিএ একটা ছেলে/মেয়ে তার ডেডিকেশন লেভেলটা দেখায়। আর জিপিএ পরবর্তী অনেক ধাপে কাজে আসে এই যা। তবে এইগুলিই সব না। কোনোভাবে এই জিপিএ একজন মানুষের সফলতা নির্ধারণ করে না। কোনোভাবেই না।

একটা প্রতিষ্টান ইট-পাথরের গড়া। এটার কোনো প্রাণ নেই । একটা প্রতিষ্টান হয়তো একটা সুন্দর পরিবেশ দিতে পারে বা দিতে ব্যার্থ হতে পারে এই যা। হ্যা ,প্রতিষ্টান সব না।আমি আবার বলছি ,প্রতিষ্টানই সব না।  এরকম হলে নোবেলধারীরা সবাই  হার্ভার্ড,অক্সফোর্ড,এমআইটি,কলম্বিয়া বা স্ট্যানফোর্ড থেকে বের হতো সব সময় । এমনটা কিন্ত হচ্ছে না। প্রতিষ্টানই সব হলে প্রতিবছর বিসিএস ক্যাডাররা সবাই ঢাবি,চবি,জাবি বা সাস্ট থেকে বের হতো। এমন যদি হতো তাহলে বাংলাদেশের সব বড় বড় ইঞ্জিনিয়াররা শুধু বুয়েটেরই হতো।

এইকথা গুলো কতবার যে আমার ভাইকে বলেছি তার সংখ্যা আমার জানা নেই। একজন মানুষ বড় হয় তার স্বপ্নে ,তার চিন্তায়। এটা শুধু পড়াশুনার ক্ষেত্রে নয় ,জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একজন মানুষ ব্রান্ডের কাপড় পড়লেই ভালো হয়ে যায় না। একজন মানুষ তত সময় সুন্দর হবে না যতক্ষণ সে ভিতর থেকে সুন্দর হচ্ছে না । যতক্ষণ আমাদের ভেতরটা স্বপ্নে,আনন্দে,মনুষত্বে ভরপুর হচ্ছে না ততক্ষন আমরা শুধু মাত্র জিপিএ,ভালো শিক্ষা প্রতিষ্টান বা ব্যাংকের অঢেল টাকা দিয়েও সফল হতে পারবো না। জীবনে ,জগতে ,জাতিতে জাতিতে ,সময়ে সময়ে যারা বা যিনি বড় হয়েছেন তারা সবাই আগে তাদের স্বপ্নে বড় হয়েছেন ।

কোনোভাবেই  ভেঙে পড়লে হবে না। আনন্দকে আমি একটা সচল গাড়ির চাকার সাথে তুলনা করি। আর হতাশা বা নিরাশাকে একটা ফুটো চাকার সাথে। এখন আপনারাই বলেন ,ফুটো চাকা কতদূর যেতে পারে ? ইংরেজিতে একটা কথা আছে। আমেরিকানরা খুব করে ব্যবহার করে "It's not end of the world" । কোনো কিছুরই শেষ নাই। আমাকে তোমার স্বপ্নগুলো বলো ,আমি তোমাকে ভাই বা বন্ধু হিসাবে জড়িয়ে নিবো কারণ আমি জানি তুমি একদিন আমাকে ভাই বা বন্ধু হিসাবে গর্বিত করবে।  "সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা ,আশা তার একমাত্র ভেলা" ব্যাখ্যাটা পরীক্ষায় লিখে ভালো মার্ক্স্ পেয়েছেন কিন্ত অন্তরে ধারণ করেন নাই। আশার ভেলায় ভাসুক প্রত্যেকটা জীবন ,জীবন সুন্দর হতে বাধ্য। জীবন অসহ্য রকমের সুন্দর। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে ভালো রাখুক

Monday, July 17, 2017

পরাজয় - হিজবুর রহমান জীবন

পরাজয়
হিজবুর রহমান জীবন

একটা কথা বলি,খুকী ?
হ্যা বলো।
আমাকে তুমি পরাজিত করতে পারবে না ?
পরাজিত ? তুমি না পরাজয় শব্দটি পছন্দ করোনা।
করি না তো ,তবে আমি যে পরাজয়ের কথা বলছি
সে পরাজয় সবাই পায় , ওই পরাজিত অনেকে হয় না।
ও ... আমি কি পারবো তোমাকে পরাজিত করতে ?
তোমাকেই পারতে হবে,খুকী।
আমি আজ হারতে চাই খুব করে।
আমি আজ ডুবতে চাই।
আমি তোমাকে হারালে তুমি খুশি তো ?
হ্যা ,অনেক খুশি।
তবে বলে দাও কিসে তোমাকে হারাবো ?
ভালোবাসাবাসিতে ,মায়ায় আর স্পর্শে।


Friday, July 14, 2017

খুব ভালো করার দরকার নেই।

খুব ভালো করার দরকার নেই। খুব ভালো করতে হবে বলে অনেকে শুরুই  করতে পারে না। আবার খুব ভালো করতে গিয়ে অনেকে শেষ ও করতে পারে না। শেষ করতে হবে এই মানষিকতা হচ্ছে ভিত্তি।  ভিত্তি ছাড়া কিসের উপর দাঁড়াবেন ?  ভালো বা খারাপ করা হচ্ছে যোগ্যতা। যে শুরু করলো না বা যে ভালো করতে গিয়ে শেষ করতে পারলো না তার ক্ষেত্রে কি ভালো বা খারাপের প্রশ্ন আসতে পারে ? খুব ভালো করার দরকার নেই। শেষ করতে হবে এই চিন্তা নিয়ে যে কোনো কিছুর দিকে এগিয়ে যেতে হবে। 

Wednesday, July 12, 2017

কল্পনায় খুকী - হিজবুর রহমান জীবন।

কল্পনায় খুকী
হিজবুর রহমান জীবন।

আচ্ছা খুকী ,আমি যে কবি নই
তার জন্য তুমি কি অখুশী ?
 না,মোটেও না।
কেন এই জিজ্ঞাসা ?
না এমনি করলাম।
না তুমি বলো কেন এমন জিজ্ঞাসা ?
না ,এই যে তুমি নির্মলেন্দু , জয় গোস্বামী আর জীবনান্দে ভাসো ,
আমার কিন্ত, আমার কিন্ত খানিকটা ..
হ্যা , তোমার খানিকটা কী ?
বাদ দাও , তুমি কবিতা পড়ো।
না তুমি বলে যাও , আমি কবিতা পরে পড়বো।
না , আমি কবিত্ব হীনতায় ভুগি ,আমার হিংসে হয়।
আমার মনে হয় - আমি যদি নির্মলেন্দু হতাম।
তবে আমিই তোমার কবিতা হতাম।
এই যে তুমি ঠোট বন্ধ করে হাসো ,
আমি সেই হাসি হতাম।
ও সেই কথা ,আহারে বেচারা .....
তুমি কবি হলে বরং খারাপই হতো।
সেটা কেন হবে খুকী ?
তুমি কবি হলে তোমার কবিতায় আরো অনেকে ডুব দিতো ।
তোমার কবিতা আরো অনেককে হাসাতো।
আর তুমি এত বোকাসোকা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে না ,
তুমি আমার হাসির কারণ না হতে পেরে প্রশ্নে জর্জরিত হতে না।
এখন আমি কবিতায় তোমাকে নিয়ে ডুব দেই ,
তোমাকে নিয়ে হাটি ,তোমাতেই মেতে থাকি।
আচ্ছা খুকী নির্মলেন্দুর বা জয় গোস্বামীর নতুন কোনো কবিতার বই বের হয়েছে ?
কেন ?
আমি : নিয়ে আসতাম।

Wednesday, June 28, 2017

তুই শব্দটা

চিন্তা করেন দেখেন - তুই শব্দটা একসাথে আমরা কতভাবে ব্যাবহার করি। 

** তুই ব্যবহার করি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে। 

তুই ব্যাবহার করি আদর বুঝাতে। (আমি আমার বোনকে তুই বলে সম্বোধন করি )

** তুই ব্যবহার করি কোনোভাবে নিজের স্টান্ডারিটি যদি কম থাকে ( ম্যানার না জানার কারণে )

তুই ব্যবহার করি বন্ধুদের সাথে ( which is perfect) ...

নোট : আমি আমার সর্ব-কনিষ্ট চাচাত ভাই যার বয়স ৫ বা ৭ হবে। তাকেও তুমি বলে ডাকি। ভালো লাগে। নিজের কাছে নিজের স্যান্ডারিটি ফুটে উঠে। নিজেকে শিক্ষিত শিক্ষিত লাগে।হুহ হা হাহ হাহ  


Saturday, June 24, 2017

ঈদ মুবারক।

ঈদে কাপড় কিনতেই হবে - এই জিনিসটা আমার চলে গেছে।

যাইহোক , আপনারা ঈদের কাপড় কিনছেন।  মা ইতিমধ্যে সন্দেশ-মিটাই বা সেমাই ব্যাবস্থা করে রাখছেন। প্ল্যান করে রাখছেন ঈদের নামাজ পরে কী কী করবেন বা না করবেন। খুব বেশি কিচ্ছু করার দরকার নেই। একবার গার্ল/বয়ফ্রেইন্ডকে ফ্লেক্সি না করে যে টাকা সেভ হবে তা দিয়ে একজন লেস-ফর্চুনেট বা কম-সৌভাগ্যবান মানুষকে এক পেকেট সেমাই কিনে দিতে পারেন বা সম পরিমান টাকা দিয়ে দিতে পারেন।

শান্তি পাবেন।

যারা যারা দিবেন তারা এখানে কমেন্ট করে প্রমিস করতে পারেন।

ঈদ মুবারক।

Monday, June 19, 2017

Hazrat Muhammad (sm) - the last prophet of Islam.

Hazrat Muhammed (sm) - the most influential personality in the world.More than 2 billion people follow him.Regardless the religion, if a person thinks about him, he is obviously follow-able.

Sir George Barnard Shaw said:
“If any religion had the chance of ruling over England, nay Europe within the next hundred years, it could be Islam.”

“I have always held the religion of Muhammad in high estimation because of its wonderful vitality. It is the only religion which appears to me to possess that assimilating capacity to the changing phase of existence which can make itself appeal to every age. I have studied him – the wonderful man and in my opinion, far from being an anti-Christ, he must be called the Savior of Humanity.”

“I believe that if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world he would succeed in solving its problems in a way that would bring it the much needed peace and happiness: I have prophesied about the faith of Muhammad that it would be acceptable to the Europe of tomorrow as it is beginning to be acceptable to the Europe of today.”
In Bangla:

Before he born, the Arab was full of injustice and problems.Allah (SWT) sent him to demolish everything.The woman was the most sufferer.He was the first one who stood against all injustices.Think about him, as a human being he went thru massive problems and sufferings.For example, He lost his father 6 months before he born, he lost his mother when he was 6 years kid.After loosing his mother, he had been taken care by his grandfather until he was 8. He lost almost everyone step by step.After all that he had been taking care by his uncle.As a kid, he experienced unbearable pains.Most probably Allah (SWT) tested him because he will be the leader of all human later on.So before that, he needs to be strong enough.As a young guy, he was honest, well-mannered and influential.He was successful in solving social problems.When he saw problems in .He founded ' Hill full ' - an organisation when he noticed problems around him where he helped many poor, helpless and young people.He was the direct teacher of all great Islamic scholars like Abu bokor, Umor, Ali, Osman and many more.Despite not having any particular education, he was fond of education.He said, "Go to China if you think you need to go for education". He was successful businessmen, he helped and grown his uncle's business overnight. Khadija his first wife,40, proposed him to marry him when she came to know that he was amazing human being.He was talented, honest, kind and all the good things.That time, people used to call him 'Al-Amin' as a sign of his honesty.Think about him, as 25 years young guy who agreed to marry her.He showed the respect and equality that today's society looks for.History says that he loved her too much.For a single day, he did not say even a harsh word to her.Later on, he got married again and again in different issues, he was the same husband.He never discriminated anyone entire his all life.At 40, he was nominated as the last prophet of Islam.First, he was preaching Islam secretly, later on, he was doing it publicly.Majority people denied him and called name him as mad, crazy and so on.Some of them believed and accepted Islam right then.Khadija (r), Abu bokor, Ali were among them because they already knew that he was not a normal human being.Till his last breath, he spent his time on preaching Islam and now Islam is a religion of around 2 billion people.It is the most fasted growing and second largest religion in the world.

Now what we found:
 1. Problems will in our life, but we have to keep faith on Almighty and be confident about own self.
2 . Respect woman, love wife, do not discriminate gender.
3. Contribute to social issues, try to fix social problems and help others to grow.
4. Education is the must.
5.Be kind, be soft, be honest.
6. Be a leader.
7. Work for human being.
and many more...


Thursday, June 15, 2017

এই দেশে আপনার চাকরি পেতে কষ্ট হবে
এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম ছাত্রের চান্স হবে। 
এইখানে গীষ্মকালে গরম লাগবে। 
এইখানে শীতে মানুষ মারা যাবে। 
এই দেশের ক্রিকেট সেমি বা ফাইনাল যাবে। 
আমাদের শত-সহস্র দোয়া পরে 
আমরা হেরেও যাবো। 
কারণ আমরা সব কিছু শুরু করছি শূন্য থেকে।  
জয় ও উন্নয়ন সময়ের ফল। 

Friday, May 26, 2017

এই সুন্দর ধরণী

আজ যে মানুষটার ভ্যান গাড়িটা ঠেলে নিচু জায়গা থেকে সমতলে তুলে দিলেন -তার জন্য সে আপনাকে মনে রাখবে।

আজ যাকে নিয়মের বাইরে গিয়ে পাঁচ টাকা বেশি দিলেন - তার জন্য সে আপনাকে মনে রাখবে।

আজ যে ছাত্রীকে পড়ানোর সুযোগে খারাপ নজরে থাকলেন না বা গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করলেন না - তার জন্য সে আপনাকে মনে রাখবে।

আজ যে ছোট্ট ছেলেটাকে ছোট বলে তূচ্ছতাচ্ছিল্য করলেন না - সে আপনাকে মনে রাখবে।

আজ যে বয়োজ্যেষ্টকে সম্মান দেখালেন,সালাম বা আদাব দিলেন - তার জন্য উনি  আপনাকে মনে রাখবেন।

আমাদের প্রত্যেকটা ভালো কাজের জন্য এই সুন্দর ধরণী মনে রাখে। এই ধরণী চাইলেও ভুলে যেতে পারে না।

Sunday, May 21, 2017

মানে আপনার এম্বিশন নেই,স্বপ্ন নেই,আশা নেই। .....

কি অবস্থা ? 
>ভালো না।
কেন ?
>জানিনা ?
কোনো কারণ ছাড়াই ভালো না ?
>হ্যা ,জানিনা কেন জানি ভালো লাগে না কিচ্ছু। 
ও আচ্ছা ,তাহলে এই রোগটার নাম "জানিনা-কেন-ভালো-লাগে-না " 
> মনে হয়।
শুনুন তাহলে কেন আপনার ভালো না রোগে পেয়েছে। 
> হ্যা বলুন ,দয়াকরে। 
আপনার অনেক ফ্রি সময়,এই সময়গুলোকে কাজে লাগাচ্ছেন না। 
আপনি অন্যের জন্য চিন্তা করেন না। 
আপনি মানুষের জন্য কিছুই করার চিন্তা করছেন না ,এমনকি আপনি আপনার জন্য কিছু করার ও চিন্তা করেন না। 
মানে আপনার এম্বিশন নেই,স্বপ্ন নেই,আশা নেই। .....

Saturday, May 13, 2017

প্রতিদিনই হোক মা দিবস


মমতা
মায়া
মহানুভবতা
মহিয়সী
মঙ্গল কামণাকারী
মেয়ে
মহিলা
মহৎ
মহান .....
এই গুলোই নিয়েই মা। প্রতিদিনই হোক মা দিবস।
মাকে সময় দিন।আমার মত ৮ হাজার মাইল দূরে থাকলে প্রতিদিন ফোন করেন। মায়ের সাথে হাসি তামাশা করেন। যত পারেন পঁচান। এতেই মা খুশি। খুব সহজে মায়েদের খুশি করা যায়।  বিশ্বাস না হলে ,আজ ও এখন চেষ্টা করে দেখেন।

আর পারলে এই সহজ সরল মহিলাটাকে রত্নগর্ভা করেন আপনার ভালো কাজের মাধ্যমে।



Thursday, May 11, 2017

কিভাবে মোটিভেটেড থাকা যায় :

কিভাবে মোটিভেটেড থাকা যায় :

গত রাতে একজন মেসেজ করলেন যে উনি নাকি আমার ফেইসবুক পোস্ট দেখেন  এবং ভিডিও গুলোও নাকি মিস করেন  না একটাও।

তিনি যখন মোটিভেশনাল কিছু পড়েন বা দেখেন তখন মোটিভেটেড হন তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে সব মোটিভেশন চলে যায় এবং খানিকটা হতাশা ঘিরে ফেলে। এমতাবস্থায় তিনি কী করবেন ?

এই সমস্যাটা উনার একার নয়। আমাদের অনেকেরই একই অবস্থা।

চলুন মোটিভেশন ধরে রাখার ধাপগুলো একটু দেখে নেই।

১।  গন্তব নির্ধারণ : আপনি যখন গন্তব নির্ধারণ করবেন বা গোল সেট করবেন তখন দেখবেন আপনার গোল আপনাকে তাড়া করছে। আপনি যদি খুব শক্তভাবে গোল নির্ধারণ করতে পারেন তবে দেখবেন আপনি এত খুশি থাকবেন (খুশি থাকা মানে মোটিভেটেড থাকা  ) যে রাতের ঘুম লেট মর্নিং পর্যন্ত গড়াচ্ছে না।ফালতু সময় নষ্ট হচ্ছে না। প্রানবন্ত আর জীবনীশক্তি আপনাকে ঘিরে ফেলবে। সুতরাং,গন্তব বা গোল নির্ধারণ হচ্ছে মোটিভেটেড থাকার প্রথম উপায়।

২। ফলাফল কল্পনা করা : আপনি যখন গোল নির্ধারণ করবেন তখন তো আপনা আপনি একটা ফলাফল চোখের সামনে চলে আসে। এই গোলটা সম্পন্ন করার পর ফলাফলটা এমন হবে,আমার অনভুতি এইরকম হবে ,আমার অবস্থান ওই জায়গায় যাবে ...... এরকম অনেক কল্পনা চলে আসার কথা,না আসলে কল্পনায় এইগুলো আনতে হবে তাহলে মোটিভেটেড থাকা যায়।

উদাহরণ :  আপনি গন্তব নির্ধারণ করলেন যে আপনি একজন পেইন্টার হবেন। গন্তব বা গোল নির্ধারণের পরে কল্পনা করতে লাগলেন যে আপনার ছবিগুলো বাংলাদেশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে সুনাম কুড়াচ্ছে। আপনার একেকটা ছবি লক্ষ্ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আপনার নাম স্বনামধন্য জয়নুল আবেদীনের পাশে স্থান পাচ্ছে। ভাবতেই গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে না ? অনুভূতি ঘিরে ফেলছে না ? এইরকম আপনি যে পথে যেতে চান সে পথের একটা নির্দিষ্ট গন্তব নির্ধারণ করেন আর কল্পনা করতে থাকেন। দেখবেন কল্পনা বা স্বপ্নরা বাস্তবে ডানা মেলছে।

৩।  গন্তব্যে পৌঁছার জন্য ছোট ছোট ধাপ করে নেয়া : গোল বা স্বপ্ন অবশ্যই বড় করে দেখা উচিত। "মানুষ তার স্বপ্নের সমান "- আব্দুল্লাহ আবু সায়েদ স্যার।যত বড় গোল আপনার তত বড় মানুষ আপনি। বড় গোলকে ছোট ছোট করে নিলে গোলে পৌঁছা খুব সহজ হয়ে যায়। যখন একটা ছেলে/মেয়ে ক্লাসের ফার্স্ট-বয় অথবা ফার্স্ট-গার্ল হয় তখন সে কিন্ত এক লাফে ফার্স্ট হয়ে যায় নি। সে আগে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ভালো করে,পরে অর্ধবার্ষিকে আবার ভালো রেজাল্ট করে। সবশেষে বার্ষিক পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো করে ফার্স্ট হয়। গোল কিন্ত ছিল ক্লাসের ফার্স্ট হওয়া। সেই গোলকে সিস্টেম নিজেই ভাগ করে দিয়েছে ছাত্রছাত্রীর জন্য। এইভাবে বড় বড় গোলকে ধাপ করে নিলে মানসিক প্রশান্তি কাজ করে আর মোটিভেটেড থাকা যায় কারণ এই ছোট ছোট ধাপগুলোও আপনার গোল বা গোলের একেকটা অংশ।

৪।  ইতিবাচক মানুষের সাথে থাকা : ইতিবাচকতাই সুখ। আমার এই নেই,সেই নেই ,এইটা হলো না ,সেটা হলো না ,না এমন হওয়ার কথা নয় .......এই টাইপের মানুষের কাছ থেকে যত পারা যায় দূরে থাকতে হবে। এরা নিজেও জীবন নিয়ে খুশি না,আপনাকেও খুশি থাকতে দিবে না। ইতিবাচক মানুষের কাছে থাকুন,দেখবেন  হতাশা ঘিরে ফেলবে না। ভালো থাকবেন। জীবনে আনন্দে থাকাই সফলতা। আনন্দে থাকাই মোটিভেশন।

৫।  স্পর্শের বাইরের জিনিস নিয়ে চিন্তা না করা : আমরা অনেক সময় আমাদের নাগালের বাইরের জিনিস নিয়ে ভয়ে থাকি। যদি ব্যাবসায় লস করি,যদি আমার গার্লফ্রেন্ড/বউ আমার সাথে চিট করে,যদি আমার খারাপ কিছু হয়ে যায়........এই রকম অনেক ভয় চলে আসতে পারে যে গুলো আমাদের হাতের নাগালে নয় অথচ এইগুলো পরিবর্তনের জন্য বা এইগুলো এড়িয়ে চলার জন্য আমরা প্রানপন চেষ্টা করি। কিছু জিনিস আমরা চাইলেও হাতের স্পর্শে আনতে পারবো না। সুতরাং স্পর্শের বাইরের জিনিস নিয়ে চিন্তা করা যাবে না।


Tuesday, May 9, 2017

খারাপ সময় কী করা ?

খারাপ সময় কী করা ?

খারাপ সময় একটা পূর্ণাঙ্গ জীবনের জন্য খুব খুব দরকারী। যখন আমি চার চারটা মাস প্রায় পানি আর মাঝে মধ্যে ভাত-মাছ খেয়ে ওয়াশিংটনে থেকেছি তখন আমি এক সেকেন্ডের জন্য ও বিচলিত হয়নি। আমার শুধু মনে হয়েছে :


১।  খারাপ সময় সাময়িক।
২। খারাপ সময় না আসলে ভালো সময়কে কিভাবে উপভোগ করবো ?
৩।  খারাপ সময় আমাদেরকে শিক্ষা দেয়।
৪।  খারাপ সময় তো জীবনেরই একটা পার্ট।

আমি খুব করে উপভোগ করেছি কিন্ত কারণ আমার কাছে নিঃশাস নেয়াই জীবন। 

Sunday, May 7, 2017

বই পড়ুন :

বই পড়ুন :

প্রথমত,বই পড়ুন আনন্দের জন্য।

দ্বিতীয়ত,ভালো না লাগলে ও পড়ুন কারণ জ্ঞানই একমাত্র সম্পদ যা কেউ নিতে পারে আর দিতে গেলে বাড়ে।

তৃতীয়ত,সব ধরণের রাগ,হিংসা,বিদ্বেষ,মানসিক জটিলতার মুক্তির জন্য বই খুব উপকারী। 

Friday, May 5, 2017

কথার মাঝে একটু খানি শব্দের পরিবর্তন আমাদের চারপাশকে সুন্দর করে দেয়।

কথার মাঝে একটু খানি শব্দের পরিবর্তন আমাদের চারপাশকে সুন্দর করে দেয়। 

এই যেমন : 

অশিক্ষিত/মূর্খ  এর পরিবর্তে অল্প-শিক্ষিত। 

গরিব এর পরিবর্তে কম-সৌভাগ্যবান। 

এই রিক্সা এর পরিবর্তে চাচা/মামা/ভাই। 

ছোট ছোট জিনিসগুলি পরিবর্তনে যদি অন্যকে খুশি রাখা যায় তাহলে একটু চেষ্টা করবো না কেন ? 

ব্রি : দ্র : কাউকে সম্মান দিলে শুধু যে তাকে সম্মান দেয়া হলো তা কিন্ত না,আপনি সম্মান দিতে জানেন সেটাও প্রকাশ পায়।  

Thursday, May 4, 2017

টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যাবস্থাপনা :

টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যাবস্থাপনা :


আমরা সবাই চাই আমাদের একটা সুন্দর জীবন হোক। যে কোনো জিনিসকে একটা সুন্দর কাঠামো দান করতে চাইলে আমাদের দরকার সঠিক ব্যাবস্থাপনা বা ম্যানেজিং।

প্রতেকটা মানুষের কাছে তার জীবনটা সবচেয়ে প্রিয় আর সেই প্রিয় জিনিসটার জন্য একটু ব্যাবস্থাপনায় না আসলে হয় ?


তিনটি সহজ নিয়ম নিয়ে কথা বলবো :

R A C :

Realize বা অনুধাবন করা।

Analyse  বা ভাবা।

Change  বা বদলানো।


সকাল থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের সব কিছু লিখে রাখুন বা খেয়াল করুন।

সকালের ফ্রেশ হওয়া,
নাস্তা,
কাজ বা স্কুল,
বিকেলের আড্ডা,
রাতের টিভি দেখা সব কিছুই।

১। এইগুলো অনুধাবন করুন প্রথমে।

২। পরে ভাবতে থাকুন বাজে কাজ কোন গুলি ছিল। মানে কোনগুলো প্রডাক্টিভ ছিল না।

৩। এর পর এই গুলো কাট করেন মানে চেঞ্জ করেন ।


R A C এর পর আমাদেরকে টো ডো লিস্ট বা TO-DO LIST করে নিতে হবে। সকাল থেকে ঘুমুতে যাওয়ায় আগে পর্যন্ত আমরা কি কি করবো।


টো ডো লিস্ট বা TO-DO LIST অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে।



Tuesday, May 2, 2017

একদিন এক নিকট আত্মীয়কে ফোন দিয়েছে ,কথা হচ্ছে ,কথা হচ্ছে আর কথার মধ্যে উনি বলে উঠলেন  " তুমি তো আমিরিকান " ।

 প্রথমত আমি তো আমেরিকান না,দ্বিতীয় তো আমি আমেরিকা থাকি বলে এটা আমার পরিচয় কখনো হতে পারে না। আমি আমার পরিচয়ের জন্য  সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত আমার রুটিনমাফিক কাজগুলো করে যাই।


এ এমন এক সময় যখন মানুষ নিজের পরিচয় নিয়ে চিন্তা করে। এই সময়ে মানুষ ভাবতে থাকে তার নামের পাশে পরিচয়দানকারী একটা বিশেষণ যোগ হবে। এই যেমন

আয়মান সাদিক,অনলাইন শিক্ষক।

ডক্টর চমক হাসান,শিক্ষক ও গবেষক।

মাহমুদুল হাসান সোহাগ,ফাউন্ডার রকমারি ডট কম ও উদ্ভাস কোচিং সেন্টার।

সাদাত হোসাইন,লেখক।

সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাশরাফি,ক্রিকেটার।

এই যে নামের পেছনে এই পরিচয়গুলো এইগুলোর পেছনে দিন রাত বিলিয়ে দিতে হয়।


বি : দ্রঃ কে কোন দেশে আছে সেটা তার পরিচয় হতে পারে না। আর এটা নিয়ে আলাদা গর্বের ও কিছু নেই। 

Monday, May 1, 2017

আমরা কেন আনন্দে থাকবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন আনন্দে থাকবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন উন্নত জীবন চাইবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন ব্যার্থতার পর আবার ঘুরে দাঁড়াবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন বই পড়ে আরো একটু সৎ,আদর্শবান আর সুখী হবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।

আমরা কেন মানুষের বিশ্বাস ভাঙবো - বিশ্বাস তো মানুষ একবারই করে।

আমরা কেন ভুলের জন্য অনুতপ্ত হবো না - অনুতপ্ততা আমাদের মুক্তি দেয়।

আমরা কেন প্রাণ ভরে ভালোবাসবো না  - ভালোবাসা জীবনকে কাঠামো দেয়।

আমরা কেন প্রান ভরে হাসবো না - এ জীবন তো একবারই আসে।



Tuesday, April 25, 2017

একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং মোটিভেশনাল লেখক



একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং মোটিভেশনাল লেখক ও বক্তা দুইটি দুই মেরুর অথচ কেন আমি বেছে নিলাম ?

এই পোস্টটা কয়েকজনের প্রশ্নের উত্তর :

আমি ষষ্ট শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত গণিতে পাশ মার্ক্স্ পাই-ই নাই। সেই আমি এসএসসি তে এ প্লাস পাই। আমি জানি আমার আম্মুর একবার মাথায় হাত বুলানো অথবা এক গ্লাস দুধ বা হরলিক্স নিয়ে এসে বলা " বেশ করে পড়,স্কুলের প্রথম এ প্লাস তোমাকেই পেতে হবে " আমার কাছে মোটিভেশন ছিলো।

সেই আমি আবার এইচ এস সি তে এ প্লাস পাওয়া পরিবার তথা নিজের মোটিভেশন কে ঘিরেই।

যখন কোনো জায়গায় চান্স পেলাম না তখন চারিদিক অন্ধকারে ডেকে গেলো। আমি হতাশায় নিমজ্জিত। লজ্জায় জর্জরিত। সব কিছু ছেড়ে চলে এলাম দেশ থেকে। আমি কোনো দিন বাইরে আসার কথা ভাবিও নাই। দেশে ভালো কিছু করার ইচ্ছে আমার ছোটবেলা থেকে। এই অন্ধকার সময়ে এই মোটিভেশন আমাকে ভেঙে পড়তে দেয় নি।

এখানে আসার পর যখন চার চারটা মাস ভাত-মাছ ছাড়া অনাহারে ছিলাম তখন এই মোটিভেশন হেল্প করছিলো। তখন মনে হত এইটাই জীবন,এই জীবনের কষ্টের সময় আছে। চলে আসলাম নিউ ইয়র্ক আমার প্রাণের শহরে। আহা এই শহরটা,প্রাণের শহর।

এখানে আসার পর আমার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেলো। যে আমি একটা সাদা পেপার আর একটি কলম দিয়ে সারা জীবন পার করতে রাজী সেই আমায় পড়াশুনা নিজেই বাদ দিয়ে দিলো ?
আহা জীবন বড়ই নির্মম - মনে হতে লাগলো।  পড়ালেখা হচ্ছে না বলে দেশে চলে যাওয়ার ও চিন্তা করছি কিন্ত মনে হলো দেখি না কি হয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা,আম্মুর হাজারো আহাজারি ও দোয়া আর নিজের প্রচেষ্টা আমাকে আবার পড়াশুনার পথ বের করে দিলো। যেদিন কলেজের শেষ ক্লাস করে আসলাম সেদিন মনে হতে লাগলো প্রতিটা নিঃশাস আজ আনন্দের।

এই সব ধাপে মোটিভেশন আমাকে এত শক্ত রেখেছে যে আমি আমার প্রফেসশনের পাশাপাশি মোটিভেশনকে বেছে নিয়েছি যেন সারা জীবনে কমপক্ষে একজন মানুষকে বুঝাতে পারি -এই জীবন অনেক সুন্দর আর দৃড় প্রতিজ্ঞা করলে সৃষ্টিকর্তা তা পূরণ করেন।

বি : দ্র : আমার মোটিভেশন হচ্ছেন আমার আম্মু।









Monday, April 24, 2017

কিভাবে খুশি থাকা যায় ?

কিভাবে খুশি থাকা যায় ?

বেশির মানুষ দেখবেন - খাওয়া-দাওয়া-কাজ আর ঘুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

আসলে কি তারা সুখী ?

না,তারা একগুঁয়ে হয়ে গেছে। তারা মনে করে এটাই জীবন। আপনি তত সময় জীবনকে আনন্দে ভাসাতে পারবেন না যত সময় মানুষের জন্য কিছু না করছেন।


মানুষের জন্য কিছু একটা করা তো কঠিন কাজ। হ্যা তা ঠিক। মানুষের জন্য কিছু করার সামর্থ আমার নেই.তো কিভাবে করবো ?

ধরুন,আপনি একজন শিক্ষক।  মাস শেষে শুধু বেতন পাওয়ার কথা চিন্তা করেন তাহলে মানুষের জন্য কিচ্ছু করা হলো না। মনের মাঝে যদি ছেলেমেয়ে গুলোকে মানুষ করতে হবে এই বাসনা পোষণ করেন এবং সেই লক্ষে এগিয়ে যান তাহলে মানুষের জন্য কিছু করা হলো।

আপনি যখন রিকশায় করে যাচ্ছেন,অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় নেমে পড়ুন। পরিশ্রমী চাচাকে খানিকটা সাহায্য করেন। গন্তব্যে পৌঁছার পর বিশ টাকার জায়গায় ত্রিশ টাকা দিয়ে দেন। দশ টাকার নিয়মের বাইরে গিয়ে দেয়াটা মানুষের জন্য কিছু করা।

কিচ্ছু করতে না পারলে,মানুষের সাথে হাঁসি মুখে কথা বলুন। এরকম অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের হাসি দেখে হাসতে শিখে। শুদ্ধ আচরণ করুন। অনেকে ভালো আচরণ পেয়ে ভালো আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায় আর ভালো হওয়ার চেষ্টা করে। এইগুলোও মানুষের জন্য কিছু করা বুঝায়।

Sunday, April 23, 2017

একটা পাঁচ সেকেন্ডের কাজ :

একটা পাঁচ সেকেন্ডের কাজ :

পাঁচ সেকেন্ডে মাকে বলতে পারি,এত দেরি করে খাচ্ছ কেন ?
পাঁচ সেকেন্ডে আমরা বোনকে/ভাইকে একটা চিমটা দিতে পারি।
পাঁচ সেকেন্ডে বাবাকে বলতে পারি,এই মাসের বিল দিতে আমি যাবো।
পাঁচ সেকেন্ডে আমরা বলতে পারি আজ আমি অনেক খুশি।
পাঁচ সেকেন্ডে আমরা বলতে পারি আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
পাঁচ সেকেন্ডে আমরা কাওকে বলতে পারি,আপনাকে আজ অনেক প্রাণবন্ত লাগছে।
পাঁচ সেকেন্ডে বন্ধুকে বলতে পারি,তুই আমার জীবনে আশীর্বাদ।
পাঁচ সেকেন্ডে স্ত্রীকে/গার্লফ্রেন্ডকে বলতে পারি,এই হাসিটা আর কেও দিতে পারে না।
পাঁচ সেকেন্ডে বলতে পারি,পাঁচ সেকেন্ডের একটা কাজ যদি দিন তথা জীবন সুন্দর করে দেয় তাহলে করবো না কেন ?




Thursday, April 20, 2017

আপনারা যারা মানুষকে উৎসাহ দিতে পছন্দ করেন


আপনারা যারা মানুষকে উৎসাহ দিতে পছন্দ করেন  তারা চাইলে আমাকে ইমেইল করতে পারেন আপনার লিখা পাঠিয়ে।

আপনার যে কোনো লেখা/ মতামত আমার  কাছে পৌঁছে দিতে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: 
hizbur_jibon@yahoo.com অথবা আপনি মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দিতে পারেন।

https://goo.gl/yygQNk এই লিংকটি ক্লিক করে আপনি আমার ব্লগে ভিজিট করতে পারেন।  



In English : 


You who love to inspire people,you can send your writings to me through emailing.
You can email me : hizbur_jibon@yahoo.com or place me a message in my messenger.

https://goo.gl/yygQNk  this is the blog I run to inspire people.


পরিবার

সফল হবেন আপনিও বইটিতে আমি খুব কম লিখেছি পরিবার সম্পর্কে। পরবর্তী লেখাগুলোতে পরিবার নিয়ে লিখবো। গত মাসে রাচেল ম্যাচি স্টাফোর্ড এর Only Love Today বইটি পড়ার পর মনে হলো যদি আরো একটু বড় করে,সুন্দর করে পরিবার নিয়ে লিখতাম তাহলে একটা আত্মতৃপ্তি হয়তো আসতো। 

লেখিকা এত সুন্দর করে পরিবার জিনিসটাকে উপস্থাপন করেছেন তা বর্ণাতীত। 

ছোট্ট পরিসরে পরিবার নিয়ে লিখাটার স্ক্রিনশট নিচে জুড়ে দেয়া হলো : 


Tuesday, April 18, 2017

বিসনেস টক / CAREER TALK :

বিসনেস টক / CAREER TALK :

এক বাদাম বিক্রেতার কথা বলছিলাম। কিভাবে একজন বাদাম বিক্রেতা সাধারণ একজন চাকরিজীবী থেকে বেশি আয় করেন এবং এটা খুব সহজভাবে আর সম্মানের সহিত।

এখন অনেকেই এটা করতে যাবেন না। বাংলাদেশে এটা এতটাই হানিকর তা বলে বুঝানো যাবে না। যখন আমার আপনার মাস্টার্স পাস্ করা বোন বা মেয়েকে আমেরিকান/ইউরোপীয়ান অথবা মিডল-ইস্টার্ন তালা-বাসন পরিস্কার করা ছেলের কাছে বিয়ে দেয়া হয় তখন সব আলহামদুলিল্লাহ।

আমেরিকান/ইউরোপীয়ান অথবা মিডল-ইস্টার্ন তালা-বাসন পরিষ্কার করা মানুষদের অসম্মান করা হচ্চে না। এখানে আমাদের দেশের মানসিকতার কথা বলতে গিয়ে একথা বলতে হচ্ছে। বিদেশে কর্মরতরা দেশের অর্থনীতির চাকা চালাচ্ছে।

আসল কথায় আসি , চাকরি করেন যে কোনো একটা। ৩,০০০-৬,০০০ হাজার টাকার জব বাংলাদেশে এখন অনেক। এই জবগুলো খুবই এভেইলেবল। তবে এটা একটা ট্রিক মাত্র। এইটার সূত্র ধরে বাকি কাজগুলো বের করা। এই যেমন একটা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করলে তারা আপনাকে ৩৫০০ টাকার বেশি দিবে না। যদি নিবন্ধনকৃত শিক্ষক হন সে ক্ষেত্রে টাকা একটু বেশি হবে।  আপনি প্রাইভেট পড়িয়ে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা খুব সুন্দরভাবে ইনকাম করতে পারবেন যদি স্টুডেন্টদেরকে ইমপ্রেস করতে পারেন। অনেকেই এটা করতেছে।


একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই একটা হাতে-কলমে করা যায় এমন একটা স্কিল বা দক্ষতা করে নিতে হবে। এই যেমন একই সাথে আপনি একজন ইলেক্টিকট্রিসিয়ান ও শিক্ষক হতে পারেন।আবার একই সাথে আপনি একজন ব্যাংকার ও প্রাইভেট টিউটর হতে পারেন।

হয় খুবভালো করে একটা জিনিস নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন আর যদি দেখেন যে একটা জিনিস নিয়ে হচ্ছে না তাহলে আপনাকে অবশ্যই মাল্টিপল কাজ করতে হবে।

প্রত্যেক মাসে একটা ডিপোজিট একাউন্ট করে ইনকামের ৩০% সেভ করেন। ডিপোজিট একাউন্ট এ আপনি এই জন্য টাকা রাখবেন কারণ আপনাকে প্রত্যেক মাসে তা রাখতে হবে। যখন বাঙালির জন্য কোনো কিছু বাধ্যতামূলক হয়ে যায় তখন বাঙালী সব পারে।

Friday, April 14, 2017

জীবনের সব রং










যেখানে মৃত্যুর সাথে সাথে জীবনের সব রং মুছে যাবেসেখানে প্রত্যেকটা মুহূর্ত কেন উপভোগ করবো না ? 


                                          হিজবুর রহমান জীবন                                                       মোটিভেশনাল লেখক ও বক্তা   












Thursday, April 13, 2017

নারী/মহিলা বা মেয়ে মানুষ বলতে আমরা অপেক্ষাকৃত কোনো এক দূর্বল সত্তাকে চিন্তা করি। অথচ একজন মহিলা একজন মা,একটা বোন,একজন বউ।এই নরম শরীরের গন্ধ নিয়ে,স্পর্শ নিয়ে বড় হই আমরা। এই আমাদের মাঝে অনেকেই দিক্ববিজয়ী মানুষে পরিণত হই আবার এই আমরাই দুই হাত-পা -চুখ-কান নিয়ে মানুষের ধারে কাছে যেতে পারি না।

আমাদের সংযম ক্ষমতা আছে,আমাদের আছে বিবেক বুদ্ধি আর মহানুভবতা।এই অসীম ক্ষমতা গুলো কাজে লাগিয়ে আমরাও হয়ে যাবো সভ্যতার সুন্দর মানুষের ন্যায়।


 চলুন আমরা পহেলা বৈশাখ,ঈদ,পূজা উদযাপন করি মানুষ হয়ে মানুষের সাথে।




Saturday, April 8, 2017

ইংরেজীর দূর্বলতা ও দূরীকরণ - পার্ট -০২

কেন ইংলিশ শিখতে হবে তা জানতে হলে ক্লিক করুন এখানে 

👉https://www.facebook.com/hizburrahmanjibon/posts/1466832786670445

>>>>> চলুন পার্ট ২ এ জেনে নেই কিভাবে শিখবো ?



১।  ইংরেজী নিউজ দেখেন যারা এখনো ইন্টারনেটের আওতায় আসেন নি পুরোপুরি। **

২।  যারা ইন্টারনেটের সুবিধা ভোগ করছেন তারা ইংরেজী আর্টিকেল,নিউসপেপার,অনলাইন বুক,পিডিএফ পড়তে পারেন । পড়ার সময় একরকম সন্দেহ সন্দেহ ভাব নিয়ে পড়তে হবে। সন্দেহটা কী ? এই যেমন এই আর্টিকেলের নতুন নতুন শব্দ কোনগুলো। আরো ভালো হয় যদি আপনি শব্দগুলোর synonym and antonym and pronunciation ইন্টারনেট থেকে বের করে পড়েন। ********

৩। বন্ধুবান্ধবের সাথে অনর্গল কথা বলতে থাকুন। মানুষের হাসাহাসিতে কান দিবেন না। ভূল তো হবেই। *******

৪।  প্রচুর লিখবেন। লিখলে শব্দ জব্দ হয়ে যায়। ****

৫।  ইউটুবের টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলো দেখতে পারেন রুটিন মাফিক। একদিন দেখলেন আর নেক্সট ভিডিও দেখলেন ১৫ দিন পর তা হবে না। 

৬।  সাবটাইটেল মুভি দেখতে পারেন। ভালো হয় যদি সাবটাইটেল ছাড়া দেখেন। *****

৭।  টেক্সট করার সময় ভাঙা ভাঙা ইংলিশ শব্দ ব্যবহার পরিহার করুন।  শব্দের বিকৃতি শব্দের সর্বনাশের সাথে সাথে আমরা আমাদের স্পেলিং স্কিল ও ধ্বংস করে দেই। ভালো হয় যদি সম্পূর্ণ বাক্য ইংলিশ এ লিখেন।  ***

৮।  ছোট ক্লাসের ছেলে মেয়েদেরকে পড়াতে পারেন। এটা অনেকটা ম্যাজিকের মত কাজ করে। **


নোট : এ মাত্র কয়েকটা। হাজারো পথ আছে। আপনি যেকোনো দুই একটা পথ বেছে নিয়ে খুব সহজে ইংলিশ 
শিখতে পারেন। 










Tuesday, April 4, 2017

ইংরেজীর দূর্বলতা ও দূরীকরণ।
 পার্ট -০১

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই গ্লোবাল সিটিজেন বা নাগরিক। এখন এমন এক অবস্থা ইচ্ছা না থাকা ও সত্ত্বেও আমাদেরকে ইংরেজী শিখতে হবে।

** চলুন জেনে নেই কেন শিখতে হবে হবেই >>

১। বিশ্বকে জানতে। এখন জানার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনের ভাষা ইংলিশ।

২।  নিজের দেশের লেখকদের পাশাপাশি আমাদেরকে বিশ্বের অন্যান্য লেখকদের বই পড়তে হয় । আর সব দেশের লেখকদের বই তো আর তাদের নিজ নিজ ভাষায় আপনি পড়তে পারবেন না। আপনাকে বড় বড় লেখকদের বই ইংরেজিতে  অনুবাদ করে দেয়া হয়েছে।

>> এখন অনেকেই বিশ্বকে জানতে চান না।  এমনকি বই ও পড়তে চান না। তাহলে কি আপনাকেও শিখতে হবে ?

মন্তব্য : আপনি বুঝলেন না আপনি কী হারালেন। আপনি বুঝলেনই না জীবন কি।

৪। হ্যা ,আপনি যদি উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজী শিখতে হবে কারণ উচ্চতর ক্লাসের সব বই ইংরেজীতে লিখা।

৫।  আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাও ইংরেজীর দরকার। সেটা কেমন করে ? আপনি তো অনেক বড় ব্যাবসায়ী হবেন তার জন্য আপনাকে দেশের বাইরের মানুষের সাথে কথা বলতে হবে। বাংলায় কথা বলবেন ? বলতে পারেন তবে তারা বুঝবে না।আপনার ব্যবসা নষ্ট হতে লাগলো শুধু মাত্র ইংরেজীর কারণে।

>> না না ,আমি উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চাই না,এমনকি ব্যাবসায়ী ও হতে চাই না।

মন্তব্য : আপনার জন্য সমবেদনা রইলো।

৬।  অনেকেই তো শো অফ করার জন্য ,মেয়ে পটানোর জন্য ইংরেজি শিখে। আপনি শিখতে চান না ?  হ্যা শিখতে চাই।

মন্তব্য : Sign of a LOOSER !



যাইহোক শিখতে তো চাচ্ছেন।  কিভাবে শিখা যায় তাহলে ?

নেক্সট পোস্ট এ চোখ রাখুন >>>>>>>>



Saturday, April 1, 2017

দর্শন মানে কি ?

প্রিয় ব্যাক্তিত্ব আব্দুল্লাহ আবু সায়েদ স্যারের এক সাক্ষাৎকার দেখছিলাম। মানুষ দুই একটা দর্শন নিয়ে জীবন পার করে দিতে পারে। ভিডিও পজ বা ক্ষনিকের জন্য বন্ধ করে চিন্তা করতে সেটা আবার কেমন করে ? কথার মানে খুঁজতে লাগলাম।

 দর্শন মানে কি  ? - একজন মানুষ যা চিন্তা করে। যা অনুধাবন করে। এবং যা মেনে চলার চেষ্টা করে।



আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করেন যে কাউকে খুশি রাখলে আপনিও খুশি থাকবেন তবে আর যাইহোক আপনি কাউকে কষ্ট দিবেন না।

"আমি ব্যাভিচারী পুরুষের জন্য ব্যাভিচারী মহিলা সৃষ্টি করেছি " - পবিত্র কোরআন শরীফের এই বাণী কেও যদি মেনে চলে তবে সে কোনো মেয়ে বা মহিলার সাথে খারাপ বা অশালীন ব্যবহার করবে না  কারণ কে চায় তার সহধর্মিনী ও খারাপ হোক।

কেও যদি মনে করে দুনিয়াটা দুই দিনের  যা খুশি তা করি। ফুর্তি করি,খাই দাই আর যা মনে হয় তা করি -সেটাও একজনের দর্শন অর্থাৎ সে এটাই বিশ্বাস করে। তাকে দিয়ে আর যাই হোক ভালো কিছু সম্ভব কিনা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পরোক্ষনে কেউ কেউ তো এমনও দর্শন লালন করে যে দুই দিনের এই পৃথিবীতে কিছু ভালো কাজ রেখে যাই যা মানুষের কাজে আসবে।

কেও যদি বুদ্ধের কথার রেশ ধরে মেনে সমাজে ছোট বড় বলতে কিছুই নেই। সবাই সমান। সবাই সমান আমরা অনেকেই মেনে নিতে পারি না কারণ আমরা বুদ্ধের ন্যায় দর্শনের জন্ম দিতে পারি নাই।


প্রশ্ন আসতে পারে দর্শনের জন্ম হয় কিভাবে ?

দর্শন আমাদের আসে পাশেই। আমরা প্রত্যেকটা মানুষই দার্শনিক কারণ আমরা সবাই কিছু না কিছু বিশ্বাস করে জীবন ধারণ করি। দর্শনের জন্ম হয় বই থেকে,ভালো মুভি থেকে,ভালো বন্ধুবান্ধব থেকে।  নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ অর্থসহ পড়তে পারেন।



Friday, March 31, 2017

কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায় ২য় ও শেষ অধ্যায়

HTML হচ্ছে একটা বাড়ির দেয়াল,পিলার ,ছাদ বা ফ্লোরের মতো। এই গুলো একটা বাড়িকে যেমন কাঠামো দান করে ঠিক তেমনি HTML একটা ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার করে দেয়।

CSS হচ্ছে ওই বাড়িতে আপনি রং লাগলেন। CSS ওয়েবসাইটের ডিজাইনের কাজ করে দেয়।

নোট :  ডিজাইনার পর্যন্ত থেমে থাকতে চাইলে আপনাকে নিচের স্কিল গুলো কষ্ট করে শিখতে হবে না। তবে আপনি PHOTOSHOP,CSS,HTML,ADOVE RELATED সফটওয়্যার গুলোর ব্যাবহার শিখতে হবে। ফটোশপ আপনাকে শিখতেই হবে ভালো ডিজাইনার হতে চাইলে।

HTML এবং CSS শেখার পর আপনি আরও একটু উপরের ধাপে যেতে চাইবেন। সে ধাপ গুলো হচ্ছে

*  JAVASCRIPT
*  PHP
*  DATABASE

নোট : উপরের তিনটি যারা যারা ওয়েব ডেভেলপার হতে চান তাদের জন্য বাধ্যতামূলক।


 HTML এবং CSS যেভাবে ইউটিউব থেকে শিখছেন ঠিক তেমনি আপনি উপরের স্কিল গুলোও শিখবেন। যখনই দেখবেন আপনি অ্যাডভান্স লেভেল এ চলে এসেছেন তখনই আপনি কোনো প্রতিষ্টান থেকে কিছুদিন ক্লাস করে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে নেন। সির্টিফিকেট দরকার আছে বড় জব এর জন্য।

** ইনকামের ব্যাপার খুবই সহজ হয়ে যাবে যখন আপনি পুরোপুরি শিখে যাবেন।

অনলাইন,আউটসোর্চিং,টিচিং সহ আপনি দেশি বিদেশি কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন।
ভালো ইনকাম করতে হলে একটু তো কষ্ট করতে হবে। USA/GERMANY/ENGLAND/MIDDLE EAST  এ ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার বছরে বাংলাদেশি টাকায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।


নোট : ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আপনি আমাকে টেক্সট করতে পারেন। সাধ্যমত চেষ্টা করবো।



Wednesday, March 29, 2017

আমার দ্বিতীয় বই

আমার দ্বিতীয় বই পড়ার পর শ্রদ্বেয় বড় ভাই কোনো এক জায়গায় বললেন উনার ছেলেমেয়েদেরকে আমার বই পড়াবেন এবং ডাক্তার লুৎফুর রহমানের বই পড়িয়ে যে কাজ হতো তার খানিকটা আমার লেখনী করে দিবে। তিনি হয়তো নতুন স্বপ্নে বিভোর লেখককে উৎসাহ দেয়ার জন্য এমনটা বলেছেন তবে এর পর থেকে আমি ডাক্তার লুৎফুর রহমানকে খুঁজতে লাগলাম। গুণীজনদের খুঁজলে পাওয়া যায় খুব সহজে। এদের কাজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। কাজই এদের আসল পরিচয়। পেয়ে গেলাম যথারীতি। উইকিপিডিয়া এই গুণী লেখক নিয়ে পেজ খুলে বসে আছে কারণ তারা জানে এই মানুষগুলোকে পিপাসুরা খুঁজবে এক সময়। খুব যত্ন সহকারে পড়লাম। মোটামুটি একটা ধারণা পেলাম উনার সম্পর্কে। অবশ্য এর বেশি কিচ্ছু উইকিপিডিয়া দিতে পারবেও না।

 ডাক্তার লুৎফুর রহমানের চিন্তাধারার একটা নমুনা

 " লুৎফর রহমান বিশ্বাস করতেন, মানুষের শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে জ্ঞান এবং জীবনের সুন্দর বিশুদ্ধতম অনুভূতির নাম হচ্ছে প্রেম। উন্নত জীবন দর্শন মেনে চলতেন। লোকদেখানো এবং বংশগত সম্মানকে তিনি গ্রহণ করেননি " 


বিশ্বাস করেন প্রিয় ভাই আমি হয়তো উনার মতো হতে পারি নাই তবে আমি খুব করে চাই মানুষরা ভালো থাকুক। চিন্তার মুক্তি ঘটুক ,মনের অন্ধকার দূর হোক ,মানুষ  আনন্দে থাকুক,ভালোবাসায় ভেসে যাক মানুষ্য জীবন যা এই বড় চিন্তকের সাথে কিছুটা মিল আছে বৈ কি।  

Tuesday, March 28, 2017

আলোকিত মানুষ।। তারা কেমন ।। তাদের কয়েকজন


আলোকিত মানুষ।। তারা কেমন ।। তাদের কয়েকজন


মানব সভ্যতায় আলোকিতরা এসেছেন। সক্রেটিস প্রশ্নের দ্বারা মানুষ কে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি পথে প্রান্তরে যুবকদের পথের সন্ধান দিতেন। এই রকম আলোকিত মানুষের সংস্পর্শে এসে অনেকেই আলোকিত হয়েছেন। প্লটো সক্রেটিসের সেরা ছাত্র ও জগৎ বিখ্যাত।


হজরত মুহাম্মদ (স.ম) ছিলেন আলোক বর্তিকা। আরবের যে অন্ধকার ছিল তা তিনিই দূর করেছেন। মানুষের মর্যাদা আরবদের কাছে ছিল না। এই মহান মানুষ শুধু মাত্র যে অন্ধকার দূর করেছেন তা না ,তিনি এক সাথে একটা আলোর মিছিল মানব সভ্যতায় ছেড়ে গেলেন। অক্ষরজ্ঞানহীন এই বিস্ময়,এই আলোর শিক্ষক ইসলাম ধর্মের প্রচারক। এই আলোর যে মিছিল তিনি শুরু করেছিলেন এই মিছিলের সৃষ্টি উমর,আবু বকর,আলী ,উসমান। আজও এই মিছিলের সৃষ্টি অনেক মহাপুরুষরা আমাদেরকে আলোর পথ দেখান তবে কিছু সংখক আমরা এই মিছিলকে প্রায় নষ্ট করে দিয়েছি।

গৌতম বুদ্ধ যখন মানবতার কথা বললেন তখন উনারই ধর্মের লোকেরা উনাকে নাস্তিক বলে উঠলো তাই বলে কি তিনি আলোর পথ ছেড়ে দিয়েছিলেন ?  আসলে মানুষ মনে করে মানবতা আর ধর্ম দুই জিনিস কিন্ত তা না। হজরত মুহাম্মদ (স.ম ) সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেলেন। প্রকৃতপক্ষে মানবতা কী ? মানবতা হচ্ছে মানুষের কোনো ক্ষতি না করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের জন্য কাজ করা। এর বেশি কিছু না কিন্ত।

লালন সাই মানবতার অগ্রদূত। মুসলিম বা হিন্দু দুইটার কোনোটাই তিনি ছিলেন না কিন্ত কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন নি। কোনো ধর্মকে অবজ্ঞা করেন নি। কোনো ধর্মকে অসম্মান করেননি।  খুব সম্ভব আলোকিতরা অসস্মান করতে জানেন না ,ছোট করতে জানেন না ,অবজ্ঞা ও করতে পারেন না।
আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন ধর্মভীরু কিন্ত ধর্মান্ধ ছিলেন না। মসজিদের পাশে কবর দেয়ার আকুতি উনাকে বিশাল করে তুলেছিল মুসলিম সমাজে। কিন্ত যখনই সাম্যের গান গাইলেন তখনই ঝামেলা ঘটলো। আলোকিতরা মানুষকে সমান চোখে দেখেন। এরা নিজের ধর্ম মানেন ঠিকই কিন্ত অন্যের ধর্মকে আক্রমণ করে নয়।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ এত এত লিখে গেলেন তবুও আক্রমণ করলেন না। নিজের ধর্ম কিন্ত ঠিকই মেনে নিলেন এবং বিভিন্ন নাটক-গল্পে-উপন্যাসে হিন্দুয়ানি নাম ব্যবহার উনার হিন্দু ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধারই বহিঃপ্রকাশ।


আব্দুল্লাহ আবু সায়েদ স্যারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যে তিনিই আমাদের তরুণ প্রাণে আলোকিত মানুষ হওয়ার যে ব্রত নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তা এখন সফল। আমরা এই আলোকিত মানুষদের নিয়ে পড়াশুনা করলে আমাদের একটা শান্তির জায়গা তৈরী হবে। আমরা আমাদের ভেতরের সত্তাকে খুঁজে পাবো।


নোট : এখানে মাত্র কয়েকজন,যুগে যুগে অনেক আলোকিতরা এসেছেন।


Monday, March 27, 2017

কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায় অধ্যায় -০১ .......

কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায় অধ্যায় -০১ .......

বর্তমান সময়ে সব ধরনের ক্লাস বা শিক্ষাদান ভিডিও মাধ্যমে হচ্ছে এবং তা খুব সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। Learning through videos is the most effective way to learn anything.
এখন কোনো কিছু শিখার জন্য আপনাকে কোনো ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হচ্ছে না কারণ সুলভ মূল্যে ইউটিউব সেটা করে দিচ্ছে।

**  একজন ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে  প্রাথমিকভাবে যা যা করতে হবে।

ধাপ ১ : HTML OR Hypertext Markup Language. 

ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে একটা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ইউটিউবের সার্চবার-এ গিয়ে লিখেন  "HTML FOR BEGINNER" । এখন আপনি যে ভিডিও গুলো পাবেন সেগুলো মনোযোগ সহকারে কয়েকদিন স্টাডি করেন। 

Note:  ইংরেজী কম জানা থাকলে আপনি সার্চ করেন "HTML FOR BEGINNER BANGLA" ।

ধাপ ২ : CSS OR Cascading Style Sheet

যখনই দেখবেন আপনি HTML শিখে ফেলছেন তখনই "CSS FOR BEGINNER" সার্চবার -এ সার্চ করুন। এই ভিডিও গুলোও ভালোভাবে দেখুন আর সাথে প্রাকটিস করতে থাকুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ ঘন্টা প্রাকটিস আপনাকে ভালো একজন ওয়েব ডিজাইনার করে তুলবে। 

Note:  ইংরেজী কম জানা থাকলে আপনি সার্চ করেন "CSS FOR BEGINNER BANGLA" ।

ধাপ ৩ : শিখতে থাকুন,প্র্যাক্টিস করুন,লেগে থাকুন ,গার্লফ্রেন্ডের মোবাইল -এ ফ্লেক্সি না দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগটা ধরে রাখুন। 

পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য অপেক্ষা করার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি না কারণ লাভ আপনারই যদি আপনি ওয়েব ডিজাইনার হয়ে যান।  

Sunday, March 26, 2017

বাংলাদেশের আর্মি

বাংলাদেশের আর্মি গোটা পৃথিবীর বিস্ময় ,আর আমাদের গর্ব। 

Friday, March 24, 2017

একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার

কিভাবে একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার হওয়া যায় -সেটা নিয়ে লিখবো লিখবো ভাবছি। 

ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার ঘরে বসে কিভাবে ইনকাম করবে সেটা নিয়ে লিখবো ভাবছি। 

নিজের পড়াশুনার পাশাপাশি আপনারা এটা শিখতে পারবেন এটা নিয়ে লিখতে যাচ্ছিলাম। 

এর জন্য আপনার সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড লাগবে না এটা কেমন করে লিখার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া যায় চিন্তা করছি। 

এটা শিখার জন্য খুব বেশি সময় লাগবে না এটাও কিভাবে  বলা যায় লেখার মধ্যে - এটা নিয়ে ভাবছি। 





Wednesday, March 22, 2017

সিদ্ধান্ত নিলাম :

সিদ্ধান্ত নিলাম :

সিদ্ধান্ত নিলাম প্রতিদিন সকালে উঠেই বলবো আমিই সেরা। আমার প্রাণ আছে। আজকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার অনেক মিরাকল ঘটতে পারে। আমি হয়তো আজকেই জীবন পরিবর্তনকারী কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি। দিনগুলি এইভাবে আমি ইতিবাচকভাবে শুরু করবো।

সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার তো দূরের কথা উচ্চসুরে কথা পর্যন্ত বলবোনা। সিদ্ধান্ত নিলাম গতকালকে যাকে অপমান করে কথা বলেছি তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবো।

সিদ্ধান্ত নিলাম আজকেই কাউকে না কাউকে খুশি করবো। খুশি কি শুধু কিছু দিয়ে করতে  হয় ? মোটেও না। তাহলে ? প্রশংসা করলেই পাথর ও হেঁসে উঠতে বাধ্য আর মানুষ তো জগতের সবচেয়ে সুন্দর প্রাণী। এও সিদ্ধান্ত নিলাম যে আজ থেকে মানুষের প্রশংসা করবো।

সিদ্বান্ত নিলাম আজ থেকে অগোছালো জীবন চাইনা বলে উঠবো। আজকে থেকেই একটা রুটিন লাইফ লিড করবো।যেমন একজনের মানুষের রুটিন এরকম হতে পারে :-

 ১। সকাল ফজর নামাজ বা মর্নিং প্রেয়ার (যার যা ধর্ম )
২। নাস্তা করা
৩। খানিকক্ষণ ডেইলি প্রত্রিকা পড়া
৪। কাজে বা শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাওয়া
৫।  যাওয়ার সময় বাসে বা সি এন জিতে বসে বই পড়া-ক্লাসে করা
৬। আড্ডা দেয়া বা প্রিয় মানুষদের থাকে সময় কাটানো।
৭। বিকালে আবার আড্ডা দেয়া। হুহাহাহাহাহাহাহাহাহ।
৮। সন্ধ্যায় ঘরে এসে পরিবারের মানুষদের সাথে সময় কাটানো।
৯। হোমওয়ার্ক অথবা এসাইনমেন্ট শেষ করা।
১০। ঘুমানোর আগে আগে বই পড়া অথবা টিভি দেখা।

ব্রি দ্রঃ একেক জনের জীবনযাপন একেকরকম হতে পারে। এটা একটা রুটিন লাইফের স্যাম্পল।

সিদ্বান্ত নিলাম আজকে থেকে হতাশ হবো না।সব সময় হাসিখুশি থাকবো। প্রত্যেকটা মুহূর্তকে সৃস্টিকর্তার অমূল্য গিফট ভেবে জীবন নিয়ে আনন্দে থাকবো। সিদ্বান্ত নিলাম আজকে থেকে প্রানভরে নিঃশ্বাস নিব আর পাশের মানুষদের নিয়ে সুখে থাকবো।

সিদ্ধান্ত নিলাম আজ থেকে একটু একটু করে জীবনকে গিফট ভাববো। জীবনের সব রং দেখতে পাওয়া ,জগতের সব ঘ্রান নিতে পারা আর হাজারো মাইল পথ অতিক্রম করার যে শক্তি আমাদের শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছি তার জন্য সৃস্টিকর্তার প্রতি প্রতিনিয়ত খুশি থাকবো।

জীবন সুন্দর।


Tuesday, March 21, 2017

আজকে থেকেই

 আজকে থেকেই

যাকে ঘৃনা করি তাকে আজ থেকে ঘৃনা করবো না। ঘৃনা আমরা করি কেন ? কারণ আমাদের সাথে কারো না মিললে বা কারো আচরণ আমাদের আচরণের মত না হলে আমরা একটু একটু ওই মানুষটাকে খারাপ পেতে শুরু করি। এই খারাপ লাগা থেকে জগতের সবচেয়ে ঘৃণ্য জিনিসটার উদ্ভব ঘটে আমাদের মাঝে আর সেটা হচ্ছে অন্যকে ঘৃনা করা।  আমরা বুঝতে চাইনা যে এই ধরণীর প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা। সবাই যার যার মতো। আর যে ঘৃনা পুষে রাখে সে কখনো শান্তিতে থাকতে পারে না।

আজ থেকে যাকে যাকে টেক্সট করতাম না তাকে টেক্সট করবো। আপনার একটা ইগো বা অহংকার বিসর্জিত একটা টেক্সট আরেকজনের খুশির কারণ হতে পারে। আপনার শুধু হ্যালো ,কেমন আছিস টেক্সটগুলি আরেকজনের একটা দিন আনন্দে ভরিয়ে দিতে পারে।

আজ থেকে যাকে অবহেলা করতাম তাকে ভালোবাসবো। ভালোবাসলে মনের গহীনে পবিত্রতার জন্ম হয়। যে আমাকে ভালোবাসে না তাকেও ভালোবাসবো।

আজ থেকে আরো একটু নরমভাবে হাঁটবো,কথা বলবো। আরো একটু নরমভাবে বসবো। বসার মাঝে বড়ত্ব ,কথার মাঝে নিজের মহত্ব আর চলার নিজের আমিত্ব দেখাবো না। আজ থেকে খুব মনোযোগ সহকারে মানুষের কথা শুনবো। সব মানুষকে গুরুত্ব দিব।

আজ থেকে বই পড়বো। বাসে,ট্রেনে অথবা অন্য কোনো অলস সময়ে। বই আমাদের সব অন্ধকার  দূর করে দিয়ে সুন্দরের দিকে ডাকে।

আজ থেকে পরিবার,বন্ধুবান্ধব,অতীয়স্বজন,প্রতিবেশী ও সমাজ নিয়ে খানিকটা ভাববো। এদের অনেক অবদান আছে আমাদের উপর।আজ থেকে রিস্কাওয়ালাকে বয়স অনুযায়ী ভাই-ভাতিজা-চাচা বলে সম্মোধন করবো।

আজ থেকে গ্রামের পথ বেয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েটির দিকে চেয়ে বেগম রোকেয়ার বা সুফিয়া কামালের উত্তরসূরী বলে মনে মনে বিড়বিড় করবো। আজ থেকে নিজের থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট ছেলেটাকে তুই বলে ডাকবোনা কারণ তুমি বললে সে খুশি হবে।

আজ থেকে বাসায় গিয়ে ফেসবুক নিয়ে বসে সময় নষ্ট করবো না। চুটিয়ে জগড়া করবো করবো ভাইবোনের সাথে কারণ জগতের সুন্দরতম দৃশ্য ভাইবোনের জগড়া।

আজ থেকে তরকারীতে চুল পেলে মায়ের উপর রাগ করবো না কারণ তিনি ইচ্ছে করে ফেলেননি চুলটা। আর রান্নার সময় যা কষ্ট হয় তা এক চুলের কারণে উপেক্ষিত হয়ে গেলো ?

বাবার সাথে কথা কাটাকাটি করবোনা কারণ একমাত্র বাবারাই চায় ছেলেটা জগৎ বিখ্যাত হোক। একমাত্র বাবারা চায় তার ছেলেটা তার নিজের থেকে উপরে উঠুক।

আজ থেকে সব বিনাশকারী জিনিস থেকে দূরে থাকবো কারণ আমরা যখন যার যা ক্ষতি বা বিনাশ করি সবকিছুই আমাদের কাছে চলে আসে এক সময়।

আজ থেকে নিজের মনের বিরুদ্ধে যাবো যখন মন খারাপ কিছু উস্কে দেয়ার চেষ্টা করবে। আজ থেকেই আমি মানুষ হওয়ার সংকল্প করবো। 

Monday, March 20, 2017

আমার বিলাসিতা

একদিন যেগুলোকে খুব করে অবহেলা করেছি আজ এগুলিই স্বপ্নের ঘোরে চলে আসে। এইগুলো আজ বিলাসিতা। প্রায় অধরা।

এই যেমন গ্রামের পথ বেয়ে হেঁটে যাওয়া। ফেসকুকিং অথবা গুগলিং করতে গিয়ে ভাইবোনকে সময় কম দেয়া।  অথবা তিন বছর আগে প্রেমে পড়া মেয়েটিকে সময় দিতে গিয়ে নিজের পরিবার তথা আম্মুকে কম সময় দেয়া।

আহা জীবন আমরা বুঝিনা ,বুঝতেও পারবো না।


Saturday, March 18, 2017

মন খারাপ

 মন খারাপ হলে তা উদযাপন করা। এটা আমার নিজেরই কথা।  আজকে মনে হচ্ছে এই রকম একটা উদযাপন দরকার। খুব দরকার কারণ অনেক দিন এই রকম উদযাপনের দরকার হয় নি।

ইট-পাথরের এই শহরে সবই আছে ,মন খারাপ করে একলা এক জায়গায় বসে থাকার স্থান নেই ।


Thursday, March 16, 2017

Hizbur's second book -আপনিও সফল হবেন

বড় কলেবরের বই এই বছর শেষে আসতেছে। লিখা শুরু করবো আজ থেকেই। এই বইতে যে অক্ষমতা আমার ফুটে উঠেছে সেটা হচ্ছে বইটা বড় হয়নি। আমার আবেদন আপনাদের কাছে বইটা পড়ার জন্য। ভুলগুলো আপনাদের কমেন্টে পরিণত করেন আর আমাকে একটু একটু করে একজন সফল লেখকে পরিণত করেন। 

ডাউনলোড করেন নিচের লিংক থেকে। 

আপনিও সফল হবেন  - PDF



Friday, March 10, 2017

আমাদের মানুষ হওয়া


আদর্শ ছেলে
– কুসুমকুমারী দাশ
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?
মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন
“মানুষ হইতে হবে” — এই তার পণ,
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান,
নাই কি শরীরে তব রক্ত মাংস প্রাণ ?
হাত, পা সবারই আছে মিছে কেন ভয়,
চেতনা রয়েছে যার সে কি পড়ে রয় ?
সে ছেলে কে চায় বল কথায়-কথায়,
আসে যার চোখে জল মাথা ঘুরে যায় |
সাদা প্রাণে হাসি মুখে কর এই পণ —
“মানুষ হইতে হবে মানুষ যখন” |
কৃষকের শিশু কিংবা রাজার কুমার
সবারি রয়েছে কাজ এ বিশ্ব মাঝার,
হাতে প্রাণে খাট সবে শক্তি কর দান
তোমরা মানুষ হলে দেশের কল্যাণ |

বড় বড় কথায় কেউ বড় হয় না,কাজ দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। এই সুন্দর জীবনে সমস্যা আছে ,আছে তার সাথে সমাধান ও। বিপদে শক্ত থাকতে কবি সাহস দিয়েছেন।যারা চিন্তা করতে পারে তারা থেমে থাকে না ,তারা পথ ঠিকই বের করে নেয়। বীরু ও নির্জীব মানুষকে কেও চায় না আর চাইবেই বা কেন। এখানে বীরু বলতে কবি আত্মবিশ্বাসহীনতাকে বুঝিয়েছেন। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে কাজ করতে হবে। এখানে কাজ বলতে কবি শুধু কাজকে বুঝান নি। এখানে কাজ মানে স্বপ্ন,ইচ্ছে আর গন্তব্য কেও বুঝিয়েছেন। সমগ্র কবিতায় কবি যে জিনিসটা খুব সূক্ষভাবে জুড়িয়ে দিয়েছেন তা হচ্ছে আমাদের মানুষ হওয়া।

এই কবিতার আট লাইন ১০ মার্কসের জন্য বরাদ্ধ ছিল। শিক্ষকরা (সবাই না ) ও পার পেয়ে যেতেন কোনোভাবে মুখস্থ করাতে পারলে। এই কবিতাগুলোর মধ্যে যে মানুষ হওয়ার ব্যাকুল আবেদন তা আমরা নিতে চাইনি বলে আমরা অনেকেই আজ ও পুরোপুরি মানুষ হতে পারলাম না। 

"মানুষ হওয়া " আবার কি ? আমরা তো মানুষ আছিই অনেকেই এটা ভাবি। মানুষ হওয়া নিয়ে কেন এত এত লিখলেন কবি-লেখকরা বা লিখতেছেনই বা কেন ?